বাংলাদেশে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৫৩ কোটি (২.৫৩ বিলিয়ন) ইউএস ডলার। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার। এদিকে আগের মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার।
প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আমাদের দেশের অন্যতম চালিকা শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এই তিন মাসে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এরপরেই রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এমন তথ্য দিয়েছে।
রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এলেও, গত বছরে বিদেশে বাংলাদেশি কর্মী যাওয়া কমেছে ২২ দশমিক পাঁচ শতাংশ। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুসারে, গত বছর বিদেশে গেছেন
বাংলাদেশে ২০২৪ সালে রেমিট্যান্স প্রবাহের নতুন রেকর্ড হয়েছে। পুরো বছরে দেশে এসেছে মোট প্রায় ২৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার।
‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২৪’ ও ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে স্পেন থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণে শীর্ষ দুজন ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পদক দিয়েছে স্পেনের বাংলাদেশ দূতাবাস।
শাকিব খান ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, প্রিয়াংকা জামান, মিম চৌধুরী, সংগীতশিল্পী পুলক অধিকারী, কাজল আরিফ এবং আসিয়া ইসলাম দোলা।
সদ্য সমাপ্ত নভেম্বর মাসে দেশে ২২০ কোটি ইউএস ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার মতো (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। গত বছরের নভেম্বরে দেশে এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয়
যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসা প্রবাসী আয় গ্রহণের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গ্রহীতা হিসেবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ রেমিট্যান্স ফেয়ার ২০২৪-এ পুরস্কৃত হয়েছে বাংলাদেশের ন্যাশনাল ব্যাংক। শীর্ষ রেমিট্যান্স ব্যাংক গ্রহীতা ২০২৪ পুরস্কার পেয়েছে তারা।
আমদানি বিল দেড় বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ১ হাজার ৮৪৬ কোটি (১৮.৪৬ বিলিয়ন) ডলারে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ব্রিটিশ-বাংলাদেশি পেশাজীবীদের উদ্যোগে ‘দেড় কোটি প্রবাসী বাংলাদেশি : জাতি গঠনে তারা কীভাবে ভূমিকা পালন করতে পারেন’ শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশিদের তিন দিনব্যাপী কনস্যুলার সেবা প্রদান করা হয়েছে। কনস্যুলার সেবা প্রদানকালে বৈধ পথে দেশে রেমিট্যান্স বাড়াতে প্রচারণা সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসী বাংলাদেশিরা ৮ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিলো ৬ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ সরকারের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) পাসপোর্টসংক্রান্ত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রেমিট্যান্স শাটডাউনের হুমকি দিয়েছেন মালয়েশিয়াপ্রবাসীরা।
গ্রিস থেকে বাংলাদেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহ দিতে ‘রেমিট্যান্স উৎসব’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস।
চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ২৬ দিনে (১ থেকে ২৬ অক্টোবর) দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯৪ কোটি ৯৩ লাখ ইউএস ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২৩ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা।
রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের জন্য ভূমিকা রাখায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রশংসা করে ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ বলেন, আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে উদ্বুদ্ধ করছে।
অক্টোবর মাসের প্রথম ১৯ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৩ কোটি ২৬ লাখ ইউএস ডলার। প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দুই দিনব্যাপী রেমিট্যান্স ফেয়ারের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মানি ট্রান্সফার অপারেটর, মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো এই মেলায় অংশগ্রহণ করছে।
জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থানে প্রবাসীদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দূতাবাস ও হাইকমিশন ঘেরাও, সভা-সমাবেশ ও বিক্ষোভ করেছেন দিনের পর দিন।