বিডিজেন ডেস্ক
ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় প্রায় ১৯ হাজার শিশু নিহত হয়েছে। মা-বাবা হারিয়ে এতিম হয়েছে ৩৯ হাজার শিশু। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তা ও দায়মুক্তির কারণে ইসরায়েলি দখলদারেরা ফিলিস্তিনি শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ করতে আরও উৎসাহী হচ্ছে। ইসরায়েলের অপরাধগুলো তুলে ধরার জন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার।
গাজার মোট ২৩ লাখ বাসিন্দার ৫১ শতাংশ শিশু। ভূখন্ডটিতে ইসরায়েলের হামলায় নিহত শিশুদের তথ্য আরও সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরেছে ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো। তাদের তথ্যমতে, গাজায় নিহত শিশুদের মধ্যে ২৭৪টি নবজাতক আর এক বছরের কম বয়সী ৮৭৪ শিশু রয়েছে। হামলার পাশাপাশি ভূখন্ডটিতে ঠান্ডায় জমে ১৭ এবং ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে ৫২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
হামলা চলছেই
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, তখন থেকে উপত্যকাটিতে অন্তত ৫০ হাজার ৬৬৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত ১ লাখ ১৫ হাজার ২২৫ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে গত ১৮ মার্চ থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর নিহত ১ হাজার ২৪৯ জন রয়েছে। এই সময় আহত হয়েছে ৩ হাজার ২২ জন।
১৮ মার্চ থেকে গাজায় হামলার পাশাপাশি ভূমি দখলও শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। রাফা ও খান ইউনিসে চলছে স্থল অভিযান। গতকালও উত্তর গাজার বেইত হানুন, শুজাইয়া এবং দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের কিজান আবু রাশওয়ানসহ বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩০জন নিহত হয়েছে। আর আগের ২৪ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে প্রাণহানি হয় ৮৬ জনের।
গতকাল গাজা নগরীর শুজাইয়া এলাকায় আকাশ ও স্থলপথে ব্যাপক হামলা হয়। তীব্র গোলাগুলির মধ্যে আটকা পড়ে এলাকাটির বাসিন্দারা। এক বাসিন্দা আল-জাজিরাকে বলেন, ‘ইসরায়েলের নির্বিচার তীব্র হামলার কারণে আমরা বাসাবাড়ি ও তাঁবু ছেড়ে যেতে ভয় পাচ্ছি। কামানের গোলার আঘাতে আমাদের বেশির ভাগ তাঁবু ছিঁড়ে গেছে। ড্রোন থেকেও আমাদের ওপর হামলা হচ্ছে।’
এদিকে গাজায় ইসরায়েলের বোমা হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন উপত্যকাটির একজন সাংবাদিক। স্থানীয় সাংবাদিকেরা দাবি করেছেন, ওই ভিডিওতে বোমার আঘাতে মানুষের শরীর কয়েক তলা ভবনের সমান ওপরে ছিটকে পড়তে দেখা গেছে। ভিডিওটি শেয়ার করা সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘শিশুদের আত্মা ও শরীর স্বর্গে পাঠানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি রকেট ব্যবহার করছে দখলদার ইসরায়েলিরা।’
ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় ইসরায়েলের হামলার শুরু থেকেই দেশটিকে সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসার পর সেই সমর্থন আরও বাড়িয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি তিনি ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করে ভূখন্ডটি যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানায় আনার কথা বলেছেন।
এই সমর্থন যে অব্যাহত থাকবে, তা গতকাল আবারও নিশ্চিত করেছে যু্ক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে ইসরায়েলের ওপর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নিয়ে কথা হয়েছে দুজনের।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের খবরে বলা হয়েছে, গাজা ইস্যু ও শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের আলোচনার সঙ্গে আগামী সোমবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন নেতানিয়াহু। একই সঙ্গে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোগুলোয় হামলা চালানো হবে কি না—সে বিষয়ে বোঝাপড়ার জন্য ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এটি হবে যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহুর চতুর্থ সফর।
ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় প্রায় ১৯ হাজার শিশু নিহত হয়েছে। মা-বাবা হারিয়ে এতিম হয়েছে ৩৯ হাজার শিশু। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিষ্ক্রিয়তা ও দায়মুক্তির কারণে ইসরায়েলি দখলদারেরা ফিলিস্তিনি শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ করতে আরও উৎসাহী হচ্ছে। ইসরায়েলের অপরাধগুলো তুলে ধরার জন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার।
