শরীফুল আলম, যুক্তরাষ্ট্র
একটা দোদুল্যমান সময় পার করছি
এই যেমন ধরুন আমি একজন মানুষ
অথচ স্বভাবে ঠিক নদীর মতো
সম্ভবত তাই যুগল দেখলেই এখন এড়িয়ে চলি,
এই বসন্ত বিকেলে দ্রাঘিমাংশ প্রায় ছুঁই ছুঁই
কিন্তু আলৌকিক ব্যপার হচ্ছে কী জানেন
এই জীবনে রঙিন কাগজের চরকি এখন আর নেই,
তবুও যেটুকু আছে তার সবটাতেই তার ছোঁয়া
আর অণুচ্ছেদে ভয়ের ব্যপার তো আছেই,
আদি শব্দের কথা আর কী বলি
ঠিক যেন কবুতরের বিহ্বল
বলি, আচ্ছা বলোতো ভাস্কর্য কে গড়েছে তোমার গালে?
না হয় তোমাকে ভাবলেই কেন মনে হবে
তুমি যেন পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকা
পুরনো সেই গল্পের ভাঁজ।
এখন বসন্ত মাস
প্রেমের ভরা মৌসুম
নীরব সন্ধ্যা
তোমার ছোঁয়া আমার গায়
তাই সম্ভবত মন কেমন উড়াল দেয় মেঘের নীলে
রূপালি আলোর ছটায়
প্রতি রাতেই আমিও যেন হয়ে উঠি একজন আততায়ী,
আচ্ছা বলো তো, এ কেমন আত্মসমর্পণ!
পশমি বেড়ালের মতো কেবল ভালোবাসা খুঁজি,
তবে কি ভালোবাসা কেবলই গৃহস্থ অভ্যাস?
নাকি প্রত্যহিক?
অংশত তুমি স্বচ্ছ
সন্ধ্যার কাছাকাছি রঙিন কোন সূর্য
যদি বলি তুমি চুনি, তুমি অসহ্য সুন্দর
তুমি আকাশের নীল, কামনায় অস্থির
তাই তো তুমি মুক্তি, মুক্তি, মুক্তি।
সময়ের স্তূপে বসে আছি, অর্থহীন
সংকেত শুধু মিথ্যে কুহক
প্রাণহীন হাসাহাসি
আমাদের যৌথ অতীত
মধ্য দুপুরের মতোই তীব্র হলুদ
আমাদের জলতরঙ্গ, জ্যোৎস্নার জৌলুস
কোনো আবরণ নেই তাতে, কিশোরের কোনো বিস্ময় নেই
আছে আসন্ন মৃত্যুর ঘ্রাণ,
তবুও আমি থাকি ফুলের খুব কাছাকাছি
মাঠের খুব কাছাকাছি, বর্ষার কাছাকাছি
আর সে থাকে বহুদূরে আমার তৃষ্ণায়।
*শরীফুল আলম
নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
একটা দোদুল্যমান সময় পার করছি
এই যেমন ধরুন আমি একজন মানুষ
অথচ স্বভাবে ঠিক নদীর মতো
সম্ভবত তাই যুগল দেখলেই এখন এড়িয়ে চলি,
এই বসন্ত বিকেলে দ্রাঘিমাংশ প্রায় ছুঁই ছুঁই
কিন্তু আলৌকিক ব্যপার হচ্ছে কী জানেন
এই জীবনে রঙিন কাগজের চরকি এখন আর নেই,
তবুও যেটুকু আছে তার সবটাতেই তার ছোঁয়া
আর অণুচ্ছেদে ভয়ের ব্যপার তো আছেই,
আদি শব্দের কথা আর কী বলি
ঠিক যেন কবুতরের বিহ্বল
বলি, আচ্ছা বলোতো ভাস্কর্য কে গড়েছে তোমার গালে?
