বাহার উদ্দিন বকুল, জেদ্দা থেকে
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের সফলতায় প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল এস এম নাজমুল হাসান।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূতি (‘জুলাই বিয়ন্ড বর্ডারস’) এবং রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস ২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
গত বুধবার (৩০ জুলাই) জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিবসটি পালন করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল এস এম নাজমুল হাসান তাঁর বক্তব্যে বলেন, জুলাই–আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন আমাদের শোশণমুক্ত, বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনে উজ্জীবিত করবে। আমরা যদি জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের সফলতার কথা চিন্তা করি, এ সফলতার পেছনে প্রবাসীরা বড় ভূমিকা পালন করেছেন। সমভাবে তারাও এ আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে রেমিট্যান্স শাটডাউনের মাধ্যমে তারা এ বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করেছেন। সে সময়ে বিদেশ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসী বা রেমিট্যান্সযোদ্ধারা যে অভূতপূর্ব ভূমিকা রেখেছিলেন তা বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের সফলতায় প্রবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বৈষম্যহীন বাংলাদেশে প্রবাসীদের অধিকার রক্ষা আমাদের দায়িত্ব। প্রবাসীরা যাতে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা পান এবং কোনো ধরনের ভোগান্তির সম্মুখীন না হন, তার জন্য প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ভ্রমণকে সহজ করার জন্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ হেল্প ডেস্ক এবং লাউঞ্জের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন কষ্টার্জিত টাকা প্রবাসীরা পরিবারকে দিয়ে থাকেন্ সেই টাকা তারা সমাজ ও দেশের জন্য খরচ করেন। তার মানে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে দেশের উন্নতি হয়। দেশে কাজ করা আর বিদেশের মাটিতে কাজ করার পার্থক্য অনেক কিছু।
প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয়ে প্রেরিত রেমিট্যান্স দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
সৌদি আরবে অবস্থানরত সকল প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স সর্বোচ্চ বিবেচিত হওয়ায় কনসাল জেনারেল তাদের অভিনন্দনও জানান। সেই সঙ্গে তিনি সৌদি প্রবাসীদের স্থানীয় নিয়ম মেনে চলার ও বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের আহ্বান জানান। পরিশেষে তিনি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ইতিবাচক রাখতে প্রবাসীদের অন্যায়–অবৈধ কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যে ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টের আন্দোলনে শহিদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ ও তাদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহিদসহ সকল আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত একটি বিশেষ ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
এ ছাড়া, আয়োজনে ছিল জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের চিত্র প্রদর্শনী। ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল এস এম নাজমুল হাসান প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন।
আলোচনা পর্বে বক্তারা শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে সকলের করণীয় ও রেমিট্যান্স দিবসের তাৎপর্যের ওপর আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠান শেষে জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, জেদ্দাপ্রবাসী বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের সফলতায় প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল এস এম নাজমুল হাসান।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূতি (‘জুলাই বিয়ন্ড বর্ডারস’) এবং রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস ২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
গত বুধবার (৩০ জুলাই) জেদ্দার বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দিবসটি পালন করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল এস এম নাজমুল হাসান তাঁর বক্তব্যে বলেন, জুলাই–আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন আমাদের শোশণমুক্ত, বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনে উজ্জীবিত করবে। আমরা যদি জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের সফলতার কথা চিন্তা করি, এ সফলতার পেছনে প্রবাসীরা বড় ভূমিকা পালন করেছেন। সমভাবে তারাও এ আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে রেমিট্যান্স শাটডাউনের মাধ্যমে তারা এ বিপ্লবকে ত্বরান্বিত করেছেন। সে সময়ে বিদেশ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসী বা রেমিট্যান্সযোদ্ধারা যে অভূতপূর্ব ভূমিকা রেখেছিলেন তা বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের সফলতায় প্রবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বৈষম্যহীন বাংলাদেশে প্রবাসীদের অধিকার রক্ষা আমাদের দায়িত্ব। প্রবাসীরা যাতে সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা পান এবং কোনো ধরনের ভোগান্তির সম্মুখীন না হন, তার জন্য প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ভ্রমণকে সহজ করার জন্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ হেল্প ডেস্ক এবং লাউঞ্জের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন কষ্টার্জিত টাকা প্রবাসীরা পরিবারকে দিয়ে থাকেন্ সেই টাকা তারা সমাজ ও দেশের জন্য খরচ করেন। তার মানে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে দেশের উন্নতি হয়। দেশে কাজ করা আর বিদেশের মাটিতে কাজ করার পার্থক্য অনেক কিছু।
প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয়ে প্রেরিত রেমিট্যান্স দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
সৌদি আরবে অবস্থানরত সকল প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স সর্বোচ্চ বিবেচিত হওয়ায় কনসাল জেনারেল তাদের অভিনন্দনও জানান। সেই সঙ্গে তিনি সৌদি প্রবাসীদের স্থানীয় নিয়ম মেনে চলার ও বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের আহ্বান জানান। পরিশেষে তিনি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ইতিবাচক রাখতে প্রবাসীদের অন্যায়–অবৈধ কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যে ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টের আন্দোলনে শহিদদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ ও তাদের আত্মার মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহিদসহ সকল আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত একটি বিশেষ ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
এ ছাড়া, আয়োজনে ছিল জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের চিত্র প্রদর্শনী। ভারপ্রাপ্ত কনসাল জেনারেল এস এম নাজমুল হাসান প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন।
আলোচনা পর্বে বক্তারা শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে সকলের করণীয় ও রেমিট্যান্স দিবসের তাৎপর্যের ওপর আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠান শেষে জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, জেদ্দাপ্রবাসী বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কার্যকর উদ্যোগের ফলে ভিসা দালালদের সিন্ডিকেটে ধস নেমেছে। এতে অসাধু নিয়োগকর্তাদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে লাগাম পড়েছে।
বাহরাইনের বাংলাদেশ দূতাবাস গতকাল শুক্রবার (১ আগষ্ট) ঈসা টাউনের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাহরাইনের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক সংস্থার অংশগ্রহণে প্রবাসীদের জন্য একটি বিশেষ সচেতনতামূলক মোবাইল কনস্যুলার ক্যাম্পের আয়োজন করে।
গণতন্ত্রবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী। তিনি বলেন, বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে পালিয়ে থাকা চক্র এখনো বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্রের জাল বুনে চলেছে।
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসে বিভিন্ন কর্মসুচির মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসের প্রথম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার (৩১ জুলাই) রিয়াদে দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে ‘জুলাই বিয়ন্ড বর্ডারস’ শিরোনামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।