গাজার মোট ২৩ লাখ বাসিন্দার ৫১ শতাংশ শিশু। ভূখন্ডটিতে ইসরায়েলের হামলায় নিহত শিশুদের তথ্য আরও সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরেছে ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো। তাদের তথ্যমতে, গাজায় নিহত শিশুদের মধ্যে ২৭৪টি নবজাতক আর এক বছরের কম বয়সী ৮৭৪ শিশু রয়েছে। হামলার পাশাপাশি ভূখন্ডটিতে ঠান্ডায় জমে ১৭ এবং ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে ৫২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
হামলা চলছেই
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, তখন থেকে উপত্যকাটিতে অন্তত ৫০ হাজার ৬৬৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত ১ লাখ ১৫ হাজার ২২৫ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে গত ১৮ মার্চ থেকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর নিহত ১ হাজার ২৪৯ জন রয়েছে। এই সময় আহত হয়েছে ৩ হাজার ২২ জন।
১৮ মার্চ থেকে গাজায় হামলার পাশাপাশি ভূমি দখলও শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। রাফা ও খান ইউনিসে চলছে স্থল অভিযান। গতকালও উত্তর গাজার বেইত হানুন, শুজাইয়া এবং দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের কিজান আবু রাশওয়ানসহ বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩০জন নিহত হয়েছে। আর আগের ২৪ ঘণ্টায় গাজাজুড়ে প্রাণহানি হয় ৮৬ জনের।
গতকাল গাজা নগরীর শুজাইয়া এলাকায় আকাশ ও স্থলপথে ব্যাপক হামলা হয়। তীব্র গোলাগুলির মধ্যে আটকা পড়ে এলাকাটির বাসিন্দারা। এক বাসিন্দা আল-জাজিরাকে বলেন, ‘ইসরায়েলের নির্বিচার তীব্র হামলার কারণে আমরা বাসাবাড়ি ও তাঁবু ছেড়ে যেতে ভয় পাচ্ছি। কামানের গোলার আঘাতে আমাদের বেশির ভাগ তাঁবু ছিঁড়ে গেছে। ড্রোন থেকেও আমাদের ওপর হামলা হচ্ছে।’
এদিকে গাজায় ইসরায়েলের বোমা হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন উপত্যকাটির একজন সাংবাদিক। স্থানীয় সাংবাদিকেরা দাবি করেছেন, ওই ভিডিওতে বোমার আঘাতে মানুষের শরীর কয়েক তলা ভবনের সমান ওপরে ছিটকে পড়তে দেখা গেছে। ভিডিওটি শেয়ার করা সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘শিশুদের আত্মা ও শরীর স্বর্গে পাঠানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি রকেট ব্যবহার করছে দখলদার ইসরায়েলিরা।’
ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় ইসরায়েলের হামলার শুরু থেকেই দেশটিকে সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসার পর সেই সমর্থন আরও বাড়িয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি তিনি ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করে ভূখন্ডটি যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানায় আনার কথা বলেছেন।
এই সমর্থন যে অব্যাহত থাকবে, তা গতকাল আবারও নিশ্চিত করেছে যু্ক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে ইসরায়েলের ওপর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নিয়ে কথা হয়েছে দুজনের।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের খবরে বলা হয়েছে, গাজা ইস্যু ও শুল্ক নিয়ে ট্রাম্পের আলোচনার সঙ্গে আগামী সোমবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন নেতানিয়াহু। একই সঙ্গে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোগুলোয় হামলা চালানো হবে কি না—সে বিষয়ে বোঝাপড়ার জন্য ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর এটি হবে যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহুর চতুর্থ সফর।
নতুন সপ্তাহে শেয়ারবাজার খুলতে খুলতেই আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) এশিয়ায় বড় ধরনের ধস হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পর বৃহস্পতি ও শুক্রবারের ধারাবাহিকতায় আজও এই পতন; সেই সঙ্গে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম।
‘ট্রাম্পের পদত্যাগ চাই’, ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’, ‘আমাদের কোনো রাজা নেই’—শনিবার এমন স্লোগানে দিনভর উত্তাল ছিল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর উপদেষ্টা ধনকুবের ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে দেশটির ৫০ অঙ্গরাজ্যের সব কটিতে বিক্ষোভ করেছে লাখ লাখ মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্কে বিচলিত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যে ধস নেমেছে বেশ কয়েকটি দেশের পুঁজিবাজারে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় পাল্টা শুল্ক আরোপের বদলে অনেক দেশই আলোচনার পথে হাঁটছে।
হজ মৌসুমকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের নাগরিকদের জন্য অস্থায়ীভাবে ওমরাহ, ব্যবসা ও পারিবারিক ভিসা প্রদান স্থগিত করেছে সৌদি আরব। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, এই নিষেধাজ্ঞা আগামী জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত বহাল থাকবে।