সহিদুল আলম স্বপন, জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, রাজনৈতিক উত্তাপ ততই বাড়ছে। দেশে বসবাসরত মানুষদের মতোই ইউরোপে বসবাসকারী লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকও এই নির্বাচন নিয়ে গভীরভাবে ভাবছেন, আলোচনা করছেন এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নিয়ে আশা-আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।
তবে ইউরোপপ্রবাসীদের এই ভাবনা শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বা পারিবারিক স্বার্থের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়—তারা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। প্রশ্ন উঠেছে—এই নির্বাচন কি সত্যিকার অর্থে অংশগ্রহণমূলক হবে? আর তাদের, অর্থাৎ প্রবাসীদের, ভূমিকা বা অধিকার কি আদৌ কোনো মূল্য পাবে?
ভোটাধিকার: সংবিধানে আছে, বাস্তবে নেই
বর্তমানে বাংলাদেশের সংবিধানে প্রবাসীদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হলেও, বাস্তবে তারা দেশের বাইরে বসে ভোট দিতে পারেন না। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে—বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও স্পেনে প্রায় ৮ লাখের বেশি বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করছেন। কিন্তু ২০২৪ সালে এসেও তাদের ভোটাধিকার কার্যকর হয়নি।
প্রতিবেশী দেশ ভারত ও ফিলিপাইনের মতো দেশগুলো ডাকযোগে বা অনলাইনে ভোটের ব্যবস্থা করলেও বাংলাদেশ এখনো সেই উদ্যোগে পিছিয়ে। নির্বাচন কমিশন মাঝে মধ্যে উদ্যোগের কথা বললেও বাস্তবায়নে নেই কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি।
আমরা শুধু রেমিট্যান্স পাঠাব, কিন্তু দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে আমাদের কোনো ভূমিকা থাকবে না—এটা কি ন্যায়সঙ্গত?
প্রশ্ন তুলেছেন একজন ফ্রান্সপ্রবাসী বাংলাদেশি, যিনি গত ২৫ বছর ধরে পরিবার নিয়ে প্যারিসে বসবাস করছেন।
ইউরোপের প্রবাসীদের ভাবনা: গণতন্ত্র না স্বার্থ?
অনেক ইউরোপপ্রবাসী মনে করেন, দেশের রাজনীতিতে জবাবদিহিতা, সুশাসন এবং স্বাধীন গণমাধ্যম না থাকলে প্রবাসীরা দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ হারাবেন।
এ ছাড়া, দেশে থাকা পরিবারের নিরাপত্তা, জমিজমা, ব্যাংক লেনদেন—সবই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে জড়িত।
লন্ডনপ্রবাসী হাসানুজ্জামান রানা বলেন, ‘আমি দেশে একটা স্কুল স্থাপন করেছি। কিন্তু নির্বাচন আসলেই স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক গোষ্ঠী চাপ সৃষ্টি করে নানা রকম দাবি তোলে। আমরা চাই এমন একটি সরকার যেটি প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখবে।’
নির্বাচন ঘিরে উদ্বেগ: ইউরোপে আলোচনা হচ্ছে, আস্থা নেই
ইতালির রোম, স্পেনের বার্সেলোনা বা জার্মানির বার্লিনে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে প্রচুর। কিন্তু সিংহভাগ প্রবাসী মনে করেন, দেশে ‘সমান সুযোগ’ ভিত্তিক নির্বাচন হলে তবেই সাধারণ মানুষ ও প্রবাসীদের আস্থা ফিরবে।
তারা মনে করেন, একটা দেশের গণতন্ত্র তখনই পূর্ণতা পায়, যখন তার নাগরিকেরা, দেশ-বিদেশ নির্বিশেষে, ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে এবং সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে।
প্রবাসীদের স্পষ্ট কিছু দাবি
ইউরোপে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে কয়েকটি সাধারণ দাবি স্পষ্টভাবে উঠে আসে:
অনলাইনে বা দূতাবাসের মাধ্যমে ভোটদানের ব্যবস্থা
