প্রতিবেদক, বিডিজেন
অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, তিনি মনে করেন ‘সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ ২০২৫’–এর কিছু ধারায় অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। রোববার (১ জুন) সচিবালয়ে আন্দোলনরত কর্মচারীদের স্মারকলিপি গ্রহণ করে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবিরের কাছে স্মারকলিপি দেন কর্মচারী ইউনিয়ন নেতা নূরুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম। পরে উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। উপদেষ্টার সামনে দেওয়া বক্তব্যে আইনের বিভিন্ন ‘নিবর্তনমূলক ও দমনমূলক’ দিক তুলে ধরেন কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘এটা [চাকরি অধ্যাদেশ] বাতিল করতে হবে, এটা একটা পজিশন। আরেকটা পজিশন হতে পারে যে এই অধ্যাদেশটার যে অপপ্রয়োগের সম্ভাবনা আছে, সেগুলোকে অ্যাড্রেস করা যায় কি না। সেটা আপনারা যদি একটু মাথায় রাখেন, তাহলে ভালো হয়। কিন্তু এটাতে যে একটা ডিফেক্ট আছে, সেটা সম্পর্কে কিন্তু আমরা সম্পূর্ণ সচেতন।’
এ সময় ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘আপনারা আইন কানুন মেনে এবং সচিবালয়ের যে দীর্ঘদিনের কালচার, সে অনুযায়ী আন্দোলন করবেন। সচিবালয়ের কর্মপরিবেশ আপনারা যথাযথ রাখবেন।’
অন্যদিকে স্মারকলিপি পেয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা করার কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি জানান, আইনের অপব্যবহার যেন না হয় এ নিয়ে সতর্ক সরকার।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আপনাদের যে দাবিগুলো আছে, এককভাবে তো এগুলোর ব্যাপারে কেউ সিদ্ধান্ত নেবে না। এটা সম্মিলিতভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যখন আমরা আবার উপদেষ্টামণ্ডলির বৈঠকে বসব তখন।’
উল্লেখ্য, গত ২২ মে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। এতে তদন্ত ছাড়াই ৮ দিনের নোটিশে চাকরি থেকে কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়াসহ বেশ কিছু বিধান যুক্ত করা হয়। এরপর থেকেই এটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের আপত্তির মুখেই গত ২৫ মে অধ্যাদেশটি গেজেট আকারে প্রকাশ করে সরকার।
এদিকে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫ বাতিলের দাবিতে আজ রোববারও বাংলাদেশ সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এদিন সকাল পৌনে ১২টার দিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে মিছিল নিয়ে বাদামতলায় সমবেত হন তারা। অবিলম্বে অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বলেন, যেহেতু প্রধান উপদেষ্টা সফর শেষে দেশে ফিরেছেন, সেহেতু আজকের মধ্যেই ইতিবাচক ঘোষণা প্রত্যাশা করছেন তারা।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, নতুন আইনের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে সহজেই শাস্তি, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, তিনি মনে করেন ‘সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ ২০২৫’–এর কিছু ধারায় অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। রোববার (১ জুন) সচিবালয়ে আন্দোলনরত কর্মচারীদের স্মারকলিপি গ্রহণ করে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবিরের কাছে স্মারকলিপি দেন কর্মচারী ইউনিয়ন নেতা নূরুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম। পরে উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। উপদেষ্টার সামনে দেওয়া বক্তব্যে আইনের বিভিন্ন ‘নিবর্তনমূলক ও দমনমূলক’ দিক তুলে ধরেন কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘এটা [চাকরি অধ্যাদেশ] বাতিল করতে হবে, এটা একটা পজিশন। আরেকটা পজিশন হতে পারে যে এই অধ্যাদেশটার যে অপপ্রয়োগের সম্ভাবনা আছে, সেগুলোকে অ্যাড্রেস করা যায় কি না। সেটা আপনারা যদি একটু মাথায় রাখেন, তাহলে ভালো হয়। কিন্তু এটাতে যে একটা ডিফেক্ট আছে, সেটা সম্পর্কে কিন্তু আমরা সম্পূর্ণ সচেতন।’
এ সময় ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ‘আপনারা আইন কানুন মেনে এবং সচিবালয়ের যে দীর্ঘদিনের কালচার, সে অনুযায়ী আন্দোলন করবেন। সচিবালয়ের কর্মপরিবেশ আপনারা যথাযথ রাখবেন।’
অন্যদিকে স্মারকলিপি পেয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা করার কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি জানান, আইনের অপব্যবহার যেন না হয় এ নিয়ে সতর্ক সরকার।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘আপনাদের যে দাবিগুলো আছে, এককভাবে তো এগুলোর ব্যাপারে কেউ সিদ্ধান্ত নেবে না। এটা সম্মিলিতভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যখন আমরা আবার উপদেষ্টামণ্ডলির বৈঠকে বসব তখন।’
উল্লেখ্য, গত ২২ মে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। এতে তদন্ত ছাড়াই ৮ দিনের নোটিশে চাকরি থেকে কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়াসহ বেশ কিছু বিধান যুক্ত করা হয়। এরপর থেকেই এটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের আপত্তির মুখেই গত ২৫ মে অধ্যাদেশটি গেজেট আকারে প্রকাশ করে সরকার।
এদিকে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫ বাতিলের দাবিতে আজ রোববারও বাংলাদেশ সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এদিন সকাল পৌনে ১২টার দিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে মিছিল নিয়ে বাদামতলায় সমবেত হন তারা। অবিলম্বে অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বলেন, যেহেতু প্রধান উপদেষ্টা সফর শেষে দেশে ফিরেছেন, সেহেতু আজকের মধ্যেই ইতিবাচক ঘোষণা প্রত্যাশা করছেন তারা।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, নতুন আইনের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে সহজেই শাস্তি, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের বৈঠকের উদ্দেশ্য দূরত্ব ঘুচিয়ে জুলাই সনদে আরও কিছু যোগ করা।
জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে কঠোর নয়, নমনীয় থাকতে চায়। তাদের চাওয়া ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন হোক।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে দলের পক্ষ থেকে তারা জানিয়েছেন যে, জুলাই সনদ কার্যকরের আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা ঠিক হবে না।
৩টি রাজনৈতিক দল ছাড়া বাকি সব দল ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে বলে জানিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, নিক্কেই এশিয়া ফোরামে প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে একটি বক্তব্য এসেছে যে, একটিমাত্র দল ডিসেম্বরের আগে নির্বাচন চেয়েছে, যেটা সঠিক নয়।