
ফারহানা আহমেদ লিসা

সাম্প্রতিককালে আমার বাসায় দুজন সদস্য যুক্ত হয়েছে। জুডো ও এ্যারিজোনা ( এই নাম নিয়েই দুই ভাই–বোন বিড়াল এসেছে)। বহু দিন ধরেই তাদের নতুন নামকরণ করা হবে শুনছি। পৃথিবীতে এত এত নামধাম থাকতেও এই রাজপুত্র ও রাজকন্যার নাম পাওয়া যাচ্ছে না। বললাম বাবা–মা, পুডিং আর কাপ কেক রেখে দে। ঝামেলা শেষ। শুনতেই আমার পুত্র–কন্যা তেড়ে মেড়ে এলো, মা ওরা ফুড না। তুমি অবশ্যই এসব উল্টা–পাল্টা নাম সাজেস্ট করবে না।
তাদের ফুড ক্যানে পাওয়া যায়। সুতরাং ঝামেলা শেষ। তখন বুঝিনি ঝামেলার আসলে শুরু সেটা। ওজন মেপে এক কাপের বেশি খাওয়া তাদের দেওয়া যাবে না। আমার জীবনেও পেট ছিল না। এই দুই বিড়াল শিশুর করুণ চেহারা দেখে একটু আধটু বেশি খাবার দিই। এক সপ্তাহ পরে দেখি ওজন করে বিড়াল ভেটের সঙ্গে কথা বলে আগুন চোখে দুই ভাইবোন দাঁড়ানো সাতসকালে আমার জন্য। আমি দ্বিতীয় কাপ হাতে নিতেই ওরা বিড়ালের প্লেট সরিয়ে নিয়ে গেল, এর বেশি খাবার দিবে না মা।
রাগ করে ম্যাটের ওপর ওদের খাবার দিলাম, জায়গায় বিড়ালদের খাবার দেবার কাজ থেকে ফায়ার্ড হলাম। আমি নাকি ওদের ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ আর আর্থরাইটিস করার চেষ্টা করছি। আমিও তেড়েমেড়ে বললঅম, তোরা ভেটের কাছ থেকে লিখিত নিউট্রিশনের কাগজ এনে দেখা।

যাক বিড়াল বাচ্চাদের ফুড সার্ভিং চাকরি থেকে ফায়ার হওয়ার পরদিন আবার চাকরিতে বহাল হলাম। নানাবিধ কারণ। বাচ্চারা তাদের রুমের দরজা বন্ধ করে ঘুমায়। আমার অভ্যাস দরজা খোলা রাখা। এক দিন বন্ধ রাখলাম। রাত ্টায় এ্যারিজোনা পা দিয়ে বাড়ি দিল দরজায়, মা–মা খোল। প্লাস সকাল সাড়ে ৬টায় কে উঠে প্রত্যেক দিন খাওয়াবে ওদের? ছেলেমেয়ে তো আমার মতোই রাত জাগে পারলে।
বিড়াল বাচ্চা দুটির ঘাড়ে চিপ আছে। ওরা স্পে, নিউটার করা। হিউম্যান সোসাইটি বলে দিয়েছে যদি আমরা কোনো কারণে ওদের দেখাশোনা না করতে চাই ওরা ফিরিয়ে নেবে ওদের বিড়াল, কোনো প্রশ্ন করা ছাড়া।
এই মানবিকতা আমেরিকানদের জন্য নতুন নয়। ক্যালিফোর্নিয়াতে নিজেকে কখনো ইমিগ্র্যান্ট মনে হয়নি নিজেকে। মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। হাত বাড়িয়ে দেয় সাহায্যে। আমার মালি স্প্যানিশ, বাসা পরিষ্কারের লোক ষ্প্যানিশ, সবচেয়ে কাছের বন্ধুরা বাংলাদেশি, চাইনিজ, ফিলিপিনো, জাপানি, সাদা–কালো। নিজের পরিবার কাছে নাই, ওরা আছে। অসুস্থ হলে ওরা দেখে, ওদের কিছু হলে আমি যাই।
এ রকম পরিবারকে নিজের কাছে রাখতে শান্তিপূর্ণ প্রটেস্ট সফল হোক লস অ্যান্জেলেস শহরে। নাশকতা দূর হোক। পাশের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে ইন্টার ডিপেন্ডেড দুনিয়ায় আমারা বেঁচে থাকি এটুকু আশা।