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে প্রবাসীরা যেভাবে ভোট দিতে পারে, বাংলাদেশেও তা সম্ভব। ডাকযোগ, দূতাবাসকেন্দ্রিক ভোটিং বা অনলাইন পদ্ধতি চালু করার মাধ্যমে কোটি প্রবাসীকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া সম্ভব।
সংসদে প্রবাসী প্রতিনিধিত্ব
একটি ‘প্রবাসী আসন’ চালু করে অন্তত একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি সংসদে পাঠানো গেলে প্রবাসীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও সমস্যা সংসদে তুলে ধরা সম্ভব হবে।
প্রবাসী সম্পত্তি সুরক্ষা আইন
প্রবাসীদের জমি ও সম্পত্তি দখল, হয়রানি বা প্রতারণার অভিযোগ বেড়ে চলেছে। ইউরোপ প্রবাসীরা চান, এমন একটি ‘প্রবাসী সম্পত্তি সুরক্ষা আইন’ এবং একটি নিরপেক্ষ ট্রাইব্যুনাল গঠন হোক, যেখানে বিদেশে থেকেও তারা আইনি সহায়তা পাবেন।
রাষ্ট্রের নীতিতে প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্তি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রবাসী প্রতিনিধি রাখার মাধ্যমে তারা নীতিনির্ধারণে তাদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ দিতে চান।
রাষ্ট্রের প্রতি প্রত্যাশা
ইউরোপে বসবাসরত বাংলাদেশিরা মনে করেন, তাদের শুধু রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যম হিসেবে দেখলে চলবে না। তারা চান, রাষ্ট্র তাদের সম্পূর্ণ নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করুক।
একজন জার্মানপ্রবাসী বলেন, ‘আমরা দেশের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের নাগরিক অধিকার, বিশেষ করে ভোটাধিকার যদি না থাকে, তবে আমরা কীভাবে সম্পৃক্ত হবো?’
গণতন্ত্রে প্রবাসীদের সম্পৃক্ততা জরুরি
যদি একটি রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক হয়, তবে তার প্রতিটি নাগরিক—দেশে বা বিদেশে—চায় অংশ নিতে, মত প্রকাশ করতে এবং প্রভাব ফেলতে। ইউরোপ প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই অংশগ্রহণই চাইছেন, কোনো অতিরিক্ত সুবিধা নয়।
দেশের উন্নয়নে যাদের রেমিট্যান্স একটি প্রধান চালিকাশক্তি, তাদের মতামত, নিরাপত্তা ও অধিকারকে উপেক্ষা করা রাষ্ট্রের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর হতে পারে।
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নয়, দেশের প্রতিটি নাগরিক—দেশে ও বিদেশে—কার জন্য এক বড় পরীক্ষা।
প্রবাসীরা দেশের বাইরে থাকলেও তাদের মন পড়ে থাকে দেশের মাটিতে। সেই ভালোবাসা ও স্বপ্নকে সম্মান জানিয়ে রাষ্ট্র, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত প্রবাসীদের ভোটাধিকার, নিরাপত্তা ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।
গণতন্ত্র শুধু গার্ডার ব্রিজ কিংবা উন্নয়নের সংখ্যায় নয়, তা নিশ্চিত হয়—প্রবাসীর অধিকার রক্ষার মধ্য দিয়েও।
*লেখক সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বেসরকারি ব্যাংকিং আর্থিক অপরাধ বিশেষজ্ঞ এবং কলামিস্ট ও কবি
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, রাজনৈতিক উত্তাপ ততই বাড়ছে। দেশে বসবাসরত মানুষদের মতোই ইউরোপে বসবাসকারী লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকও এই নির্বাচন নিয়ে গভীরভাবে ভাবছেন, আলোচনা করছেন এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নিয়ে আশা-আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।
তবে ইউরোপপ্রবাসীদের এই ভাবনা শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বা পারিবারিক স্বার্থের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়—তারা দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। প্রশ্ন উঠেছে—এই নির্বাচন কি সত্যিকার অর্থে অংশগ্রহণমূলক হবে? আর তাদের, অর্থাৎ প্রবাসীদের, ভূমিকা বা অধিকার কি আদৌ কোনো মূল্য পাবে?
