২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে যারা শঙ্কা প্রকাশ করছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি—যাতে জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়।’
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, রাজনৈতিক উত্তাপ ততই বাড়ছে। দেশে বসবাসরত মানুষদের মতোই ইউরোপে বসবাসকারী লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকও এই নির্বাচন নিয়ে গভীরভাবে ভাবছেন, আলোচনা করছেন এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নিয়ে আশা-আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন পদযাত্রা পদে পদে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, দেশে উন্নয়ন ছিল, কিন্তু সবার জন্য ছিল না। ১৫ বছর দেশে গণতন্ত্র থাকলেও সবার গণতন্ত্র ছিল না। গত ১৫ বছরে দেশের সব স্তর ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এসব স্তর মেরামতের জন্য ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। সবার সহযোগিতা ছাড়া এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে আরেকটি এক-এগারোর পাঁয়তারা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এমনটি জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যত নিয়ে সিদ্ধান্ত দেশটির জনগণই নেবে। মঙ্গলবার দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ৩১ দফার মূল কথা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ উল্লেখ করে বলেন, এর মূল কথা বৈষম্যহীন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশের প্রত্যাশা প্রত্যেক মানুষের। যে বাংলাদেশে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার থাকবে, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থাকবে।
বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। রাজতন্ত্র বা পরিবারতন্ত্রের জন্য নয়। ১৯৭১ সালে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। যার ভিত্তি ছিল গণতান্ত্রিক চেতনা। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের রাজনীতি পরিবারতন্ত্রের শৃঙ্খলে বন্দী হয়ে পড়েছে।