logo
মতামত

ভারতের স্বার্থেই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করা উচিত নয়

সহিদুল আলম স্বপন, জেনেভা, সুইজারল্যান্ড৪ দিন আগে
Copied!
ভারতের স্বার্থেই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করা উচিত নয়

মুক্ত আলোচনা/মুক্ত মত

বাংলাদেশ–চীন সম্পর্ক ক্রমবর্ধমান হওয়ায় ভারতের উদ্বেগ মূলত কৌশলগত ও ভূ-রাজনৈতিক কারণে। ভারতের অস্বস্তির পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। ভারত তার নিকটবর্তী প্রতিবেশী দেশগুলোতে, বিশেষ করে বাংলাদেশে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিকে তার আঞ্চলিক প্রভাবের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখে। চীন তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) মাধ্যমে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলোতে সক্রিয়ভাবে বিনিয়োগ করছে। ভারত উদ্বিগ্ন, এর মাধ্যমে চীনের প্রতি বাংলাদেশের মনোভাব পরিবর্তন হতে পারে, যা ভারতের দীর্ঘস্থায়ী আঞ্চলিক সম্পর্ককে একপাশে সরিয়ে দিতে পারে।

চীন বাংলাদেশে রাস্তাঘাট, বন্দর, সৌরশক্তি এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো অবকাঠামো নির্মাণের ফলে ঢাকার সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হচ্ছে। এই ধরনের গভীর সম্পর্ক ভারতের জন্য বাংলাদেশে তার নিজস্ব অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভাব সীমিত করতে পারে। কারণ বাংলাদেশ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। তাছাড়া, বাংলাদেশ যদি চীনের ওপর অর্থনৈতিকভাবে আরও নির্ভরশীল হয়ে ওঠে, তাহলে এই অঞ্চলে চীনা কৌশলগত স্বার্থের প্রতি তার আরও সংবেদনশীলতা তৈরি হতে পারে। ভারত এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতি নিয়েও উদ্বিগ্ন।

উদাহরণস্বরূপ, চীন বাংলাদেশকে সামরিক সহায়তা প্রদান করেছে। এর মধ্যে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রিও রয়েছে। ভারত ও চীনের দীর্ঘস্থায়ী ভূখণ্ডগত বিরোধ, বিশেষ করে সীমান্ত নিয়ে, ভারত তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে চীনের সামরিক সম্পর্ক জোরদার করাকে একটি সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখে। বাংলাদেশ যদি চীনের দিকে খুব বেশি ঝুঁকে পড়ে, তাহলে ভারত আঞ্চলিক ক্ষমতার ভারসাম্যের পরিবর্তন নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে পারে। বিশেষ করে উভয় দেশই যেহেতু নদীর পানি বণ্টন চুক্তি এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলো ভাগ করে নেয়। ভারত প্রায়শই বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখে। যার সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ যদি চীনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে জোট বাধে, তাহলে ভারত এটিকে একটি কূটনৈতিক বিপর্যয় হিসেবে দেখতে পারে। বিশেষ করে ভারত যেহেতু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ব্যাপক কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক কৌশলগত মূলধন বিনিয়োগ করেছে। যদিও বাংলাদেশের জনসাধারণের প্রায় সর্বক্ষেত্রেই নেতিবাচক মনোভাবই পরিলক্ষিত হয়েছে।

বাংলাদেশ–চীন সম্পর্ক এবং ভারতের ওপর এর প্রভাব বৃহত্তর আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে। চীন ও বাংলাদেশ তাদের সম্পর্ককে ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী করে চলেছে, মূলত বিনিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বাণিজ্যের মাধ্যমে। বাংলাদেশ চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণকারী।রাস্তাঘাট, সেতু এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি বড় অবকাঠামো প্রকল্পের অর্থায়ন চীন করেছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি হলেও চীনের ওপর নির্ভরতা বেড়েছে। অবকাঠামোর বাইরে, চীন বাংলাদেশকে সামরিক সরঞ্জামও সরবরাহ করেছে। যা ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ, কারণ এটি আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্যকে পরিবর্তন করতে পারে। চীনা ঋণ ও সহায়তার ওপর বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা সম্ভাব্যভাবে ভারতের প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে। অবশ্য এই ক্ষেত্রে ভারতের বড়ভাইসুলভ আচরণ এবং বাংলাদেশের জনসাধারণকে উপেক্ষা করা অনেক ক্ষেত্রেই দায়ী।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চীন বাংলাদেশের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ যখন তার বাণিজ্য অংশীদারদের বৈচিত্র্যময় করতে চাইছে, তখন চীনের ওপর তার ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাবশালী অর্থনৈতিক খেলোয়াড় হিসেবে ভারতের অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে।

