বিডিজেন ডেস্ক
কানাডা ও মেক্সিকোর অধিকাংশ পণ্যের ওপর চলতি সপ্তাহে আরোপ করা ২৫ শতাংশ শুল্ক সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এ পদক্ষেপ নেন তিনি।
খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশটিতে যে অস্থিতিশীল বাণিজ্য নীতির উপস্থিতি পরিলক্ষিত যাচ্ছে, তারই সাম্প্রতিকতম প্রতিফলন তাঁর এ পদক্ষেপ। এমন বাণিজ্য নীতি আর্থিক বাজারকে নাড়া দিয়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধির মন্দা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দুই বড় বাণিজ্য অংশীদার কানাডা ও মেক্সিকোকে দেওয়া ট্রাম্পের এ ছাড়ের মেয়াদ আগামী ২ এপ্রিল শেষ হবে। এদিন থেকে বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সব বাণিজ্য অংশীদারদের পণ্যে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ হিসেবে শুল্ক আরোপ করার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকো—এ উভয় দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। ২ দিন পর গতকাল সকালে শুধু মেক্সিকোকে এ পদক্ষেপ থেকে সাময়িক সময়ের জন্য অব্যাহতি দেন তিনি। তবে দুপুরের পর এ–সংক্রান্ত সংশোধনীতে তিনি যখন সই করেন, তখন কানাডাকেও এর অন্তর্ভুক্ত করেন; অর্থাৎ কানাডাকেও সাময়িক শুল্ক অব্যাহতি দেন। এ তিনটি দেশই ‘নর্থ আমেরিকান’ বাণিজ্য চুক্তির অংশীদার।
এদিকে ট্রাম্পের এ পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ২ এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে দ্বিতীয় দফায় পরিকল্পিত ১২৫ বিলিয়ন (১২ হাজার ৫০০ কোটি) কানাডীয় ডলারের পাল্টা শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিলম্বিত করবে কানাডা। দেশটির অর্থমন্ত্রী ডোমিনিক লাব্লাঙ্ক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের সংশোধিত আদেশে কানাডার যেসব পণ্যে সাময়িক শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সার পটাশও রয়েছে। তবে সব জ্বালানি পণ্যে এ সুবিধা দেওয়া হয়নি। ট্রাম্প কানাডার জ্বালানি পণ্যে আলাদা করে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন।
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বলেন, কানাডার সব জ্বালানি পণ্যে এ সুবিধা না দেওয়ার কারণ, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে বাণিজ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো–কানাডার মধ্যে যে চুক্তি হয়, তার আওতায় কানাডা থেকে আমদানি করা সব জ্বালানি পণ্য নেই।
হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রথম দিনই গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ পদক্ষেপের যুক্তি হিসেবে চীন থেকে কানাডা ও মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসা মাদক ফেন্টানিলের কারণে লোকজনের প্রাণ হারানোর কথা উল্লেখ করেন। সেই সঙ্গে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথম গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে দেশ তিনটির ওপর শুল্ক আরোপের ওই ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর আরোপ করা শুল্ক গত মঙ্গলবার পর্যন্ত বিলম্বিত করেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে এটি আবারও বিলম্বিত করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। পাশাপাশি ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে চীনা পণ্যে আরোপ করা ১০ শতাংশ শুল্ক দ্বিগুণ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে বলেন, ‘২ এপ্রিল আমরা (বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য অংশীদারদের) পণ্যের ওপর পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছি। আশা করছি, মেক্সিকো ও কানাডা যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানাইলের আসা বন্ধে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেবে।’
কানাডা ও মেক্সিকোর অধিকাংশ পণ্যের ওপর চলতি সপ্তাহে আরোপ করা ২৫ শতাংশ শুল্ক সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এ পদক্ষেপ নেন তিনি।
খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশটিতে যে অস্থিতিশীল বাণিজ্য নীতির উপস্থিতি পরিলক্ষিত যাচ্ছে, তারই সাম্প্রতিকতম প্রতিফলন তাঁর এ পদক্ষেপ। এমন বাণিজ্য নীতি আর্থিক বাজারকে নাড়া দিয়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধির মন্দা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দুই বড় বাণিজ্য অংশীদার কানাডা ও মেক্সিকোকে দেওয়া ট্রাম্পের এ ছাড়ের মেয়াদ আগামী ২ এপ্রিল শেষ হবে। এদিন থেকে বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সব বাণিজ্য অংশীদারদের পণ্যে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ হিসেবে শুল্ক আরোপ করার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকো—এ উভয় দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। ২ দিন পর গতকাল সকালে শুধু মেক্সিকোকে এ পদক্ষেপ থেকে সাময়িক সময়ের জন্য অব্যাহতি দেন তিনি। তবে দুপুরের পর এ–সংক্রান্ত সংশোধনীতে তিনি যখন সই করেন, তখন কানাডাকেও এর অন্তর্ভুক্ত করেন; অর্থাৎ কানাডাকেও সাময়িক শুল্ক অব্যাহতি দেন। এ তিনটি দেশই ‘নর্থ আমেরিকান’ বাণিজ্য চুক্তির অংশীদার।
এদিকে ট্রাম্পের এ পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ২ এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে দ্বিতীয় দফায় পরিকল্পিত ১২৫ বিলিয়ন (১২ হাজার ৫০০ কোটি) কানাডীয় ডলারের পাল্টা শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিলম্বিত করবে কানাডা। দেশটির অর্থমন্ত্রী ডোমিনিক লাব্লাঙ্ক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের সংশোধিত আদেশে কানাডার যেসব পণ্যে সাময়িক শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সার পটাশও রয়েছে। তবে সব জ্বালানি পণ্যে এ সুবিধা দেওয়া হয়নি। ট্রাম্প কানাডার জ্বালানি পণ্যে আলাদা করে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন।
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বলেন, কানাডার সব জ্বালানি পণ্যে এ সুবিধা না দেওয়ার কারণ, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে বাণিজ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো–কানাডার মধ্যে যে চুক্তি হয়, তার আওতায় কানাডা থেকে আমদানি করা সব জ্বালানি পণ্য নেই।
হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রথম দিনই গত ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ পদক্ষেপের যুক্তি হিসেবে চীন থেকে কানাডা ও মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসা মাদক ফেন্টানিলের কারণে লোকজনের প্রাণ হারানোর কথা উল্লেখ করেন। সেই সঙ্গে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথম গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে দেশ তিনটির ওপর শুল্ক আরোপের ওই ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর আরোপ করা শুল্ক গত মঙ্গলবার পর্যন্ত বিলম্বিত করেন। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে এটি আবারও বিলম্বিত করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। পাশাপাশি ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে চীনা পণ্যে আরোপ করা ১০ শতাংশ শুল্ক দ্বিগুণ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে বলেন, ‘২ এপ্রিল আমরা (বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য অংশীদারদের) পণ্যের ওপর পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছি। আশা করছি, মেক্সিকো ও কানাডা যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানাইলের আসা বন্ধে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি, হামাস এই চুক্তি না মানলে ফলাফল আরও খারাপ হবে বলেও দাবি করেন ট্রাম্প।
সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিতে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রায় ৬ মাস আগে সিরিয়ায় ক্ষমতা থেকে উৎখাত হন দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদ। তাঁকে উৎখাতে নেতৃত্ব দেন দেশটির বর্তমান শাসক আহমেদ আল–শারা।
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে ফেডারেল বিচারকদের ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে। এই বিচারকেরা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সীমিত করার নির্বাহী আদেশ স্থগিত করতে দেশব্যাপী আদেশ জারি করেছিলেন।