রফিক আহমদ খান, মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে সিলেট ডিভিশনাল অ্যাসোসিয়েশন মালয়েশিয়ার নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাংয়ে পিঠাঘর রেস্টুরেন্টের হলঘরে এ পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আনোয়ার হোসেন সেলিম। সঞ্চালনা করেন এবাদুর রহমান চৌধুরী।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সানওয়ে ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার সহযোগী অধ্যাপক ড. আবুল বাশার ভূইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মারা মালয়েশিয়ার সহযোগী অধ্যাপক ড. নাজমুল হক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাংবাদিক
মাসুদ কামাল।
সভায় সিলেটি প্রবাসীদের উদ্দেশে প্রধান অতিথি ড. আবুল বাশার ভূইয়া বলেন, “সিলেটের মানুষ রাজনীতি বোঝে না, আমাদের গ্রামে (সিলেটে) রাজনৈতিক সংঘর্ষ নেই। অন্য কোনো কারণে সংঘর্ষ হতে পারে, মারামারি হতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে নয়। আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মেয়র কামরান ভাই মারা গেলে তাঁর লাশ গ্রহণ করেছিলেন সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল। এটাই সিলেটের ঐতিহ্য। আপনারা প্রবাসেও মিলেমিশে থেকে সেই ঐতিহ্য রক্ষা করবেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রবাসে সততার সাথে রিজিক খুঁজব এবং দেশের কল্যাণে কাজ করব। সিলেটের সন্তান হিসেবে আমাদের সুনাম আছে। আমরা যেন কোনো দুর্নামের সাথে না জড়াই।”
সাংবাদিক মাসুদ কামাল তাঁর বক্তক্যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, “আমি জানি, প্রবাসীরা দেশের জন্য এতো আন্তরিক, তা কল্পনা করা যায় না। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ রেখে এবং নানাভাবে সমর্থন জানিয়ে প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। প্রবাসীরাসহ দেশের মানুষ অনেক ত্যাগ করেছেন। তাদের ত্যাগ বিফলে যেতে পারে না।”
তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে অগ্রসর হলে ইনশাআল্লাহ একটা ভালো নির্বাচন পাব। যদি ভালো নির্বাচন হয় আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা নিশ্চয় শিক্ষা নিয়ে আসবে। তারা জানবে আমরা যদি অন্যায় করি, আমরা যদি নিজের মতো করে চলার চেষ্টা করি, এই মানুষ যেহেতু হাসিনাকে সরিয়ে দিয়েছে তারা আমাদেরও সরিয়ে দিবে। এই ইতিহাস যদি মনে থাকে তাহলে আমরা একটি ভালো দেশ পাব।”
মাসুদ কামাল আরও বলেন, “আমাদের দেশের মানুষ খুবই ভালো মনের মানুষ। সাধারণ মানুষদের মধ্যে কোনো ঝামেলা নেই। গুটিকয়েক দুর্নীতিবাজদের কারণে সমস্যা হয়। দেশ যদি ঠিক মতো চলে তাহলে বাংলাদেশের মতো শান্তির দেশ আর কোথাও নেই। আমি গত কয়েক দিন সিঙ্গাপুরে ছিলাম, সেখানে একটা পেনাডলের দাম ১ ডলার, আর আমরা বাংলাদেশে ১টা প্যারাসিটামল কিনি ৭৫ পয়সা দিয়ে। আসলে বাংলাদেশ একটা বেহেশত, কিছু ইবলিশ এটাকে দোজখ বানাতে চায়। আমরা যদি এই ইবলিশগুলোকে দূর করতে পারি, তাহলে এতো আরামের দেশ আর নাই।”
সভায় আরও বক্তব্য দেন মো. আক্তার মিয়া, শাহদাৎ খান রাসেল, মো. শেখ আজিজুর রহমান রুহেল, মো. নুর মিয়া, ফয়েজ উদ্দিন, উজ্জ্বল হোসেন, তালুকদার মো. মকবুল, আমির হামযা, অলি আহমদ সানি, মিজানুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, রুহুল আমিন, মাহবুবুর রহমান রাহি, মোস্তফা কামাল, নজরুল ইসলাম নাহিদ ও জয়নাল আহমদ।
