সচিবালয়ে দুই উপদেষ্টাকে ‘সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়ার আগে বিক্ষোভ করেছেন সরকারি কর্মচারীরা।
ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বাদীউল কবীর। উপস্থিত কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ঈদের পর যদি কঠোর আন্দোলনের ডাক দিই, তাহলে আপনারা সবাই প্রস্তুত থাকবেন তো?’ জবাবে উপস্থিত কর্মচারীরা সমস্বরে ‘হ্যাঁ’ বলে চিৎকার করেন। তখন বাদীউল কবীর বলেন বলেন, সব সরকারি দপ্তরে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আজ সোমবার (২ জুন) বেলা ১১টা থেকে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। সচিবালয় কর্মকর্তা–কর্মচারী ঐক্য ফোরামের ডাকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, তিনি মনে করেন ‘সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ ২০২৫’–এর কিছু ধারায় অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। রোববার (১ জুন) সচিবালয়ে আন্দোলনরত কর্মচারীদের স্মারকলিপি গ্রহণ করে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ১০টা থেকে ১ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছেন ।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে দেশের সব সরকারি দপ্তরে এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের কাছে সরকারি কর্মচারীদের চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি তুলে ধরেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবেরা। প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব দাবির বিষয়টি তাঁকে জানাবেন।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫' জারি ও কার্যকরের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৭ মে) সারাদেশের সব সরকারি দপ্তরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছে সচিবালয় কর্মচারীরা।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারির প্রতিবাদে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।
সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ সংশোধন এবং শাস্তির বিধান আরও 'কঠোর' করে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। রোববার (২৫ মে) রাতে আইন মন্ত্রণালয় এ অধ্যাদেশটি প্রকাশ করে।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের অনুমোদিত খসড়ায় পরিবর্তন এনেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে যুক্ত হয়েছে জাতীয় পতাকা বা জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধে প্রচারণার শাস্তির বিধান। অন্যদিকে বাদ দেওয়া হয়েছে বিতর্কিত সাইবার বুলিংয়ের বিধান।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪ বাতিলের জোরালো দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ১০০ নাগরিক। তাঁরা বলেছেন, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের বেশ কিছু ধারা মানবাধিকারসংশ্লিষ্ট কনভেনশনের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।
বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সাইবার নিরাপত্তা (বাতিল) অধ্যাদেশ ২০২৪-এর খসড়ায় নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বাদীউল কবীর। উপস্থিত কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ঈদের পর যদি কঠোর আন্দোলনের ডাক দিই, তাহলে আপনারা সবাই প্রস্তুত থাকবেন তো?’ জবাবে উপস্থিত কর্মচারীরা সমস্বরে ‘হ্যাঁ’ বলে চিৎকার করেন। তখন বাদীউল কবীর বলেন বলেন, সব সরকারি দপ্তরে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
৩ দিন আগে