ফিলিস্তিনের গাজার সর্বদক্ষিণের শহর রাফা এবং বেশ কয়েকটি পৌর এলাকা খালি করে বাসিন্দাদের অন্যত্র চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গতকাল সোমবার (৩১ মার্চ) ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এ কথা বলেছে।
বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের মধ্যে ঈদ উপলক্ষে চলছে উৎসবের আবহ। কিন্তু এই উপলক্ষও গাজার ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা কাটাতে পারেনি। ঈদের সময়েও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখন্ডটিতে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ঈদের দিন গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
অবিলম্বে গাজা যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে নতুন এক যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হয়েছে হামাস। গতকাল শনিবার (২৯ মার্চ) ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া এক ভাষণে গাজায় হামাসের প্রধান খলিল আল-হাইয়া এ কথা জানান। একই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, হামাস অস্ত্র ছাড়বে না।
গাজা ভূখন্ডে পৃথক ইসরায়েলি হামলায় ২ জন গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছে। তাদের একজন আল-জাজিরার সাংবাদিক। তাঁর নাম হোসাম শাবাত। বয়স ২৩ বছর। তিনি আল-জাজিরা মুবাশ্বেরে কর্মরত ছিলেন।
গাজার একটি হাসপাতালে গতকাল রোববার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা ও তার এক সহযোগী নিহত হয়েছেন।
গাজায় গতকাল শনিবার নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে অন্তত ৩৪ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যার এক দিন পর খান ইউনিসে হামলা চালিয়ে হামাসের এক নেতাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।
তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, তারা বেসামরিক মানুষদের নিহত হওয়ার ঘটনায় মর্মাহত। ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
গাজা ভূখন্ডে নতুন যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইসরায়েলে হাজার হাজার ইসরায়েলি নাগরিক রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ডানপন্থী সরকারের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ করেন তারা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতে বলেছেন, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে 'পূর্ণ শক্তিতে লড়াই শুরু করেছে' তেলআবিব।
গাজা ভূখন্ডের বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩০ জনে পৌঁছেছে। আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোরে এই বিমান হামলা চালানো হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউরোপের প্রধান ৪টি দেশ বলেছে, তারা ফিলিস্তিনের গাজা পুনর্গঠনে আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাকে সমর্থন করে। আরব-সমর্থিত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত না করেই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখল এবং এখানকার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আরব লিগের বিকল্প প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)।
ফিলিস্তিনের গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি দিতে হামাসকে ‘শেষ সতর্কবার্তা’ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যথায় ‘নরকের পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প এই হুঁশিয়ারি দেন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠনে আরব নেতারা যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল প্রত্যাখ্যান করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রস্তাবেই অটল রয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির এক কর্মকর্তা।
ফিলিস্তিনের রাফা শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অন্তত ২ জন নিহত এবং খান ইউনিসে আরও ৩ জন আহত হয়েছে। এর ফলে যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়া নিয়ে আশঙ্কা বেড়েছে।
গাজা ভূখন্ডে সব মানবিক সহায়তার প্রবেশ বন্ধ করায় ইসরায়েলের প্রতি নিন্দা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি আরব দেশ ও জাতিসংঘ।
শীর্ষস্থানীয় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তাদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি সৌহার্দ্যমূলক বৈঠকের আয়োজন করেছে সৌদি আরব। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সৌদি আরব বলেছে, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়বে না। সৌদি আরব ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানাচ্ছে না বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের পর আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এই কথা বলেছে রিয়াদ।
গাজা ভূখন্ডে চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জাতিহত্যা (জেনোসাইড) চালাচ্ছে ইসরায়েল। অ্যামনেস্টি বলেছে, কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন ঘটনা ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বক্তব্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে তারা এমন উপসংহারে পৌঁছেছে।