কানাডার ওপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত নতুন শুল্ক আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে টয়লেট পেপারের সংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতি ২০২০ সালের করোনাভাইরাস মহামারির সময়কার ভয়াবহ স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে পারে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও সামরিক সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁর দেশের যে পুরোনো সম্পর্ক ছিল, তা শেষ হয়ে গেছে। অটোয়ায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
কানাডা ও মেক্সিকোর অধিকাংশ পণ্যের ওপর চলতি সপ্তাহে আরোপ করা ২৫ শতাংশ শুল্ক সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এ পদক্ষেপ নেন তিনি।
কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম সরবরাহকারী দেশ। ২০২৪ সালের প্রথম ১১ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানিকৃত অ্যালুমিনিয়ামের ৭৯ শতাংশই এসেছে কানাডা থেকে। কানাডা ২০২৪ সালে ২৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউএস ডলারের স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমেরিকায় রপ্তানি করেছিল।
কানাডার সঙ্গে বাণিজ্যিক টানাপোড়েন সাময়িকভাবে শিথিল করেছেন যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২ দফা ফোনালাপের পর তিনি কানাডার পণ্যের ওপর আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্ক আগামী ৩০ দিনের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার সব পণ্যের ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করার পর কানাডা পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
সীমান্তে অবৈধ অভিবাসনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় কানাডা কুইবেকে একটি নতুন ‘প্রসেসিং সেন্টার’ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তের কাছে কুইবেকের সেন্ট-বার্নার্ড-ডি-লাকোলে এই সেন্টারটি স্থাপন করা হবে।
রেস্তোরাঁ, ওষুধ, মোবাইল ফোন, আইএসপি সেবা, মোটরগাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপসহ বেশ কিছু পণ্যের ওপর থেকে বাড়তি মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে এ–সংক্রান্ত ২টি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। অধ্যাদেশ ২টি হলো মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।
চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। ফলে এসব পণ্য ও সেবার খরচ বাড়বে।
১. আকাশ বা জলপথে আসা ১২ (বারো) বছর বা তদূর্ধ বয়সের যাত্রীর সঙ্গে আনা হাতব্যাগ, কেবিনব্যাগ বা অন্য উপায়ে আনা মোট ৬৫ (পঁয়ষট্টি) কেজি ওজনের বেশি নয় এমন ব্যাগেজ* সকল প্রকার শুল্ক ও কর পরিশোধ....
১. কোনো যাত্রী শুল্ক ও কর আরোপযোগ্য পণ্য সঙ্গে না আনলে তিনি বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল (যদি থাকে) ব্যবহার করতে পারবেন। ২. গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমকারী সর্বোচ্চ....