বিডিজেন ডেস্ক
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার মতো অস্ট্রেলিয়াও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ জানিয়েছেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আগামী সেপ্টেম্বর অধিবেশনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে দেশটি।
আজ সোমবার (১১ আগন্ট) প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ জানান, অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) কাছ থেকে কয়েকটি প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে—নিরস্ত্রীকরণ, সাধারণ নির্বাচন আয়োজন এবং ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতার চক্র ভাঙার এবং গাজায় সংঘাত, কষ্ট ও অনাহারের অবসান ঘটানোর সর্বোত্তম উপায়।
আলবানিজ বলেন, তাঁর সরকার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত দুই সপ্তাহে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা শেষে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে একটি সুযোগ এসেছে, এবং অস্ট্রেলিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে সেটিকে কাজে লাগাবে।’
এদিকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে থাকা ইসরায়েল বলেছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে ‘সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা’।
ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও জানিয়েছে, তারা এ ধরনের পদক্ষেপ নেবে না (স্বীকৃতি দেওয়া) এবং তারা মনে করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে হামাসকে পুরস্কৃত করা।
গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া দেশগুলোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় দেশগুলো এবং অস্ট্রেলিয়া যদি সেই গহ্বরের মধ্যে প্রবেশ করে, এটি হতাশাজনক। আমার মনে হয় এটি আসলে লজ্জাজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা জানে, যদি মেলবোর্ন বা সিডনির একেবারে পাশে এ ধরনের ভয়াবহ হামলা হতো, তাহলে কী করত। আমার মনে হয়, অন্তত আমরা যা করছি, আপনারাও তাই করতেন।’
সাম্প্রতিক দিনে গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েল সমালোচনার মুখে পড়েছে। জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূতরা এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন, যদিও নেতানিয়াহুর দাবি এটি যুদ্ধ শেষ করার ‘সর্বোত্তম উপায়’।
গত বছর স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, এই আশা নিয়ে যে এটি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতিকে ত্বরান্বিত করবে।
বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের মর্যাদা ‘স্থায়ী পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে, যা আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয় তবে ভোটাধিকার দেয় না।
ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এর আগে জানিয়েছিল, রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাওয়া মানে তাদের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি বিশ্বব্যাপী সমর্থন বৃদ্ধি পাওয়া।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত শনিবার থেকে গাজায় অনাহার ও পুষ্টিহীনতায় আরও ৫জনের মৃত্যু হয়েছে, এতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৭ জনে। এ ছাড়া, মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে মোট ৬১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ওই বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার জবাবে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের সেই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং আরও ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার মতো অস্ট্রেলিয়াও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ জানিয়েছেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আগামী সেপ্টেম্বর অধিবেশনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে দেশটি।
আজ সোমবার (১১ আগন্ট) প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ জানান, অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) কাছ থেকে কয়েকটি প্রতিশ্রুতি পেয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে—নিরস্ত্রীকরণ, সাধারণ নির্বাচন আয়োজন এবং ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতার চক্র ভাঙার এবং গাজায় সংঘাত, কষ্ট ও অনাহারের অবসান ঘটানোর সর্বোত্তম উপায়।
আলবানিজ বলেন, তাঁর সরকার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত দুই সপ্তাহে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা শেষে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে একটি সুযোগ এসেছে, এবং অস্ট্রেলিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে সেটিকে কাজে লাগাবে।’
এদিকে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে থাকা ইসরায়েল বলেছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে ‘সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা’।
ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও জানিয়েছে, তারা এ ধরনের পদক্ষেপ নেবে না (স্বীকৃতি দেওয়া) এবং তারা মনে করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া মানে হামাসকে পুরস্কৃত করা।
গতকাল রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া দেশগুলোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় দেশগুলো এবং অস্ট্রেলিয়া যদি সেই গহ্বরের মধ্যে প্রবেশ করে, এটি হতাশাজনক। আমার মনে হয় এটি আসলে লজ্জাজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা জানে, যদি মেলবোর্ন বা সিডনির একেবারে পাশে এ ধরনের ভয়াবহ হামলা হতো, তাহলে কী করত। আমার মনে হয়, অন্তত আমরা যা করছি, আপনারাও তাই করতেন।’
সাম্প্রতিক দিনে গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েল সমালোচনার মুখে পড়েছে। জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূতরা এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন, যদিও নেতানিয়াহুর দাবি এটি যুদ্ধ শেষ করার ‘সর্বোত্তম উপায়’।
গত বছর স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, এই আশা নিয়ে যে এটি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতিকে ত্বরান্বিত করবে।
বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের মর্যাদা ‘স্থায়ী পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’ হিসেবে, যা আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয় তবে ভোটাধিকার দেয় না।
ইসরায়েল-অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এর আগে জানিয়েছিল, রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাওয়া মানে তাদের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি বিশ্বব্যাপী সমর্থন বৃদ্ধি পাওয়া।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত শনিবার থেকে গাজায় অনাহার ও পুষ্টিহীনতায় আরও ৫জনের মৃত্যু হয়েছে, এতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৭ জনে। এ ছাড়া, মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে মোট ৬১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ওই বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার জবাবে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের সেই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং আরও ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিডনিতে চট্টগ্রাম ক্লাব অস্ট্রেলিয়ার (সিসিএ) উদ্যোগে ‘মেজবান ২০২৫’-এর সফলতা উদ্যাপন উপলক্ষে এক বিশেষ পারিবারিক মধ্যাহ্নভোজ ও মিলনমেলার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সৌদি আরবের বন্দর নগরী জেদ্দায় এই ঐতিহাসিক উদ্যোগের প্রতি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাড়া এখনো আশানুরূপ নয়। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন, তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ২ হাজার ৫০০ জন ভোটার হিসেবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
ড. আসিফ নজরুল তার আলোচনার শুরুতে বাহরাইন ও বাংলাদেশের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সর্ম্পকের কথা তুলে ধরেন। তিনি দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন। বিশেষ করে বাহরাইনে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা শ্রমবাজার ও ভিসা উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
এ বছর সূচকে চীনের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। ২০২৪ সালে ১৯তম অবস্থান থেকে উঠে এসে এবার ৬ষ্ঠ হয়েছে দেশটি। অন্যদিকে মালয়েশিয়া প্রথমবারের মতো শীর্ষ ১০-এ প্রবেশ করেছে। ভিয়েতনাম রয়েছে ৫ম স্থানে।