সাম্প্রতিককালে আমার বাসায় দুজন সদস্য যুক্ত হয়েছে। জুডো ও এ্যারিজোনা ( এই নাম নিয়েই দুই ভাই–বোন বিড়াল এসেছে)। বহু দিন ধরেই তাদের নতুন নামকরণ করা হবে শুনছি। পৃথিবীতে এত এত নামধাম থাকতেও এই রাজপুত্র ও রাজকন্যার নাম পাওয়া যাচ্ছে না। বললাম বাবা–মা, পুডিং আর কাপ কেক রেখে দে। ঝামেলা শেষ। শুনতেই আমার পুত্র–কন্যা তেড়ে মেড়ে এলো, মা ওরা ফুড না। তুমি অবশ্যই এসব উল্টা–পাল্টা নাম সাজেস্ট করবে না।
তাদের ফুড ক্যানে পাওয়া যায়। সুতরাং ঝামেলা শেষ। তখন বুঝিনি ঝামেলার আসলে শুরু সেটা। ওজন মেপে এক কাপের বেশি খাওয়া তাদের দেওয়া যাবে না। আমার জীবনেও পেট ছিল না। এই দুই বিড়াল শিশুর করুণ চেহারা দেখে একটু আধটু বেশি খাবার দিই। এক সপ্তাহ পরে দেখি ওজন করে বিড়াল ভেটের সঙ্গে কথা বলে আগুন চোখে দুই ভাইবোন দাঁড়ানো সাতসকালে আমার জন্য। আমি দ্বিতীয় কাপ হাতে নিতেই ওরা বিড়ালের প্লেট সরিয়ে নিয়ে গেল, এর বেশি খাবার দিবে না মা।
রাগ করে ম্যাটের ওপর ওদের খাবার দিলাম, জায়গায় বিড়ালদের খাবার দেবার কাজ থেকে ফায়ার্ড হলাম। আমি নাকি ওদের ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিজ আর আর্থরাইটিস করার চেষ্টা করছি। আমিও তেড়েমেড়ে বললঅম, তোরা ভেটের কাছ থেকে লিখিত নিউট্রিশনের কাগজ এনে দেখা।

যাক বিড়াল বাচ্চাদের ফুড সার্ভিং চাকরি থেকে ফায়ার হওয়ার পরদিন আবার চাকরিতে বহাল হলাম। নানাবিধ কারণ। বাচ্চারা তাদের রুমের দরজা বন্ধ করে ঘুমায়। আমার অভ্যাস দরজা খোলা রাখা। এক দিন বন্ধ রাখলাম। রাত ্টায় এ্যারিজোনা পা দিয়ে বাড়ি দিল দরজায়, মা–মা খোল। প্লাস সকাল সাড়ে ৬টায় কে উঠে প্রত্যেক দিন খাওয়াবে ওদের? ছেলেমেয়ে তো আমার মতোই রাত জাগে পারলে।
বিড়াল বাচ্চা দুটির ঘাড়ে চিপ আছে। ওরা স্পে, নিউটার করা। হিউম্যান সোসাইটি বলে দিয়েছে যদি আমরা কোনো কারণে ওদের দেখাশোনা না করতে চাই ওরা ফিরিয়ে নেবে ওদের বিড়াল, কোনো প্রশ্ন করা ছাড়া।
এই মানবিকতা আমেরিকানদের জন্য নতুন নয়। ক্যালিফোর্নিয়াতে নিজেকে কখনো ইমিগ্র্যান্ট মনে হয়নি নিজেকে। মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। হাত বাড়িয়ে দেয় সাহায্যে। আমার মালি স্প্যানিশ, বাসা পরিষ্কারের লোক ষ্প্যানিশ, সবচেয়ে কাছের বন্ধুরা বাংলাদেশি, চাইনিজ, ফিলিপিনো, জাপানি, সাদা–কালো। নিজের পরিবার কাছে নাই, ওরা আছে। অসুস্থ হলে ওরা দেখে, ওদের কিছু হলে আমি যাই।
এ রকম পরিবারকে নিজের কাছে রাখতে শান্তিপূর্ণ প্রটেস্ট সফল হোক লস অ্যান্জেলেস শহরে। নাশকতা দূর হোক। পাশের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে ইন্টার ডিপেন্ডেড দুনিয়ায় আমারা বেঁচে থাকি এটুকু আশা।
বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও গবেষণায় বিনিয়োগ এখনো সন্তোষজনক নয়। তবে কৃষিক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম লক্ষ করা যায়। অন্য ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন গবেষণা থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। প্রযুক্তি, চিকিৎসা, সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ, খনিজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থাপনায় এখনো বড় ঘাটতি আছে।
বসার ঘরে ঢুকতেই দেখি, বেগম খালেদা জিয়া বসে আছেন। সাদামাটা কিন্তু দীপ্তিময় পোশাকে। তার ভেতর একটা রাজকীয় নীরবতা, আবার এক মায়ের কোমলতা। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে হালকা মাথা নেড়ে বললেন, “এসো, বসো।”
মেঠো পথ ধরে সাইকেল চালিয়ে যায় বেনু। তার কানে বাজে আত্মহত্যা করার আগে মুকিতের লেখা শেষ চিঠির কথাগুলো, "তুমি বলেছিলে, আমার জন্য তুমি জীবন দেবেও না, নেবেও না। আমি রাখলাম কথা। শুধু চলে যাচ্ছি, চিরতরে...ভালো থেকো, শিউলি।"
জবাবদিহিতা ছাড়া কোনো সংস্কার সফল হবে না। যেকোনো অনিয়ম প্রকাশ পেলে দ্রুত তদন্ত, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি এবং বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এগুলো শুধু আইন প্রয়োগ নয়, বরং এক ধরনের মানসিক বার্তাও তৈরি করে যে অপরাধী রেহাই পায় না। বাংলাদেশে ব্যাংক খাতে লুটপাটের প্রধান শক্তি ছিল বিচারহীনতা।