
শরীফুল আলম

এই আমেরিকায় আসার পর থেকে সময়ের আর কোনো খোঁজই পাই না। কখন সকাল হয় আর কখন রাত তাও টের পাই না। অন্তরের দুটা অন্তরকথা কাউকে বলব, সেই সময়ও যেন নেই। তার ওপর ডেট এক্সপায়ারি মানুষ, অনেকটা দাবা খেলার ওই ক্ষমতাবান রাজার মতো, মাত্র এক ঘর যেতে পারি। আর রানিরা? সব জায়গায়।
তারপরও ঘরেই বসবাস করছি। কেননা বিশ্বস্ত আর পরীক্ষিত মানুষেরাই কেবলমাত্র ঘরে বসবাস করে। এমনিতেই আমি সেল্প ষ্টাট নেওয়া মানুষ। সুতরাং চোখে দেখা আর কানে শোনা বিষয়কেই আমি এখনো সত্য বলে মানি। সত্যকে সত্য না জানা পর্যন্ত সত্যকেও সত্য বলি না। মানুষই মানুষের বড় ওষুধ। কেউ সুখ দেয়, আবার কেউ দুঃখ। আবার অযত্নেও কিছু গাছ বেড়ে ওঠে, ফুলও দেয়। আমি হচ্ছি গিয়ে সেই প্রকৃতির মানুষ।

পৃথিবীর কোনো মানুষই কারও জন্য পারফেক্ট নয়। তারপরও আমরা সম্পর্ক চালিয়ে যাই। কেন জানেন? মানুষ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সামাজিক জীব বলে। মূলত পুরুষ মানুষ এক নারীতেই আসক্ত থাকতে চায়। কিন্তু নারীরা যখন সেই পুরুষকে কষ্ট দেয় তখনই একজন পুরুষ মানুষ নষ্ট হয়ে যায়। আসল কথা হচ্ছে নারী–পুরুষ প্রত্যেকেই শ্রেষ্ঠ নিরাপত্তাটায় চায়। একজন ছেলের জীবনে এমন একটা মেয়ের দরকার, যে তার ঘুম নষ্ট করবে আবার প্রত্যেকটা মেয়ের জীবনেও এমন একজন পুরুষ মানুষ থাকা চাই, যে প্রতিদিনই তার লিপিষ্টিক নষ্ট করবে। তারপরও প্রিয়ই হোক কিংবা প্রেমিকা, কারও মনের এতটা গভীরে ঢুকতে নেই যেখান সে থেকে বের করে দিলে নিজেকে খুব আশ্রয়হীন মনে হবে। কিংবা কারও মুখের দিকে এত বেশি তাকাতে নেই যখন সে মুখ ফিরিয়ে নেবে নিজেকে খুব অসহায় মনে হবে। সুতরাং আমি ঠিক তাদেরকেই প্রায়োরটি দেব, আমি তাদেরকেই খেয়াল রাখব, আমি মরে গেলেও যাদের কিছু আসে যায়। যাদের কিছু আসে যায় না তাদেরকে নয়। যে আমার মূল্য বোঝে আমি ঠিক তাদের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখব। মূলত আমি একজন আনন্দ পিপাসু মানুষ, সুতরাং কল্পনাতেও আমি সুখী থাকতে চাই। কেননা আমি জানি প্রেমের স্থিতিকাল খুব কম। সুতরাং নিজেকে নিয়ে নিষ্ঠুরতার কোনো মানে হয় না।

বয়স হয়েছে, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন (জরুরিভিত্তিতে প্রেমিকা আবশ্যক) এমন বিজ্ঞাপন দিয়েও এখন কোনো কাজ হবে বলে মনে হয় না। তারপরেও কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত সম্পর্ক উঁকি মারতে চায়। শুরুতেই যে কথা বললাম, ব্যস্ততা। ব্যস্ত আছি বলেই এতটা নিঃসঙ্গ লাগে না। ব্যস্ত আছি বলেই জীবনের ছোট ছোট চলার পথগুলো সহজ হয়ে যায়, ব্যস্ত আছি বলেই ভুল গন্তব্য থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারছি। জনবহুলের কোলাহলে পৃথিবীও চলছে আমিও চলছি।
শরীফুল আলম, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
ইমেইল: [email protected]
**প্রিয় পাঠক, বিডিজেন২৪-এ গল্প, কবিতা, ভ্রমণকাহিনি, সুখ–দুঃখের স্মৃতি, প্রবন্ধ, ফিচার, অনুষ্ঠান বা ঘটনার ভিডিও এবং ছবিসহ নানা বিষয়ের লেখা পাঠান। মেইল: [email protected]

এই আমেরিকায় আসার পর থেকে সময়ের আর কোনো খোঁজই পাই না। কখন সকাল হয় আর কখন রাত তাও টের পাই না। অন্তরের দুটা অন্তরকথা কাউকে বলব, সেই সময়ও যেন নেই। তার ওপর ডেট এক্সপায়ারি মানুষ, অনেকটা দাবা খেলার ওই ক্ষমতাবান রাজার মতো, মাত্র এক ঘর যেতে পারি। আর রানিরা? সব জায়গায়।
তারপরও ঘরেই বসবাস করছি। কেননা বিশ্বস্ত আর পরীক্ষিত মানুষেরাই কেবলমাত্র ঘরে বসবাস করে। এমনিতেই আমি সেল্প ষ্টাট নেওয়া মানুষ। সুতরাং চোখে দেখা আর কানে শোনা বিষয়কেই আমি এখনো সত্য বলে মানি। সত্যকে সত্য না জানা পর্যন্ত সত্যকেও সত্য বলি না। মানুষই মানুষের বড় ওষুধ। কেউ সুখ দেয়, আবার কেউ দুঃখ। আবার অযত্নেও কিছু গাছ বেড়ে ওঠে, ফুলও দেয়। আমি হচ্ছি গিয়ে সেই প্রকৃতির মানুষ।