ভোটাধিকার: সংবিধানে আছে, বাস্তবে নেই
বর্তমানে বাংলাদেশের সংবিধানে প্রবাসীদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হলেও, বাস্তবে তারা দেশের বাইরে বসে ভোট দিতে পারেন না। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে—বিশেষ করে যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও স্পেনে প্রায় ৮ লাখের বেশি বাংলাদেশি নাগরিক বসবাস করছেন। কিন্তু ২০২৪ সালে এসেও তাদের ভোটাধিকার কার্যকর হয়নি।
প্রতিবেশী দেশ ভারত ও ফিলিপাইনের মতো দেশগুলো ডাকযোগে বা অনলাইনে ভোটের ব্যবস্থা করলেও বাংলাদেশ এখনো সেই উদ্যোগে পিছিয়ে। নির্বাচন কমিশন মাঝে মধ্যে উদ্যোগের কথা বললেও বাস্তবায়নে নেই কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি।
আমরা শুধু রেমিট্যান্স পাঠাব, কিন্তু দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে আমাদের কোনো ভূমিকা থাকবে না—এটা কি ন্যায়সঙ্গত?
প্রশ্ন তুলেছেন একজন ফ্রান্সপ্রবাসী বাংলাদেশি, যিনি গত ২৫ বছর ধরে পরিবার নিয়ে প্যারিসে বসবাস করছেন।
ইউরোপের প্রবাসীদের ভাবনা: গণতন্ত্র না স্বার্থ?
অনেক ইউরোপপ্রবাসী মনে করেন, দেশের রাজনীতিতে জবাবদিহিতা, সুশাসন এবং স্বাধীন গণমাধ্যম না থাকলে প্রবাসীরা দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ হারাবেন।
এ ছাড়া, দেশে থাকা পরিবারের নিরাপত্তা, জমিজমা, ব্যাংক লেনদেন—সবই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সঙ্গে জড়িত।
লন্ডনপ্রবাসী হাসানুজ্জামান রানা বলেন, ‘আমি দেশে একটা স্কুল স্থাপন করেছি। কিন্তু নির্বাচন আসলেই স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক গোষ্ঠী চাপ সৃষ্টি করে নানা রকম দাবি তোলে। আমরা চাই এমন একটি সরকার যেটি প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখবে।’
নির্বাচন ঘিরে উদ্বেগ: ইউরোপে আলোচনা হচ্ছে, আস্থা নেই
ইতালির রোম, স্পেনের বার্সেলোনা বা জার্মানির বার্লিনে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে প্রচুর। কিন্তু সিংহভাগ প্রবাসী মনে করেন, দেশে ‘সমান সুযোগ’ ভিত্তিক নির্বাচন হলে তবেই সাধারণ মানুষ ও প্রবাসীদের আস্থা ফিরবে।
তারা মনে করেন, একটা দেশের গণতন্ত্র তখনই পূর্ণতা পায়, যখন তার নাগরিকেরা, দেশ-বিদেশ নির্বিশেষে, ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে এবং সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে।
প্রবাসীদের স্পষ্ট কিছু দাবি
ইউরোপে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে কয়েকটি সাধারণ দাবি স্পষ্টভাবে উঠে আসে:
অনলাইনে বা দূতাবাসের মাধ্যমে ভোটদানের ব্যবস্থা
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে প্রবাসীরা যেভাবে ভোট দিতে পারে, বাংলাদেশেও তা সম্ভব। ডাকযোগ, দূতাবাসকেন্দ্রিক ভোটিং বা অনলাইন পদ্ধতি চালু করার মাধ্যমে কোটি প্রবাসীকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া সম্ভব।
সংসদে প্রবাসী প্রতিনিধিত্ব
একটি ‘প্রবাসী আসন’ চালু করে অন্তত একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি সংসদে পাঠানো গেলে প্রবাসীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও সমস্যা সংসদে তুলে ধরা সম্ভব হবে।
প্রবাসী সম্পত্তি সুরক্ষা আইন
প্রবাসীদের জমি ও সম্পত্তি দখল, হয়রানি বা প্রতারণার অভিযোগ বেড়ে চলেছে। ইউরোপ প্রবাসীরা চান, এমন একটি ‘প্রবাসী সম্পত্তি সুরক্ষা আইন’ এবং একটি নিরপেক্ষ ট্রাইব্যুনাল গঠন হোক, যেখানে বিদেশে থেকেও তারা আইনি সহায়তা পাবেন।
রাষ্ট্রের নীতিতে প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্তি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রবাসী প্রতিনিধি রাখার মাধ্যমে তারা নীতিনির্ধারণে তাদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ দিতে চান।
রাষ্ট্রের প্রতি প্রত্যাশা
ইউরোপে বসবাসরত বাংলাদেশিরা মনে করেন, তাদের শুধু রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যম হিসেবে দেখলে চলবে না। তারা চান, রাষ্ট্র তাদের সম্পূর্ণ নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করুক।
একজন জার্মানপ্রবাসী বলেন, ‘আমরা দেশের জন্য কাজ করতে প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের নাগরিক অধিকার, বিশেষ করে ভোটাধিকার যদি না থাকে, তবে আমরা কীভাবে সম্পৃক্ত হবো?’
