আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমি এখন অনেককে শেখ হাসিনার সুরে কথা বলতে দেখছি। তিনি বলতেন, আমরা উন্নয়ন করছি। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। নির্বাচন কেন দরকার? অন্তর্বর্তী সরকারও বলতে শুরু করেছে, আমরা সংস্কার করছি। অর্থনৈতিক উন্নয়ন করছি।
পাঁচটি সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ১৬৬টি সুপারিশের মধ্যে ১১৩টির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তারা বলেছে, যে সুপারিশগুলো সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, সেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের রাষ্ট্রের নাম পরিবর্তন ও গণপরিষদ গঠনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটি মনে করে, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানকে এক কাতারে আনা সমীচীন নয় এবং রাষ্ট্রের বিদ্যমান নাম পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।
সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিএনপি দুই থেকে আড়াই বছর আগেই সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। তখনই এ ব্যবস্থার পরিবর্তনের কথা বলেছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গৌণ ইস্যুকে মুখ্য ইস্যু বানাতে গিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের মধ্যে সংশয়-সন্দেহের জন্ম দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংকট উত্তরণে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, এখন সমস্যা সমাধানের জন্য অত্যন্ত দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান দরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে খুব বেশি সময় নেই, তাই যা সংস্কার করা দরকার তা করে ফেলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার রাজধানী ঢাকার তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নির্বাচনকেন্দ্রিক সংস্কারগুলো আগে করে বাকিগুলো সংসদের মাধ্যমে করার ব্যাপারে বিএনপির অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, 'সংস্কারগুলো চলমান প্রক্রিয়া, সেই বিষয়গুলো আমরা বলে এসেছি।'
বাংলাদেশের সংস্কার ও পরিবর্তন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে এক বৈঠকে এই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর এখন পর্যন্ত কেবল ৭টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম অর্থনৈতিক সংগ্রাম এবং একটি সদা বিকশিত রাজনৈতিক পরিবেশসহ বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অন্তর্বর্তী সরকারের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সতর্ক করে বলেছেন, সংস্কারের আলাপ–আলোচনা দীর্ঘায়িত হলে স্বৈরাচার সুযোগ পেয়ে যাবে, আবার দেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসবে। সংস্কারের আলাপ যত দীর্ঘ হবে, দেশ তত বেশি সংকটের মুখে পড়বে।
সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই এবং দুটোই একসঙ্গে চলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে বলেছেন, ৬ মাসের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান করে ফেলা অসম্ভব। এ জন্য নির্বাচনের ঘোষণাটা তাড়াতাড়ি দরকার।
মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু ব্যাপক প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও আন্তর্জাতিক সমর্থন না পেলে এসব পদক্ষেপের অগ্রগতি হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে পারে।’
ছাতক-সিলেট রেলপথ সংস্কার প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের পর শুক্রবার বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন ছাতক বাজার স্টেশন পরিদর্শন করেন। তিনি জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি নাগাদ সংস্কার কাজ শুরু হবে।
রাজনৈতিক দলগুলো বেশি সংস্কার না চাইলে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, ‘তবে সংস্কার বেশি চাইলে আরও ৬ মাস সময় দিতে হবে।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্বলতম সরকার আখ্যা দিয়ে ২০২৫ সালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অতিসত্বর হওয়া দরকার বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, সংস্কার করতে হবে সংসদে। জনগণের নির্বাচিত সংসদে আলোচনার ভিত্তিতে সেই সংস্কার হবে।
তবে আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে বেশির ভাগ মানুষ (৬৫ দশমিক ৯ শতাংশ) বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যা যা সংস্কার করা প্রয়োজন মনে করবে তার সবগুলো করার পরই নির্বাচন আয়োজন করা উচিত