প্রতিবেদক, বিডিজেন
দালালের খপ্পরে পড়ে কয়েকজন বাংলাদেশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার সময় তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘দালাল চক্রের কবলে পড়ে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে আমরা জানতে পেরেছি। একটি বাংলাদেশি এজেন্সি রাশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশিকে রাশিয়ায় পাঠায়। এক পর্যায়ে তাদেরকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়াতে বাধ্য করা হয়।’
এ বিষয়ে মস্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাসে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং এ ধরনের কাজে জড়িত রিক্রুটিং ও ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি যে, রাশিয়ায় মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকা চক্রের একজনকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
রফিকুল আলম আরও বলেন, ‘এ ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় গমনেচ্ছুদের জন্য অথবা যাদের পাসপোর্টে রাশিয়া ভ্রমণের বৈধ ভিসা আছে, তাদের জন্য দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
তিনি জানান, ইতিমধ্যে সোলায়মান কবির নামক একজন বাংলাদেশি দালালের খপ্পরে পড়ে রাশিয়ায় গিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তিনি পালিয়ে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাসে অবস্থান নিলে দূতাবাস তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এভাবে বাংলাদেশ দূতাবাসে কেউ যদি যোগাযোগ করে তাদের সমস্যার বিষয়টি জানায় তাহলে দূতাবাস তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
আরও পড়ুন
দালালের খপ্পরে পড়ে কয়েকজন বাংলাদেশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার সময় তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘দালাল চক্রের কবলে পড়ে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে আমরা জানতে পেরেছি। একটি বাংলাদেশি এজেন্সি রাশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশিকে রাশিয়ায় পাঠায়। এক পর্যায়ে তাদেরকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়াতে বাধ্য করা হয়।’
এ বিষয়ে মস্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাসে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং এ ধরনের কাজে জড়িত রিক্রুটিং ও ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি যে, রাশিয়ায় মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকা চক্রের একজনকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
রফিকুল আলম আরও বলেন, ‘এ ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় গমনেচ্ছুদের জন্য অথবা যাদের পাসপোর্টে রাশিয়া ভ্রমণের বৈধ ভিসা আছে, তাদের জন্য দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
তিনি জানান, ইতিমধ্যে সোলায়মান কবির নামক একজন বাংলাদেশি দালালের খপ্পরে পড়ে রাশিয়ায় গিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তিনি পালিয়ে মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাসে অবস্থান নিলে দূতাবাস তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। এভাবে বাংলাদেশ দূতাবাসে কেউ যদি যোগাযোগ করে তাদের সমস্যার বিষয়টি জানায় তাহলে দূতাবাস তাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
আরও পড়ুন
‘আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। তাদের [প্রবাসী] দুটি সমস্যার কথা তুলেছিলাম—একটা হচ্ছে আইডি কার্ড। এটা অবশ্যই হবে, যদিও কিছু জটিলতা আছে। তার বাইরে অন্য কোনো ডকুমেন্ট দিয়ে করা যায় কি না, আজ নির্বাচন কমিশন বলেছে যে, জন্মসনদের মাধ্যমেও ভোটার হওয়া সম্ভব। এতে একটা সমাধান পাওয়া যেতে পারে।’
মানবপাচারের পৃথক ৩টি মামলায় এক প্রবাসী ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মামলার বাদীদের অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তা দাবি অনুযায়ী ঘুষের টাকা না পেয়ে সাক্ষী (প্রবাসীর স্ত্রী) এবং তার প্রবাসী স্বামীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে অবস্থানরত ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটককৃতদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ১৮৮ জন দেশে ফিরে এলেও এখনো আবুধাবি কারাগারে আটক আছে ২৫ জন প্রবাসী। তাদের মুক্তির বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কুটনৈতিক ও আইনী প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।