না হয় তোমাকে ভাবলেই কেন মনে হবে
তুমি যেন পর্দার আড়ালে লুকিয়ে থাকা
পুরনো সেই গল্পের ভাঁজ।
এখন বসন্ত মাস
প্রেমের ভরা মৌসুম
নীরব সন্ধ্যা
তোমার ছোঁয়া আমার গায়
তাই সম্ভবত মন কেমন উড়াল দেয় মেঘের নীলে
রূপালি আলোর ছটায়
প্রতি রাতেই আমিও যেন হয়ে উঠি একজন আততায়ী,
আচ্ছা বলো তো, এ কেমন আত্মসমর্পণ!
পশমি বেড়ালের মতো কেবল ভালোবাসা খুঁজি,
তবে কি ভালোবাসা কেবলই গৃহস্থ অভ্যাস?
নাকি প্রত্যহিক?
অংশত তুমি স্বচ্ছ
সন্ধ্যার কাছাকাছি রঙিন কোন সূর্য
যদি বলি তুমি চুনি, তুমি অসহ্য সুন্দর
তুমি আকাশের নীল, কামনায় অস্থির
তাই তো তুমি মুক্তি, মুক্তি, মুক্তি।
সময়ের স্তূপে বসে আছি, অর্থহীন
সংকেত শুধু মিথ্যে কুহক
প্রাণহীন হাসাহাসি
আমাদের যৌথ অতীত
মধ্য দুপুরের মতোই তীব্র হলুদ
আমাদের জলতরঙ্গ, জ্যোৎস্নার জৌলুস
কোনো আবরণ নেই তাতে, কিশোরের কোনো বিস্ময় নেই
আছে আসন্ন মৃত্যুর ঘ্রাণ,
তবুও আমি থাকি ফুলের খুব কাছাকাছি
মাঠের খুব কাছাকাছি, বর্ষার কাছাকাছি
আর সে থাকে বহুদূরে আমার তৃষ্ণায়।
*শরীফুল আলম
নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
আমেরিকার এক স্টেটে (রাজ্য) এক বাঙাল থাকতে এসেছে। এসে রেস্টুরেন্টে চাকরি নিয়েছে। মাঝে মাঝে পার্কে বেড়াতে যায়। পার্কে রাজহাঁস ঘুরে বেড়ায়। দুনিয়ার অন্য দেশের দর্শনার্থীরা হাঁস দেখে মুগ্ধ হয়, ছবি তোলে। বাঙালের মনে প্রশ্ন আসে, ‘একটি যদি ধরে নিয়ে খেয়ে ফেলি, সমস্যা কী? কেউতো দেখছে না। আর দেখলেই বা কী?
একটা দোদুল্যমান সময় পার করছি এই যেমন ধরুন আমি একজন মানুষ অথচ স্বভাবে ঠিক নদীর মতো সম্ভবত তাই যুগল দেখলেই এখন এড়িয়ে চলি,
একটা নামহীন স্রোত বয়ে যায়, যেখানে তুমি আর আমি একই জলে মিলিনি কখনো। তার উপস্থিতি—একটা নীরব শব্দ, যা বুনো পাখির ডানার মতো হাওয়া কাটে মনে।
শান্তি ধার নেওয়ার জিনিস নয়। শান্তি পারস্পরিক বিষয়। আকাশ দেখলে যাদের দম আটকে যায় তাদের জন্য সাত রঙ কোনোভাবেই ভালো নয়।
আমেরিকার এক স্টেটে (রাজ্য) এক বাঙাল থাকতে এসেছে। এসে রেস্টুরেন্টে চাকরি নিয়েছে। মাঝে মাঝে পার্কে বেড়াতে যায়। পার্কে রাজহাঁস ঘুরে বেড়ায়। দুনিয়ার অন্য দেশের দর্শনার্থীরা হাঁস দেখে মুগ্ধ হয়, ছবি তোলে। বাঙালের মনে প্রশ্ন আসে, ‘একটি যদি ধরে নিয়ে খেয়ে ফেলি, সমস্যা কী? কেউতো দেখছে না। আর দেখলেই বা কী?
১১ ঘণ্টা আগে