এ ক্ষেত্রে আমাদের চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের জন্য ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ভুলে যাওয়া ঠিক হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এবং বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে ভূমিকা পালন করে। এক দশকে, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একটি ঘনিষ্ঠ কৌশলগত অংশীদারত্ব গড়ে তুলেছে, মূলত এশিয়ায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে অভিন্ন উদ্বেগের কারণে।

এই অংশীদারত্ব তাদের ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক, সেইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদ দমন ও বাণিজ্যের মতো বিষয়গুলোতে তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র চীনের আঞ্চলিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভারসাম্য রক্ষা করে। ভারত কোয়াডের (চতুর্ভুজীয় নিরাপত্তা সংলাপ) অংশ। যার লক্ষ্য ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলা করা। এই জোট ভারতকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কসহ যেকোনো চীনা সম্প্রসারণের বিষয়ে সতর্ক থাকতে অনেকটাই বাধ্য করে। ভারত চাইবে যে, বাংলাদেশ তার আঞ্চলিক প্রভাব বজায় রাখতে এবং ভারতের সীমান্তের খুব কাছাকাছি চীনের অবস্থান রোধ করতে চীনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনুক। তবে সেক্ষেত্রে ভারতের উচিত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করা। তবে ভারতের রাজনৈতিক শক্তি তা সবসময় উপেক্ষা করে।

লেখক
লেখক

যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। বিশেষ করে বাণিজ্য, উন্নয়ন সহায়তা এবং কূটনীতির ক্ষেত্রে। তবে এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব কৌশলগত স্বার্থও রয়েছ। যার মধ্যে রয়েছে চীনের প্রভাব মোকাবিলা করা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, যুক্তরাষ্ট্র তার বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রায়শই চীনা বিনিয়োগ ও অবকাঠামো প্রকল্পের বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে। তবে, বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ের সঙ্গেই তার সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রেখেছে।

চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কারণ হিসেবে বেশ কিছু বিষয় দায়ী। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার সঙ্গে সঙ্গে ভারত উদ্বিগ্ন যে চীনের প্রভাব কৌশলগতভাবে তাদের ঘিরে ফেলতে পারে। বাংলাদেশে অবকাঠামো ও সামরিক সরবরাহে চীনা বিনিয়োগের ফলে ভারত মনে করে যে, তার কৌশলগত বিকল্পগুলো সংকুচিত হচ্ছে, বিশেষ করে পূর্ব সীমান্ত এলাকায়।

ভারত দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। ভারতের ভয় চীনের দিকে বাংলাদেশের ঝুঁকে পড়ার ফলে আঞ্চলিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা, বাণিজ্য এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের জন্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হলেও, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। এটি একটি জটিল গতিশীলতা তৈরি করেছে। কারণ ভারত চীনের সম্প্রসারণ রোধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে। কিন্তু একইসঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে তার নিজস্ব আঞ্চলিক স্বার্থের ভারসাম্য বজায় রাখছে।

চীনের অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রচারণার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার সময় যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ এশিয়ায় তার কৌশলগত স্বার্থ বজায় রাখতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র এ আঞ্চলে বাংলাদেশের গুরুত্ব স্বীকার করে এবং বাংলাদেশের বিরোধিতা না করার ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের বৃহত্তর প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবেও দেখে এবং ব্লু ডট নেটওয়ার্কের (স্বচ্ছতা ও স্থায়িত্বের ওপর জোর দেয় এমন একটি যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত অবকাঠামো বিনিয়োগ প্রচারকারী উদ্যোগ) এর মতো কর্মসূচির মাধ্যমে চীনা বিনিয়োগের বিকল্পগুলোকে উৎসাহিত করতে পারে।

সংক্ষেপে, ক্রমবর্ধমান চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রতি ভারতের অসন্তুষ্টি এই আশঙ্কা থেকে উদ্ভূত যে, এই অঞ্চলে চীনের বর্ধিত উপস্থিতি ভারতের কৌশলগত, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে ভারতের উদ্বেগ বহুমুখী, মূলত চীনের কাছে বাংলাদেশের উপর প্রভাব হারানোর ভয়ের কারণে। যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বিস্তৃত ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার কারণে এটি জটিল হয়ে উঠেছে। যেখানে ভারত চীনের আঞ্চলিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার ভারসাম্য বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হচ্ছে।