গণতন্ত্রে প্রবাসীদের সম্পৃক্ততা জরুরি
যদি একটি রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক হয়, তবে তার প্রতিটি নাগরিক—দেশে বা বিদেশে—চায় অংশ নিতে, মত প্রকাশ করতে এবং প্রভাব ফেলতে। ইউরোপ প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই অংশগ্রহণই চাইছেন, কোনো অতিরিক্ত সুবিধা নয়।
দেশের উন্নয়নে যাদের রেমিট্যান্স একটি প্রধান চালিকাশক্তি, তাদের মতামত, নিরাপত্তা ও অধিকারকে উপেক্ষা করা রাষ্ট্রের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর হতে পারে।
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নয়, দেশের প্রতিটি নাগরিক—দেশে ও বিদেশে—কার জন্য এক বড় পরীক্ষা।
প্রবাসীরা দেশের বাইরে থাকলেও তাদের মন পড়ে থাকে দেশের মাটিতে। সেই ভালোবাসা ও স্বপ্নকে সম্মান জানিয়ে রাষ্ট্র, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত প্রবাসীদের ভোটাধিকার, নিরাপত্তা ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।
গণতন্ত্র শুধু গার্ডার ব্রিজ কিংবা উন্নয়নের সংখ্যায় নয়, তা নিশ্চিত হয়—প্রবাসীর অধিকার রক্ষার মধ্য দিয়েও।
*লেখক সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বেসরকারি ব্যাংকিং আর্থিক অপরাধ বিশেষজ্ঞ এবং কলামিস্ট ও কবি
শান্তি ধার নেওয়ার জিনিস নয়। শান্তি পারস্পরিক বিষয়। আকাশ দেখলে যাদের দম আটকে যায় তাদের জন্য সাত রঙ কোনোভাবেই ভালো নয়।
জুলাই এসে দাঁড়ায় দরজায়/ ভিজে পাথরের মতো মাথা নিচু করে।/আগস্ট পেছন থেকে কাঁধে হাত রাখে—/আগস্ট পেছন থেকে কাঁধে হাত রাখে—/তাদের মুখে শব্দ নেই,/ শুধু কান্না আর কান্নার অনুবাদ।
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, রাজনৈতিক উত্তাপ ততই বাড়ছে। দেশে বসবাসরত মানুষদের মতোই ইউরোপে বসবাসকারী লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকও এই নির্বাচন নিয়ে গভীরভাবে ভাবছেন, আলোচনা করছেন এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ নিয়ে আশা-আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।
রাতে নাইট ডিউটি শুরু করব, আধা ঘণ্টা আগে দেখি, বন্ধু (নামটা ধরে নিলাম কিনারি) হাজির। কঠিন মেয়ে সে। কথা দিয়ে কাঁদিয়ে দিতে পারে টাইপের। আমার জন্য কফি নিয়ে এসেছে। বহুদিন পর একসঙ্গে কাজ করব। মধুর গলায় বলল, ফারহানা তুমি ইদানীং বোলিং করতে যাও না, মুভি নাইটেও দেখলাম না আমাদের সঙ্গে।