প্রতিবেদক, বিডিজেন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘দেশ পরিচালনার দায়িত্ব জনগণ ঠিক করবে, তারা কাদের (দায়িত্ব) দেবে। কাজেই এই বিষয় (নির্বাচন) যত দেরি হবে, আমরা মনে করি, বিভিন্নভাবে ধারণা করি, তাতে করে সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না।’
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটশন মিলনায়তনে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তারেক রহমান ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আহত বিভিন্ন গণমাধ্যমের আলোকচিত্র সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বিএনপির দেওয়া ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা আড়াই বছর আগে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। তখন কেউ সংস্কারের কথা বলেনি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, এই স্বৈরাচারের (শেখ হাসিনা) পতন হবে। পতনের পরে যেভাবে তারা দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছে, এর মেরামত প্রয়োজন হবে। মেরামত করতে হলে একটা পরিকল্পনা প্রয়োজন। এখন যাঁরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার কথা বলছেন, এ কথাটি আমরা অনেক দিন আগে বলেছিলাম।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ৩১ দফার মূল কথা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ উল্লেখ করে বলেন, এর মূল কথা বৈষম্যহীন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশের প্রত্যাশা প্রত্যেক মানুষের। যে বাংলাদেশে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার থাকবে, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থাকবে।
তিনি বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক অধিকার যদি প্রতিষ্ঠিত করা না যায়, সবকিছুই নষ্ট হয়ে যাবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের অনেক মৌলিক সমস্যা আছে, যার একটি বেসিক সমাধানের পরিকল্পনা আমাদের ৩১ দফায় দিয়েছি। আমরা যদি মানুষের সমস্যার সমাধান করতে না পারি, তাহলে উচ্চকক্ষই বলুন, এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হবে না বলুন, আরও যথাযথ ক্ষমতার ভারসাম্য—যত যা–ই বলি না কেন, দিন শেষে মানুষের কোনো উপকার হবে না।’
বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণে একটি ‘জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার’ প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘এ দেশের মূল মালিক বাংলাদেশের জনগণ। কাজেই বাংলাদেশের জনগণের সেই অধিকার আছে এই দেশ নিয়ে কী হবে না হবে, এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার। সমগ্র পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলতে যা বোঝায়, সেটি হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ তাঁদের মতামত ব্যক্ত করে থাকেন।’
তারেক রহমান বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তারা কী চায়। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তার জবাব দিয়ে থাকে তারা দেশ সম্পর্কে কী বলতে চায়। আবার রাজনীতিবিদকে তারা কী বলতে চায়, সেটাও তারা নির্বাচনের মাধ্যমে বলে থাকে। জনগণের অধিকার যদি জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হয়, দেশ কীভাবে কী হবে—এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ জনগণের। তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের অধিকার যত দ্রুত জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারব, আমি বিশ্বাস করি তত দ্রুত আমরা দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হব।’
অনুষ্ঠানে গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার আলোকচিত্র সাংবাদিকদের প্রতি সহমর্মিতা এবং সম্মান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তাঁর পক্ষ থেকে আহত সাংবাদিকদের আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’–এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহসম্পাদক আশরাফউদ্দিন, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসিন, সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার, জ্যেষ্ঠ ফটো সাংবাদিক বুলবুল আহমেদ, তারিফ রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘দেশ পরিচালনার দায়িত্ব জনগণ ঠিক করবে, তারা কাদের (দায়িত্ব) দেবে। কাজেই এই বিষয় (নির্বাচন) যত দেরি হবে, আমরা মনে করি, বিভিন্নভাবে ধারণা করি, তাতে করে সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না।’
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটশন মিলনায়তনে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তারেক রহমান ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আহত বিভিন্ন গণমাধ্যমের আলোকচিত্র সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বিএনপির দেওয়া ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা আড়াই বছর আগে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি। তখন কেউ সংস্কারের কথা বলেনি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, এই স্বৈরাচারের (শেখ হাসিনা) পতন হবে। পতনের পরে যেভাবে তারা দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছে, এর মেরামত প্রয়োজন হবে। মেরামত করতে হলে একটা পরিকল্পনা প্রয়োজন। এখন যাঁরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার কথা বলছেন, এ কথাটি আমরা অনেক দিন আগে বলেছিলাম।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ৩১ দফার মূল কথা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ উল্লেখ করে বলেন, এর মূল কথা বৈষম্যহীন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশের প্রত্যাশা প্রত্যেক মানুষের। যে বাংলাদেশে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার থাকবে, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থাকবে।
তিনি বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক অধিকার যদি প্রতিষ্ঠিত করা না যায়, সবকিছুই নষ্ট হয়ে যাবে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের অনেক মৌলিক সমস্যা আছে, যার একটি বেসিক সমাধানের পরিকল্পনা আমাদের ৩১ দফায় দিয়েছি। আমরা যদি মানুষের সমস্যার সমাধান করতে না পারি, তাহলে উচ্চকক্ষই বলুন, এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হবে না বলুন, আরও যথাযথ ক্ষমতার ভারসাম্য—যত যা–ই বলি না কেন, দিন শেষে মানুষের কোনো উপকার হবে না।’
বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণে একটি ‘জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার’ প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘এ দেশের মূল মালিক বাংলাদেশের জনগণ। কাজেই বাংলাদেশের জনগণের সেই অধিকার আছে এই দেশ নিয়ে কী হবে না হবে, এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার। সমগ্র পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলতে যা বোঝায়, সেটি হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ তাঁদের মতামত ব্যক্ত করে থাকেন।’
তারেক রহমান বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তারা কী চায়। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তার জবাব দিয়ে থাকে তারা দেশ সম্পর্কে কী বলতে চায়। আবার রাজনীতিবিদকে তারা কী বলতে চায়, সেটাও তারা নির্বাচনের মাধ্যমে বলে থাকে। জনগণের অধিকার যদি জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হয়, দেশ কীভাবে কী হবে—এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ জনগণের। তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের অধিকার যত দ্রুত জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারব, আমি বিশ্বাস করি তত দ্রুত আমরা দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হব।’
অনুষ্ঠানে গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার আলোকচিত্র সাংবাদিকদের প্রতি সহমর্মিতা এবং সম্মান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তাঁর পক্ষ থেকে আহত সাংবাদিকদের আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’–এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহসম্পাদক আশরাফউদ্দিন, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসিন, সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার, জ্যেষ্ঠ ফটো সাংবাদিক বুলবুল আহমেদ, তারিফ রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
দেশব্যাপী নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল হয়েছে। শাহবাগ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্য হয়ে শহীদ মিনারে যায়।
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে এক প্রবাসী যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে বিমানবন্দর থানায় মামলাটি করেন ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী।
গাজীপুরে টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে। আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আবারও যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদ ও পোশাক কারখানা খোলার দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শ্রমিকেরা মিছিল নিয়ে বিভিন্ন কারখানার গেটে গেলে আশপাশের অন্তত ১৫টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।