বিডিজেন ডেস্ক
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাকে ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফ। শহরটিকে গাজা উপত্যকা থেকে বিচ্ছিন্নকারী মোরাগ করিডরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে আইডিএফ।
খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার।
সংবাদমাধ্যমটির তথ্যমতে, গতকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) খান ইউনিসসহ আরও বেশ কয়েকটি জনবসতি খালি করতে নতুন করে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি প্রশাসন। শনিবার খান ইউনিস ও এর আশপাশের এলাকাগুলো থেকেই ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। জবাবে অঞ্চলগুলোতে আরও জোর হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে আইডিএফ। আর এ কারণেই এলাকাগুলো খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, খান ইউনিস ছাড়াও কিজাম আন নাজার, কিজাম আবু রাশওয়ান, আল সালাম, আল মানারা, আল কুরাইন, আল বাতন আল সামিন, জুর্ত আল লত, আল ফাখারি এবং বানি সুহাইলার বাসিন্দাদের আল মাওয়াসিতে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার দক্ষিণ গাজা থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে রকেট হামলার পর এরই মধ্যে গাজায় কয়েক দফা ড্রোন হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহুর বাহিনী। এতে দুই ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মোরাগ করিডরকে ইসরায়েলি সেনাদের জন্য নিরাপত্তা অঞ্চল বলে অভিহিত করছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এ নিয়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, ‘মোরাগ করিডর একটি ইসরায়েলি নিরাপত্তা করিডরে পরিণত হয়েছে। এর পাশাপাশি গাজাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা নেতসারিম করিডর আরও প্রশস্ত করা হবে।’
এ সময় অঞ্চলটির বাসিন্দাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যারা স্বেচ্ছায় এই অঞ্চল ছাড়তে চান, তাদের সেখান থেকে বের হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।’
এটিকে গাজাবাসীর জন্য শেষ আলটিমেটাম বলেও অভিহিত করেন কাৎজ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘হামাসকে সরাও। নয়তো খুব শিগগিরই গাজার বেশির ভাগ এলাকায় অভিযান বাড়ানো হবে। হামাসকে গদি থেকে নামানো আর বন্দীদের ফিরিয়ে দেওয়াই যুদ্ধ বন্ধের একমাত্র পথ।’
মোরাগ করিডর নিয়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কিংস কলেজ লন্ডনের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ের প্রভাষক রবার্ট গেইস্ট পিনফোল্ড আল জাজিরাকে বলেন, ইসরায়েল বলছে যে, মোরাগ করিডর কেবল সামরিক প্রয়োজনে তৈরি, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি গাজা নিয়ন্ত্রণে রাখার দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের একটি অংশ। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল সব সময় গাজাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেয়েছে—বিশেষ করে সেখানে কী প্রবেশ করছে এবং কী বের হচ্ছে তা নজরে রাখতে চেয়েছে। নিরাপত্তার নামে তারা এই নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোরাগ, নেতসারিম ও ফিলাডেলফি করিডরগুলোর নাম যেসব বসতির নামে রাখা হয়েছে, সেগুলো এলোমেলোভাবে বসানো হয়নি। গাজার শহরাঞ্চলগুলো বিচ্ছিন্ন করতে এবং ইসরায়েল যেন যখন খুশি গাজার ওপর চেপে বসতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে এগুলো বসানো হয়েছে।’
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাকে ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফ। শহরটিকে গাজা উপত্যকা থেকে বিচ্ছিন্নকারী মোরাগ করিডরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে আইডিএফ।
খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার।
সংবাদমাধ্যমটির তথ্যমতে, গতকাল শনিবার (১২ এপ্রিল) খান ইউনিসসহ আরও বেশ কয়েকটি জনবসতি খালি করতে নতুন করে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি প্রশাসন। শনিবার খান ইউনিস ও এর আশপাশের এলাকাগুলো থেকেই ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। জবাবে অঞ্চলগুলোতে আরও জোর হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে আইডিএফ। আর এ কারণেই এলাকাগুলো খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, খান ইউনিস ছাড়াও কিজাম আন নাজার, কিজাম আবু রাশওয়ান, আল সালাম, আল মানারা, আল কুরাইন, আল বাতন আল সামিন, জুর্ত আল লত, আল ফাখারি এবং বানি সুহাইলার বাসিন্দাদের আল মাওয়াসিতে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার দক্ষিণ গাজা থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে রকেট হামলার পর এরই মধ্যে গাজায় কয়েক দফা ড্রোন হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহুর বাহিনী। এতে দুই ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মোরাগ করিডরকে ইসরায়েলি সেনাদের জন্য নিরাপত্তা অঞ্চল বলে অভিহিত করছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এ নিয়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, ‘মোরাগ করিডর একটি ইসরায়েলি নিরাপত্তা করিডরে পরিণত হয়েছে। এর পাশাপাশি গাজাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা নেতসারিম করিডর আরও প্রশস্ত করা হবে।’
এ সময় অঞ্চলটির বাসিন্দাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যারা স্বেচ্ছায় এই অঞ্চল ছাড়তে চান, তাদের সেখান থেকে বের হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।’
এটিকে গাজাবাসীর জন্য শেষ আলটিমেটাম বলেও অভিহিত করেন কাৎজ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘হামাসকে সরাও। নয়তো খুব শিগগিরই গাজার বেশির ভাগ এলাকায় অভিযান বাড়ানো হবে। হামাসকে গদি থেকে নামানো আর বন্দীদের ফিরিয়ে দেওয়াই যুদ্ধ বন্ধের একমাত্র পথ।’
মোরাগ করিডর নিয়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কিংস কলেজ লন্ডনের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ের প্রভাষক রবার্ট গেইস্ট পিনফোল্ড আল জাজিরাকে বলেন, ইসরায়েল বলছে যে, মোরাগ করিডর কেবল সামরিক প্রয়োজনে তৈরি, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি গাজা নিয়ন্ত্রণে রাখার দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের একটি অংশ। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল সব সময় গাজাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেয়েছে—বিশেষ করে সেখানে কী প্রবেশ করছে এবং কী বের হচ্ছে তা নজরে রাখতে চেয়েছে। নিরাপত্তার নামে তারা এই নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোরাগ, নেতসারিম ও ফিলাডেলফি করিডরগুলোর নাম যেসব বসতির নামে রাখা হয়েছে, সেগুলো এলোমেলোভাবে বসানো হয়নি। গাজার শহরাঞ্চলগুলো বিচ্ছিন্ন করতে এবং ইসরায়েল যেন যখন খুশি গাজার ওপর চেপে বসতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে এগুলো বসানো হয়েছে।’
ইসরায়েলের নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। দ্রুতই এ প্রস্তাবের বিষয়ে সাড়া দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি।
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখন্ডে ইসরায়েলের বোমা বর্ষণ অব্যাহত আছে। গতকাল রোববারও (১৩ এপ্রিল) সেখানে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক পরিবারের ৬ ভাইও রয়েছে। তারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অনাহারে থাকা ফিলিস্তিনিদের খাদ্যসহায়তা দিতে কাজ করত।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা শুরু হওয়ার পর বাদ যায়নি বিদ্যালয়, ধর্মীয় স্থাপনা, উদ্বাস্তুদের আশ্রয়স্থল, এমনকি হাসপাতালও। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ ভূখন্ডে এখন পর্যন্ত ৩৫টি হাসপাতালে হামলা করেছে কিংবা আগুন দিয়েছে ইসরায়েল বাহিনী।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাকে ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফ। শহরটিকে গাজা উপত্যকা থেকে বিচ্ছিন্নকারী মোরাগ করিডরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে আইডিএফ।