বিডিজেন ডেস্ক
দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে লিবিয়ায় গিয়ে এক বছর যাবৎ নিখোঁজ শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার ২৪ তরুণ-যুবক। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাদের স্বজনেরা। নিরুপায় হয়ে তারা এখন আছাড়ি-পিছাড়ি খাচ্ছেন আদালত চত্বরে।
খবর আজকের প্রতিকার।
দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান পেতে আমরণ অনশনে বসেছেন নিখোঁজ ২৪ পরিবারের স্বজনেরা।
গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে শুরু হয়েছে এ অনশন। রোববার দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা যায় মাটিতে গড়াগড়ি করে কান্নাকাটি করছেন তাদের কেউ কেউ।
খোঁজ নিয়ে ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২২ ও ২০২৩ সালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ মধ্যপাড়া, দক্ষিণ ভাষানচর, নতুন হাট, চর নেয়ামতপুর, চর ভাষানচর, চাপাতলী, চরচাটাং মাদারীপুর সদরের জাগীর, জাফরাবাদ, ত্রিভাগাদি, কালকিনির সূর্যমণি এলাকার ২৪ যুবক ও তরুণকে অবৈধ পথে লিবিয়া থেকে ইতালি পাঠানোর জন্য বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, তারপর মিসর হয়ে লিবিয়া পাঠানো হয়। এর পর থেকে তারা নিখোঁজ আছেন। ওই ২৪ তরুণ-যুবকের পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে ২০ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালালচক্রটি।
২০২৪ সালের ২২ মার্চ থেকে ওই ২৪ জনের পরিবারের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করছে না বলে দাবি করেছেন স্বজনেরা। এখন তারা কোথায়, কী অবস্থায় আছেন, তাও জানেন না পরিবারের লোকজন।
পুলিশ ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনেরা জানান, শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারীয়া ইউনিয়নের চর যাদবপুর গ্রামের রাশেদ খান ও তাঁর ভাইয়েরা বিভিন্ন দেশে জনশক্তি পাঠানোর কাজ করেন।
রাশেদ খান ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের আদালত ও সদরের পালং মডেল থানায় ১১টি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের স্বজনেরা। এসব মামলা করার পর পুলিশ রাশেদ খান ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের জন্য তৎপর হয়। গত শুক্রবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাশেদ খানকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাশেদের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে নিখোঁজ ২৪ তরুণ-যুবকের স্বজনেরা শরীয়তপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে ব্যানার টানিয়ে অনশনে বসেন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও তাঁদের শিশুসন্তানদের অনশনে দেখা যায়। এ সময় স্বজন হারানোর শঙ্কায় আদালত চত্বরে বুকফাটা আর্তচিৎকার ও গড়াগড়ি খেতে দেখা গেছে স্বজনদের।
অনশনে যোগ দিয়ে আদালত চত্বরে মাটিতে গড়াগড়ি করে কান্না করছিলেন রিয়াজ আকন। তাঁর ছোট ভাই দিদার হোসেন ইতালি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়েছেন। রিয়াজ বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। পরিবারের অভাব দূর করার জন্য জমি ও গরু বিক্রি করে ছোট ভাইকে ইতালি পাঠানোর জন্য দালাল রাশেদকে ২০ লাখ টাকা দিই। কিন্তু দালাল আমার ভাইকে লিবিয়া নিয়ে অবৈধ পথে সমুদ্র দিয়ে ইতালি পাঠানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এক বছর ধরে ভাইয়ের সন্ধান পাচ্ছি না। সে বেঁচে আছে, না মরে গেছে, কিছুই বলতে পারছি না। আমরা স্বজনদের সন্ধান চাই। আর রাশেদসহ দালাল চক্রের সবার শাস্তি চাই।’
এ সময় আদালত চত্বরে নিখোঁজ শাহীন শিকদারের মা রুমা বেগম, ফারুক হোসেনের মা মাহফুজা বেগম, সরদার সাকেবুলের মা শিয়িয়া বেগম, শামীম কাজীর মা সাথী বেগম, আতিকুর রহমানের বোন আফরোজা আক্তার, রফিক মোড়লের মা রহিমা বেগম, আমিনুল ইসলামের মা কমলা বেগম, দিপু শিকদারের বাবা ইউনুস শিকদারসহ অনেকের বুকফাটা কান্না ও গড়াগড়িতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মানব পাচারের ৫৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩টি মামলা তদন্ত করছে জেলা পুলিশ, সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে ২০টি মামলা। এজাহারে অভিযুক্ত সংখ্যা ২৬০ জন। এর মধ্যে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে এবং দুটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রাশেদ খান নামে মানবপাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
মূত্র: আজকের প্রতিকা
দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে লিবিয়ায় গিয়ে এক বছর যাবৎ নিখোঁজ শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার ২৪ তরুণ-যুবক। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাদের স্বজনেরা। নিরুপায় হয়ে তারা এখন আছাড়ি-পিছাড়ি খাচ্ছেন আদালত চত্বরে।
খবর আজকের প্রতিকার।
দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান পেতে আমরণ অনশনে বসেছেন নিখোঁজ ২৪ পরিবারের স্বজনেরা।
গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে শুরু হয়েছে এ অনশন। রোববার দুপুরে সেখানে গিয়ে দেখা যায় মাটিতে গড়াগড়ি করে কান্নাকাটি করছেন তাদের কেউ কেউ।
খোঁজ নিয়ে ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২২ ও ২০২৩ সালে শরীয়তপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ মধ্যপাড়া, দক্ষিণ ভাষানচর, নতুন হাট, চর নেয়ামতপুর, চর ভাষানচর, চাপাতলী, চরচাটাং মাদারীপুর সদরের জাগীর, জাফরাবাদ, ত্রিভাগাদি, কালকিনির সূর্যমণি এলাকার ২৪ যুবক ও তরুণকে অবৈধ পথে লিবিয়া থেকে ইতালি পাঠানোর জন্য বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাত, তারপর মিসর হয়ে লিবিয়া পাঠানো হয়। এর পর থেকে তারা নিখোঁজ আছেন। ওই ২৪ তরুণ-যুবকের পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্নভাবে ২০ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালালচক্রটি।
২০২৪ সালের ২২ মার্চ থেকে ওই ২৪ জনের পরিবারের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করছে না বলে দাবি করেছেন স্বজনেরা। এখন তারা কোথায়, কী অবস্থায় আছেন, তাও জানেন না পরিবারের লোকজন।
পুলিশ ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনেরা জানান, শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারীয়া ইউনিয়নের চর যাদবপুর গ্রামের রাশেদ খান ও তাঁর ভাইয়েরা বিভিন্ন দেশে জনশক্তি পাঠানোর কাজ করেন।
রাশেদ খান ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের আদালত ও সদরের পালং মডেল থানায় ১১টি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের স্বজনেরা। এসব মামলা করার পর পুলিশ রাশেদ খান ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের জন্য তৎপর হয়। গত শুক্রবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাশেদ খানকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাশেদের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে নিখোঁজ ২৪ তরুণ-যুবকের স্বজনেরা শরীয়তপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে ব্যানার টানিয়ে অনশনে বসেন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও তাঁদের শিশুসন্তানদের অনশনে দেখা যায়। এ সময় স্বজন হারানোর শঙ্কায় আদালত চত্বরে বুকফাটা আর্তচিৎকার ও গড়াগড়ি খেতে দেখা গেছে স্বজনদের।
অনশনে যোগ দিয়ে আদালত চত্বরে মাটিতে গড়াগড়ি করে কান্না করছিলেন রিয়াজ আকন। তাঁর ছোট ভাই দিদার হোসেন ইতালি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়েছেন। রিয়াজ বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। পরিবারের অভাব দূর করার জন্য জমি ও গরু বিক্রি করে ছোট ভাইকে ইতালি পাঠানোর জন্য দালাল রাশেদকে ২০ লাখ টাকা দিই। কিন্তু দালাল আমার ভাইকে লিবিয়া নিয়ে অবৈধ পথে সমুদ্র দিয়ে ইতালি পাঠানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এক বছর ধরে ভাইয়ের সন্ধান পাচ্ছি না। সে বেঁচে আছে, না মরে গেছে, কিছুই বলতে পারছি না। আমরা স্বজনদের সন্ধান চাই। আর রাশেদসহ দালাল চক্রের সবার শাস্তি চাই।’
এ সময় আদালত চত্বরে নিখোঁজ শাহীন শিকদারের মা রুমা বেগম, ফারুক হোসেনের মা মাহফুজা বেগম, সরদার সাকেবুলের মা শিয়িয়া বেগম, শামীম কাজীর মা সাথী বেগম, আতিকুর রহমানের বোন আফরোজা আক্তার, রফিক মোড়লের মা রহিমা বেগম, আমিনুল ইসলামের মা কমলা বেগম, দিপু শিকদারের বাবা ইউনুস শিকদারসহ অনেকের বুকফাটা কান্না ও গড়াগড়িতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মানব পাচারের ৫৩টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩টি মামলা তদন্ত করছে জেলা পুলিশ, সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে ২০টি মামলা। এজাহারে অভিযুক্ত সংখ্যা ২৬০ জন। এর মধ্যে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে এবং দুটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রাশেদ খান নামে মানবপাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
মূত্র: আজকের প্রতিকা
ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলা হত্যা মামলায় ৩ অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া, মামলা থেকে খালাস পেয়েছে ৪ জন।
বিটিআরসির নতুন নীতিমালা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সবার সঙ্গে আলোচনা করে নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গুমের ঘটনায় সেনাবাহিনীর কোনো সদস্যের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সেনাসদর। সেনাবাহিনীতে থাকা সদস্যদের মধ্যে যারা বিভিন্ন সংস্থায় ডেপুটেশনে কর্মরত, তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ উঠেছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে অভিন্ন মত পোষণ করেছে এবং এই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ঐকমত্য আছে।