পৃথিবীর কোনো মানুষই কারও জন্য পারফেক্ট নয়। তারপরও আমরা সম্পর্ক চালিয়ে যাই। কেন জানেন? মানুষ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সামাজিক জীব বলে। মূলত পুরুষ মানুষ এক নারীতেই আসক্ত থাকতে চায়। কিন্তু নারীরা যখন সেই পুরুষকে কষ্ট দেয় তখনই একজন পুরুষ মানুষ নষ্ট হয়ে যায়। আসল কথা হচ্ছে নারী–পুরুষ প্রত্যেকেই শ্রেষ্ঠ নিরাপত্তাটায় চায়। একজন ছেলের জীবনে এমন একটা মেয়ের দরকার, যে তার ঘুম নষ্ট করবে আবার প্রত্যেকটা মেয়ের জীবনেও এমন একজন পুরুষ মানুষ থাকা চাই, যে প্রতিদিনই তার লিপিষ্টিক নষ্ট করবে। তারপরও প্রিয়ই হোক কিংবা প্রেমিকা, কারও মনের এতটা গভীরে ঢুকতে নেই যেখান সে থেকে বের করে দিলে নিজেকে খুব আশ্রয়হীন মনে হবে। কিংবা কারও মুখের দিকে এত বেশি তাকাতে নেই যখন সে মুখ ফিরিয়ে নেবে নিজেকে খুব অসহায় মনে হবে। সুতরাং আমি ঠিক তাদেরকেই প্রায়োরটি দেব, আমি তাদেরকেই খেয়াল রাখব, আমি মরে গেলেও যাদের কিছু আসে যায়। যাদের কিছু আসে যায় না তাদেরকে নয়। যে আমার মূল্য বোঝে আমি ঠিক তাদের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখব। মূলত আমি একজন আনন্দ পিপাসু মানুষ, সুতরাং কল্পনাতেও আমি সুখী থাকতে চাই। কেননা আমি জানি প্রেমের স্থিতিকাল খুব কম। সুতরাং নিজেকে নিয়ে নিষ্ঠুরতার কোনো মানে হয় না।

বয়স হয়েছে, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন (জরুরিভিত্তিতে প্রেমিকা আবশ্যক) এমন বিজ্ঞাপন দিয়েও এখন কোনো কাজ হবে বলে মনে হয় না। তারপরেও কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত সম্পর্ক উঁকি মারতে চায়। শুরুতেই যে কথা বললাম, ব্যস্ততা। ব্যস্ত আছি বলেই এতটা নিঃসঙ্গ লাগে না। ব্যস্ত আছি বলেই জীবনের ছোট ছোট চলার পথগুলো সহজ হয়ে যায়, ব্যস্ত আছি বলেই ভুল গন্তব্য থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারছি। জনবহুলের কোলাহলে পৃথিবীও চলছে আমিও চলছি।
শরীফুল আলম, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র
ইমেইল: [email protected]
**প্রিয় পাঠক, বিডিজেন২৪-এ গল্প, কবিতা, ভ্রমণকাহিনি, সুখ–দুঃখের স্মৃতি, প্রবন্ধ, ফিচার, অনুষ্ঠান বা ঘটনার ভিডিও এবং ছবিসহ নানা বিষয়ের লেখা পাঠান। মেইল: [email protected]
গামা আব্দুল কাদির সুদীর্ঘ প্রবাস জীবনে বাংলাদেশ অ্যাসেসিয়েশনের পাচঁবার সভাপতি এবং তিনবার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি এখনো এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অস্ট্রেলিয়া এবং আওয়ামী লীগের অস্ট্রেলিয়া শাখারও প্রধান উপদেষ্টা।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতাদের একমাত্র যোগ্যতা—অসততা ও মিথ্যাচার। আর কর্মীদের যোগ্যতা—তোষামোদ। এক কঠিন সত্য হলো—এই দেশে কোনো নেতা কখনোই অযোগ্য হয় না, দুর্নীতি যতই করুক।
সমস্যা সম্পদ নয়—সমস্যা চরিত্রের, মানসিকতার, আর সৎ মানুষের কণ্ঠরোধের। রাজনৈতিক নেতাদের ওলি-আউলিয়া ভাবার সুযোগ নেই। সভ্য দেশে একটি গুরুতর অপরাধই তাদের রাজনৈতিক জীবনের ইতি টানে। আমাদের দেশে এটিই সবচেয়ে বড় ঘাটতি।
আজও বহু দেশে স্বৈরাচারী শাসন টিকে আছে; পরিবারতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্র আরও গাঢ় হয়েছে। শাসন আর শোষণ যেন একই স্রোতে মিশে গেছে। বক্তব্যের স্বাধীনতা প্রতিনিয়ত আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে, ভিন্নমত প্রকাশের অধিকার পরিণত হয়েছে নিছক প্রহসনে।