দালাল চক্র ইতালির কথা বলে জুয়েলকে লিবিয়ায় নিয়ে যায়। এরপর ৯ মাস ধরে আটকে রেখে নির্যাতন করে দফায় দফায় বিপুল অঙ্কের টাকা মুক্তিপণ নেয়। ঋণে জর্জরিত পরিবার জুয়েলকে দেশে ফেরত আনতে চেয়েও পারছে না।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মানবপাচারকারী চক্রের মূলহোতা ওয়াসকুরনীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের চেরাসে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মানবপাচারকারী চক্রের সন্ধান পেয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
দেশে কেউ কৃষিকাজ করতেন, কেউ ছিলেন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। কেউবা পড়ালেখা করতেন। এমন ১৮ তরুণ-যুবক পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে স্বপ্নের খোঁজে দালালের মাধ্যমে ইতালি যাওয়ার জন্য ঘর ছাড়েন। কিন্তু তারা ইতালি পৌঁছাতে পারেননি।
স্পেনে পাঠানোর আশ্বাস দিয়ে সুনামগঞ্জের এক যুবককে লিবিয়ায় পাচারের অভিযোগে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার সিলেট মহানগরের কোতোয়ালি মডেল থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলাটি করা হয়।
ইন্দোনেশিয়া থেকে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টাকালে ২৪ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির রিও প্রদেশের দুমাই নৌ-সদর দপ্তর বিভাগ। এ সময় ১৭ জন ইন্দোনেশিয়ার নাগরিককেও আটক করা হয়েছে।
ভারতে ২ বছর কারাভোগের পর মানব পাচারের শিকার ২৪ জন বাংলাদেশি নারী ও পুরুষকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
জার্মানিতে গিয়ে উন্নত জীবনযাপনের স্বপ্ন ছিল লিটন চৌধুরীর। সেই দেশে যেতে বেলারুশ সীমান্ত দিয়ে পোল্যান্ডে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু তিনিসহ কয়েকজন অভিবাসন-প্রত্যাশী পোল্যান্ড পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান। তাদের পুশব্যাক করা হয়।
মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল ২০ হাজার টাকা। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরের ২৭ রোহিঙ্গা ও ৪ বাংলাদেশি ছিলেন ওই দলে।
উচ্চ বেতনে কিউবায় নেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ পথে ভানুয়াতুতে নিয়ে প্রতারণা করায় প্রবাসী দুই ভাই ও ভাবিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন বরিশালের একটি আদালত।
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৫৭ জন আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিক। মঙ্গলবার একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা।
কক্সবাজারে টেকনাফের সাগর উপকূল দিয়ে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে জড়ো করা ২০ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার লোকজনের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি আর ১২ জন রোহিঙ্গা নাগরিক।
ফরিদপুরে দালালদের প্রলোভনে পড়ে অবৈধপথে ইতালি যাত্রা বেড়েছে। তবে ভাগ্য সহায় না হলে জীবন ও তাঁর পরিবারে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। কেউ মাফিয়া চক্রের হাতে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়, কেউ বা উত্তাল ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যান।