গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রতিনিধিদলের আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) মিসরের রাজধানী কায়রোতে যাওয়ার কথা রয়েছে।
লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর মহাসচিব নাঈম কাসেম বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য লেবাননি সেনাদের সঙ্গে কাজ করবে তাঁর সংগঠন।
ইসরায়েলের ট্যাংক গাজা ভূখন্ডের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকাগুলোর বেশ গভীরে ঢুকে পড়েছে এবং ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছেন।
লেবাননে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। তবে লেবানন থেকে এখনই সেনা প্রত্যাহার করবে না ইসরায়েল। অবশ্য ৬০ দিনের মধ্যে তাদের অবশ্যই লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা।
তবে এর মানে এই না যে, হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলের।ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা বলেন, 'আমরা জানি না এই যুদ্ধবিরতি কতদিন স্থায়ী হবে। এক মাস হতে পারে, এক বছরও হতে পারে।
গাজার বাইরে অবস্থান করা হামাসের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ নেতা ও সংগঠনটির মধ্যস্থতাকারী দলের অন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা কাতারের রাজধানী দোহা ছেড়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেশটির সরকার ও একজন জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা।
লেবানন সরকার ও দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। তবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত। শুক্রবার হামাসের পক্ষ থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মতির কথা জানানো হয়।
ইরান–সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর ওপর ইসরায়েলের ব্যাপক হামলার মুখে তেহরানের পক্ষ থেকে এ সংঘাত থামানোর ইঙ্গিত দেওয়া হলো
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতা এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে কাতার।
গাজায় দুই দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে মিসর। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে কয়েকজন ফিলিস্তিনি কারাবন্দীকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে চারজন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
জীবন শঙ্কায় আত্মগোপনে রয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। গাজা যুদ্ধ বিরতির জন্য নিয়োজিত কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন না তিনি
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এক বিবৃতিতে বলেন, 'যেকোনো মূল্যে লেবাননে যুদ্ধ এড়াতে হবে এবং দেশটির সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।’