বাংলাদেশ যখন উভয় শক্তির সঙ্গে তার সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চাইছে, তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্যমূলক পদক্ষেপে রয়ে গেছে। চীনের অবকাঠামো বিনিয়োগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহায়তা উভয় থেকে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশে। একইসঙ্গে একটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক অঞ্চলে নিজস্ব সার্বভৌমত্ব বজায় রাখছে যা কৌশলগত এবং কূটনৈতিক পরিপক্কতার পরিচায়ক। গত ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে, এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব মোকাবিলার ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ার অংশ হওয়ায় বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বৃহত্তর কৌশলগত প্রতিযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে পাশে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। যদিও বাংলাদেশ জোটনিরপেক্ষতার নীতি এবং উভয় শক্তির সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক তুলনামূলকভাবে অনেক স্থিতিশীল রয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি নিরাপত্তা এবং বাণিজ্যের মতো ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত, লেনদেনমূলক সহযোগিতার দিকে বেশি ঝুঁকবে এটা এখন হলফ করেই বলা যায়। অন্তত ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের সঙ্ড়ে এলনজি গ‍্যাস চুক্তি স্বাক্ষর তারই বহিঃপ্রকাশ। এখন ভারতের উচিত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রচার এবং মানবাধিকার উদ্বেগের মতো ইস্যুতে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়ানো। যা এযাবৎকাল ভারত সরকার এবং ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্বে উপেক্ষা করে এসেছে।

সহিদুল আলম স্বপন, জেনেভা, সুইজারল্যান্ড

বেসরকারি ব্যাংকিং আর্থিক অপরাধ কমপ্লায়েন্স বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট।

ইমেইল: [email protected]

**প্রিয় পাঠক, বিডিজেন২৪-এ গল্প, কবিতা, ভ্রমণকাহিনি, সুখ–দুঃখের স্মৃতি, প্রবন্ধ, ফিচার, অনুষ্ঠান বা ঘটনার ভিডিও এবং ছবিসহ নানা বিষয়ের লেখা পাঠান। মেইল: [email protected]

আরও পড়ুন

ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ এবং কিছু প্রশ্ন

ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ এবং কিছু প্রশ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানটি টেলিভিশনে লাইভে সেদিন আমি পুরোটা দেখেছি। দেখে আমার কাছে প্রথম মেয়াদের চাইতে এবারের ট্রাম্পকে অনেক বেশি ম্যাচিউরড মনে হয়েছে। ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই তিনি অনেকগুলো নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।

৪২ মিনিট আগে

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিশন, ‘অবৈধ অভিবাসী খেদাও!’

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিশন, ‘অবৈধ অভিবাসী খেদাও!’

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রেজুড়ে অবৈধ অভিবাসী খেদাও মিশন জোরেশোরে চলছে। বিপদে পড়েছেন হাজারো বাংলাদেশি যারা অবৈধভাবে এদেশে থাকছিলেন। নিউইয়র্কে এই সংখ্যা প্রচুর। লস অ্যাঞ্জেলেস, বোস্টন, ফ্লোরিডাতেও শুনেছি প্রচুর অবৈধ বাংলাদেশি আছেন।

১ দিন আগে

সহাবস্থানের শক্তি দিয়ে আসুন বিভাজন দূর করি

সহাবস্থানের শক্তি দিয়ে আসুন বিভাজন দূর করি

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রম, পরিবার ও সমাজের প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্মকে মানবিক শিক্ষা, সহানুভূতি ও ধর্মীয় সহাবস্থানের বিষয়ে সচেতন করতে হবে। তাদের বুঝতে হবে যে, বৈচিত্র্য আমাদের শক্তি হতে পারে, যদি আমরা এটি সম্মান করি।

৩ দিন আগে

ভারতের স্বার্থেই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করা উচিত নয়

ভারতের স্বার্থেই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করা উচিত নয়

ভারত তার নিকটবর্তী প্রতিবেশী দেশগুলোতে, বিশেষ করে বাংলাদেশে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিকে তার আঞ্চলিক প্রভাবের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখে। চীন তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) মাধ্যমে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলোতে সক্রিয়ভাবে বিনিয়োগ করছে।

৪ দিন আগে