তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি সই নিয়ে পাল্টাপাল্টি হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
ট্রাম্প বলেন, যদি তারা কোনো চুক্তি না করে, তাহলে বোমাবর্ষণ হবে। এবার এমন বোমাবর্ষণ হবে, যা তারা আগে কখনো দেখেনি। তিনি আরও বলেন, ‘এমন আশঙ্কাও আছে, যদি তারা চুক্তি না করে, তাহলে আমি তাদের ওপর চার বছর আগের মতোই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করব।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন চুক্তির আহ্বান জানিয়ে দেওয়া চিঠির জবাব দিয়েছে তেহরান। ওমানের মাধ্যমে এই জবাব দেওয়া হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পরোক্ষ আলোচনা শুরু করতে রাজি হয়েছে ইরান। এর আগে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন চুক্তির দাবি জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিশ্বের ৪৩টি দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা ভাবছে। নতুন এ নিষেধাজ্ঞা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার তুলনায় বেশি বিস্তৃত হবে।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা হলে উপসাগরীয় অঞ্চলে পানি সরবরাহ বিপর্যস্ত হতে পারে বলে সতর্ক করে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জাসিম আল থানি বলেছেন, এতে সমুদ্র সম্পূর্ণভাবে দূষিত হয়ে যাবে এবং এর ঢলে কাতারসহ গোটা অঞ্চল পানি সংকটে পড়বে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, তিনি ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে চান এবং তাদের নেতৃত্বের কাছে এ মর্মে চিঠি পাঠিয়েছেন যে তিনি আশা করেন এই ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটি আলোচনা করতে সম্মত হবে।
ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চল লক্ষ্য করে ‘হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র’ ছোড়ার দাবি করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র হুতি বিদ্রোহীরা।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী লেবাননে দুই মাস আগে হামলা জোরদার করার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে ইসরায়েলি বোমার আঘাতে ২০০ শর বেশি শিশু নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এ তথ্য জানিয়েছে।
ইরান–সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর ওপর ইসরায়েলের ব্যাপক হামলার মুখে তেহরানের পক্ষ থেকে এ সংঘাত থামানোর ইঙ্গিত দেওয়া হলো
৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে ইরানের কাছ থেকে এমন হুমকি এল। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল। ইসরায়েলের অস্ত্রের প্রধান সরবরাহকারীও যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর প্রধান হুসেইন সালামি বলেন, ইরানের হামলা করায় ইসরায়েলকে ‘তিক্ত পরিণতি ভোগ করতে হবে।
ইরানের সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েলি হামলার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ ও সংগঠন। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, আত্মরক্ষার অধিকারের অংশ হিসেবে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। প্রায় একই ধরনের মত তুলে ধরেছে যুক্তরাজ্য।
ইরান বলেছে, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত দুজন সেনাসদস্য নিহত ও ‘সীমিত ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে। ইরানের নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। তাদের এই পাল্টা হুমকির কারণে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানী তেহরানে শক্তিশালী কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এর পরপরই ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরানে ‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালিয়েছে।
সৌদি আরবের স্পষ্ট বক্তব্য হলো, ইসরাইল যদি সৌদিকে পাশে পেতে চায় তাহলে একমাত্র পথ হলো-স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও তাকে স্বীকৃতি দেওয়া।
সোমবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি এক বিবৃতিতে বলেন, এই ব্যক্তি ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর ‘ইউনিট ৪৪০০’-এর প্রধান ছিলেন। ইরানের তেল বিক্রির মাধ্যমে সংগঠনে অর্থ স্থানান্তরসহ হিজবুল্লাহর তহবিল জোগানোর দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
ইসরায়েলে ইরানের সাম্প্রতিক হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইরানে ইসরায়েলের সম্ভাব্য আক্রমণের পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অতিগোপন কিছু গোয়েন্দা নথি ফাঁস হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার জন্য ইরান–সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে।