প্রতিবেদক, বিডিজেন
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত সচিবালয়ের কর্মচারীরা আগামীকাল মঙ্গলবার (২৪ জুন) আন্দোলন কর্মসূচিতে বিরতি দিয়েছেন। মঙ্গলবার সচিবালয়ের বাইরের কর্মচারী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে জনসংযোগ করবেন সচিবালয়ের কর্মচারী নেতারা।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আজ সোমবার (২৩ জুন) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গ্রন্থাগারে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি করেন কর্মচারীরা।
কর্মবিরতি শেষে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর বলেন, ‘আজ সব মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। আগামীকাল আপনারা বিশ্রামে থাকবেন। আমরা আগামীকাল সচিবালয়ের বাইরের সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে জনসংযোগ করব। সবাইকে নিয়ে একযোগে কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
সচিবালয়ের কর্মচারীদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখার নির্দেশনা দিয়ে বাদিউল কবীর বলেন, এমনও হতে পারে কাল এমন ঘোষণা আসবে যে, আপনাদের আর আন্দোলন করার দরকার নেই।
সচিবালয়ের বাইরের অন্তত ৫০টি সংগঠন সচিবালয়ের কর্মচারীদের সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবে কর্মসূচি পালন করতে চায় বলে জানান তিনি।
সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনো মেসেজ নেই। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জুতার মালা গলায় দিয়ে ঘোরানো হচ্ছে। আজকে যারা ক্ষমতার বাহাদুরি দেখাচ্ছেন, তাদের শেখার আছে। কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হবে।’
কর্মচারী নেতাদের মধ্যে কেউ যেন নেতিবাচক বক্তব্য না দেন সেই অনুরোধ করেন নূরুল ইসলাম। অল্প সময়ের মধ্যে সাফল্য আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে নূরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৯০ সালে কেয়ারটেকার সরকার এসেছে। কোনো সরকার এ ধরনের পলিসি নিয়ে কাজ করেনি। কেয়ারটেকার সরকারের কাজ পলিসি করা না। আপনারা যা করেছেন, সেই পর্যন্ত থামেন।’
কর্মবিরতি চলাকালে কর্মচারী নেতারা তাদের বক্তব্যে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ বাতিলের দাবিতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার দাবি জানান। অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে কোনোভাবেই সরা যাবে না বলে মত দেন অনেকে।
হাসনাত নামের একজন কর্মচারী বলেন, ‘উপদেষ্টা ও সচিবের দপ্তরের লোকজন হাজির হচ্ছে না। তাদের আন্দোলন কর্মসূচিতে হাজির করতে হবে। এই মুহুর্তে যুদ্ধে আছি, সামনে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।’
চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের চাকরিচ্যুত করার বিধান রেখে গত ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ জারি করে সরকার। তার আগ থেকেই এই অধ্যাদেশর খসড়া বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। চাকরি অধ্যাদেশ জারির পর তারা সচিবালয়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভ-সমাবেশ এবং এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালনের পর উপদেষ্টাদের স্মারকলিপি দেন।
চাকরি অধ্যাদেশ নিয়ে কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর ভূমিসচিবের নেতৃত্বে কয়েকজন সচিব কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানান। এরপর মন্ত্রিপরিষদ সচিব তা প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। এই অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় গত ৪ জুন আইন উপদেষ্টাকে প্রধান করে একটি কমিটি করে সরকার। এই কমিটি দুটি সভা করলেও এখনো তাদের সুপারিশ দেয়নি।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত সচিবালয়ের কর্মচারীরা আগামীকাল মঙ্গলবার (২৪ জুন) আন্দোলন কর্মসূচিতে বিরতি দিয়েছেন। মঙ্গলবার সচিবালয়ের বাইরের কর্মচারী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে জনসংযোগ করবেন সচিবালয়ের কর্মচারী নেতারা।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আজ সোমবার (২৩ জুন) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গ্রন্থাগারে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি করেন কর্মচারীরা।
কর্মবিরতি শেষে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর বলেন, ‘আজ সব মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। আগামীকাল আপনারা বিশ্রামে থাকবেন। আমরা আগামীকাল সচিবালয়ের বাইরের সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে জনসংযোগ করব। সবাইকে নিয়ে একযোগে কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
সচিবালয়ের কর্মচারীদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখার নির্দেশনা দিয়ে বাদিউল কবীর বলেন, এমনও হতে পারে কাল এমন ঘোষণা আসবে যে, আপনাদের আর আন্দোলন করার দরকার নেই।
সচিবালয়ের বাইরের অন্তত ৫০টি সংগঠন সচিবালয়ের কর্মচারীদের সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবে কর্মসূচি পালন করতে চায় বলে জানান তিনি।
সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনো মেসেজ নেই। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জুতার মালা গলায় দিয়ে ঘোরানো হচ্ছে। আজকে যারা ক্ষমতার বাহাদুরি দেখাচ্ছেন, তাদের শেখার আছে। কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হবে।’
কর্মচারী নেতাদের মধ্যে কেউ যেন নেতিবাচক বক্তব্য না দেন সেই অনুরোধ করেন নূরুল ইসলাম। অল্প সময়ের মধ্যে সাফল্য আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে নূরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৯০ সালে কেয়ারটেকার সরকার এসেছে। কোনো সরকার এ ধরনের পলিসি নিয়ে কাজ করেনি। কেয়ারটেকার সরকারের কাজ পলিসি করা না। আপনারা যা করেছেন, সেই পর্যন্ত থামেন।’
কর্মবিরতি চলাকালে কর্মচারী নেতারা তাদের বক্তব্যে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ বাতিলের দাবিতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার দাবি জানান। অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে কোনোভাবেই সরা যাবে না বলে মত দেন অনেকে।
হাসনাত নামের একজন কর্মচারী বলেন, ‘উপদেষ্টা ও সচিবের দপ্তরের লোকজন হাজির হচ্ছে না। তাদের আন্দোলন কর্মসূচিতে হাজির করতে হবে। এই মুহুর্তে যুদ্ধে আছি, সামনে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।’
চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধুমাত্র কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের চাকরিচ্যুত করার বিধান রেখে গত ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ জারি করে সরকার। তার আগ থেকেই এই অধ্যাদেশর খসড়া বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। চাকরি অধ্যাদেশ জারির পর তারা সচিবালয়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভ-সমাবেশ এবং এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালনের পর উপদেষ্টাদের স্মারকলিপি দেন।
চাকরি অধ্যাদেশ নিয়ে কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর ভূমিসচিবের নেতৃত্বে কয়েকজন সচিব কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানান। এরপর মন্ত্রিপরিষদ সচিব তা প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। এই অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় গত ৪ জুন আইন উপদেষ্টাকে প্রধান করে একটি কমিটি করে সরকার। এই কমিটি দুটি সভা করলেও এখনো তাদের সুপারিশ দেয়নি।
‘আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। তাদের [প্রবাসী] দুটি সমস্যার কথা তুলেছিলাম—একটা হচ্ছে আইডি কার্ড। এটা অবশ্যই হবে, যদিও কিছু জটিলতা আছে। তার বাইরে অন্য কোনো ডকুমেন্ট দিয়ে করা যায় কি না, আজ নির্বাচন কমিশন বলেছে যে, জন্মসনদের মাধ্যমেও ভোটার হওয়া সম্ভব। এতে একটা সমাধান পাওয়া যেতে পারে।’
মানবপাচারের পৃথক ৩টি মামলায় এক প্রবাসী ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মামলার বাদীদের অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তা দাবি অনুযায়ী ঘুষের টাকা না পেয়ে সাক্ষী (প্রবাসীর স্ত্রী) এবং তার প্রবাসী স্বামীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে অবস্থানরত ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটককৃতদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ১৮৮ জন দেশে ফিরে এলেও এখনো আবুধাবি কারাগারে আটক আছে ২৫ জন প্রবাসী। তাদের মুক্তির বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কুটনৈতিক ও আইনী প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।