আমি দেখি এক তরুণের হাত/ পতাকা ছুঁয়ে থমকে যায়/ যেন এক মুহূর্তে/ ইতিহাস তার বুকে ঢুকে পড়ে/ ধুকধুক ধুকধুক করে।
আমার আজও মনে পড়ে/ আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় নীল অপরাজিতার কথা/ মনে পড়ে কোকিলের গেয়ে চলা উচ্চাঙ্গ সংগীতের কথা/ মনে পড়ে বানভাসি মানুষের অজস্র দুঃখের কথা,
প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এ অনুষ্ঠানে গানের পাশাপাশি সলিল চৌধুরীর ভাবনা, দর্শন ও সৃজনযাত্রা নতুনভাবে ধরা দেয় শ্রোতা–দর্শকদের সামনে।
কবি সাহিদুল আলম টুকুর ৬০তম জন্মবার্ষিকীর আনন্দ–আড্ডায় তার কবিতা গ্রন্থ থেকে আবৃত্তি করেন দিলারা নাহার বাবু, ফারিয়া সাহেলী ও মানবী মৃধা। সংগীত পরিবেশন করেন শিরীন চৌধুরী ও শামীম আমিনুর রহমান।
ইতিহাস এখানে মার্বেলের মতো ঠান্ডা,/ তবু তার ভিতরে বেজে ওঠে উষ্ণ নদীর ধ্বনি।/ একজন ভিয়েনীয় কবি জিজ্ঞেস করেন/ “তোমার নদীগুলো কি আজও গান গায়?”/ আমি হেসে বলি—/ “তারা এখনো ভালোবাসে, কিন্তু মুখে কিছু বলে না।”
আভিজাত্য যাই থাকুক/ তাতে ছদ্মবেশী গাঢ় দুর্বলতা আছে/ আছে নতুন সুখের গন্ধ/ শিবের সাপ নাচানো খেলা,
আজ পড়ন্ত সোনালি/ এখনো তোমায় শ্রাবণের বৃষ্টির মতোই মনে পড়ে/ এখনো জোছনাকে চাঁদের আলোই বলি/ এখনো মধ্যরাতে ডাহুকের ডাক শুনি
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাচনিক প্রতিবছর একজন বাচিকশিল্পী বা কবিতার মানুষকে সম্মাননা প্রদান করে। যুগপূর্তির উৎসবে আবৃত্তি শিল্পী, সংগঠক এবং প্রশিক্ষক শিমুল মুস্তাফা ও কবি অপরাহ্ন সুসমিতোকে বাচনিক সম্মাননা দেওয়া হবে।
অদৃশ্যরেখার পাশে বসে শুধু জানবার চেষ্টা হাজার বছরের পুরনো গল্পের রং, বিলুপ্ত মহাদেশের শিল্প আর সংস্কৃতি, তুমি, আমি আর আমাদের ভেতরকার পার্থক্য।
তারপর নেমে এল পাথরের বৃষ্টি। হাত নড়ে না, চোখ ফেটে যায়, শরীর গুঁড়িয়ে যায়। কিন্তু আশ্চর্য, যারা মারছে, তাদের চোখে না আছে দয়া, না আছে ভয়।
একটা দোদুল্যমান সময় পার করছি এই যেমন ধরুন আমি একজন মানুষ অথচ স্বভাবে ঠিক নদীর মতো সম্ভবত তাই যুগল দেখলেই এখন এড়িয়ে চলি,
একটা নামহীন স্রোত বয়ে যায়, যেখানে তুমি আর আমি একই জলে মিলিনি কখনো। তার উপস্থিতি—একটা নীরব শব্দ, যা বুনো পাখির ডানার মতো হাওয়া কাটে মনে।
জুলাই এসে দাঁড়ায় দরজায়/ ভিজে পাথরের মতো মাথা নিচু করে।/আগস্ট পেছন থেকে কাঁধে হাত রাখে—/আগস্ট পেছন থেকে কাঁধে হাত রাখে—/তাদের মুখে শব্দ নেই,/ শুধু কান্না আর কান্নার অনুবাদ।
ঘুমোতে যাবার ঠিক আগে জানালার পর্দাগুলো আবেগ আর আহ্লাদে ফুলে ফেঁপে উঠল, বাইরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে চোখ বাড়িয়ে বাইরে দেখি, রাস্তা ধুয়ে নিচ্ছে বৃষ্টি
হালকা বৃষ্টির বিকেল। জানালার ধারে বসে আছি, কফির কাপে ধোঁয়া উঠছে, আর ফোনে বাজছে সেই পুরোনো গান—‘তুমি আসবে বলে, অপেক্ষায় বসে আছি…’
পুরো অক্ষাংশজুড়ে আজ দামামা বাজছে শব্দ সৈকতে শিলাবৃষ্টি তাম্রলিপিতে লেখা হবে তোমাদের নাম, তোমাদের কৃত্তি।
বৃষ্টির শব্দে ভিজে যায় ঘরের নীরবতা, জানলার কাচে আছড়ে পড়ে শত রূপকথা। জলের রেখা আঁকে উলটো-পালটা সময়, মনে হয় যেন—কে যেন ডাকছে খুব কায়মনোবায়।
একটা মৃত্যু চেয়েছি— নীরব, নিরুচ্চার, যেখানে শব্দেরা আর খোঁচা দেবে না, প্রশ্নেরা চোখে চোখ রাখবে না আর।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিবাদী কবিতাপাঠ। গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় 'প্রতিবাদী কবিতা পাঠের আয়োজন করে সাহিত্যের ছোটোকাগজ 'স্রোত'।
সম্ভবত কবিতা হলো ঘোমটা পরা সেই বউ, যাকে দেখে পাঠক বিভ্রান্ত হবে। সঠিকের কাছাকাছি যাবে, কিন্তু একদম সঠিক কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছুতে পারবে না। অনেকটা শহীদ কাদরীর ‘কোথাও শান্তি পাবে না পাবে না পাবে না’র পরিস্থিতি।