পরে সিলেট ডিভিশনাল অ্যাসোসিয়েশন মালয়েশিয়ার নতুন কার্যকরী কমিটির (২০২৫-২০২৬) নাম ঘোষণা করা হয়।
নতুন কমিটিতে ফয়েজ উদ্দিন সভাপতি, জাকারিয়া আহমদ সিনিয়র সহসভাপতি, এনাম উদ্দিন এনাম ও উজ্জ্বল হোসাইন সহসভাপতি, এবাদুর রহমান চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক, এম জে কাওসার ও তালুকদার মোহাম্মদ মকবুল সহসাধারণ সম্পাদক, আমির হামযা সাংগঠনিক সম্পাদক, ওয়াজিদ উল্লাহ সহসাংগঠনিক সম্পাদক, মিজানুর রহমান মিথুন অর্থ সম্পাদক, মাহমুদুল হাসান সুমন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, মাহবুবুর রহমান রাহি সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, অলি আহমদ সানি দপ্তর সম্পাদক, আজমল হোসেন জোনাক সহদপ্তর সম্পাদক, মোহাম্মদ মোস্তফা ধর্মবিষয়ক সম্পাদক, ইকবাল হোসেন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, রুহুল আমিন প্রবাসীকল্যাণ সম্পাদক, মো. শহীদুল ইসলাম আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক এবং নজরুল ইসলাম নাহিদ, জয়নাল আহমদ, তরিকুল ইসলাম, শাহাদাৎ খান রাসেল কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।
অনুষ্ঠান উপলক্ষে অলি আহমদ সানির সম্পাদনায় 'রিজিকে প্রবাস অন্তরে স্বদেশ' নামে একটি স্মৃতি স্মারক প্রকাশিত হয়েছে।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে সিলেট ডিভিশনাল অ্যাসোসিয়েশন মালয়েশিয়ার নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাংয়ে পিঠাঘর রেস্টুরেন্টের হলঘরে এ পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আনোয়ার হোসেন সেলিম। সঞ্চালনা করেন এবাদুর রহমান চৌধুরী।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সানওয়ে ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার সহযোগী অধ্যাপক ড. আবুল বাশার ভূইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মারা মালয়েশিয়ার সহযোগী অধ্যাপক ড. নাজমুল হক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাংবাদিক
মাসুদ কামাল।
সভায় সিলেটি প্রবাসীদের উদ্দেশে প্রধান অতিথি ড. আবুল বাশার ভূইয়া বলেন, “সিলেটের মানুষ রাজনীতি বোঝে না, আমাদের গ্রামে (সিলেটে) রাজনৈতিক সংঘর্ষ নেই। অন্য কোনো কারণে সংঘর্ষ হতে পারে, মারামারি হতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে নয়। আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মেয়র কামরান ভাই মারা গেলে তাঁর লাশ গ্রহণ করেছিলেন সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল। এটাই সিলেটের ঐতিহ্য। আপনারা প্রবাসেও মিলেমিশে থেকে সেই ঐতিহ্য রক্ষা করবেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা প্রবাসে সততার সাথে রিজিক খুঁজব এবং দেশের কল্যাণে কাজ করব। সিলেটের সন্তান হিসেবে আমাদের সুনাম আছে। আমরা যেন কোনো দুর্নামের সাথে না জড়াই।”
সাংবাদিক মাসুদ কামাল তাঁর বক্তক্যে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, “আমি জানি, প্রবাসীরা দেশের জন্য এতো আন্তরিক, তা কল্পনা করা যায় না। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ রেখে এবং নানাভাবে সমর্থন জানিয়ে প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। প্রবাসীরাসহ দেশের মানুষ অনেক ত্যাগ করেছেন। তাদের ত্যাগ বিফলে যেতে পারে না।”
তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে অগ্রসর হলে ইনশাআল্লাহ একটা ভালো নির্বাচন পাব। যদি ভালো নির্বাচন হয় আগামীতে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা নিশ্চয় শিক্ষা নিয়ে আসবে। তারা জানবে আমরা যদি অন্যায় করি, আমরা যদি নিজের মতো করে চলার চেষ্টা করি, এই মানুষ যেহেতু হাসিনাকে সরিয়ে দিয়েছে তারা আমাদেরও সরিয়ে দিবে। এই ইতিহাস যদি মনে থাকে তাহলে আমরা একটি ভালো দেশ পাব।”
মাসুদ কামাল আরও বলেন, “আমাদের দেশের মানুষ খুবই ভালো মনের মানুষ। সাধারণ মানুষদের মধ্যে কোনো ঝামেলা নেই। গুটিকয়েক দুর্নীতিবাজদের কারণে সমস্যা হয়। দেশ যদি ঠিক মতো চলে তাহলে বাংলাদেশের মতো শান্তির দেশ আর কোথাও নেই। আমি গত কয়েক দিন সিঙ্গাপুরে ছিলাম, সেখানে একটা পেনাডলের দাম ১ ডলার, আর আমরা বাংলাদেশে ১টা প্যারাসিটামল কিনি ৭৫ পয়সা দিয়ে। আসলে বাংলাদেশ একটা বেহেশত, কিছু ইবলিশ এটাকে দোজখ বানাতে চায়। আমরা যদি এই ইবলিশগুলোকে দূর করতে পারি, তাহলে এতো আরামের দেশ আর নাই।”
সভায় আরও বক্তব্য দেন মো. আক্তার মিয়া, শাহদাৎ খান রাসেল, মো. শেখ আজিজুর রহমান রুহেল, মো. নুর মিয়া, ফয়েজ উদ্দিন, উজ্জ্বল হোসেন, তালুকদার মো. মকবুল, আমির হামযা, অলি আহমদ সানি, মিজানুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, রুহুল আমিন, মাহবুবুর রহমান রাহি, মোস্তফা কামাল, নজরুল ইসলাম নাহিদ ও জয়নাল আহমদ।
পরে সিলেট ডিভিশনাল অ্যাসোসিয়েশন মালয়েশিয়ার নতুন কার্যকরী কমিটির (২০২৫-২০২৬) নাম ঘোষণা করা হয়।
নতুন কমিটিতে ফয়েজ উদ্দিন সভাপতি, জাকারিয়া আহমদ সিনিয়র সহসভাপতি, এনাম উদ্দিন এনাম ও উজ্জ্বল হোসাইন সহসভাপতি, এবাদুর রহমান চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক, এম জে কাওসার ও তালুকদার মোহাম্মদ মকবুল সহসাধারণ সম্পাদক, আমির হামযা সাংগঠনিক সম্পাদক, ওয়াজিদ উল্লাহ সহসাংগঠনিক সম্পাদক, মিজানুর রহমান মিথুন অর্থ সম্পাদক, মাহমুদুল হাসান সুমন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, মাহবুবুর রহমান রাহি সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, অলি আহমদ সানি দপ্তর সম্পাদক, আজমল হোসেন জোনাক সহদপ্তর সম্পাদক, মোহাম্মদ মোস্তফা ধর্মবিষয়ক সম্পাদক, ইকবাল হোসেন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, রুহুল আমিন প্রবাসীকল্যাণ সম্পাদক, মো. শহীদুল ইসলাম আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক এবং নজরুল ইসলাম নাহিদ, জয়নাল আহমদ, তরিকুল ইসলাম, শাহাদাৎ খান রাসেল কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।
অনুষ্ঠান উপলক্ষে অলি আহমদ সানির সম্পাদনায় 'রিজিকে প্রবাস অন্তরে স্বদেশ' নামে একটি স্মৃতি স্মারক প্রকাশিত হয়েছে।
তারুণ্যের শক্তিতে সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং বৈচিত্র্যের সমাহার বিদেশিদের কাছে তুলে ধরতেই এ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে সিলেট ডিভিশনাল অ্যাসোসিয়েশন মালয়েশিয়ার নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে তাজ মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ি ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির বার্ষিক মিলনমেলা ও বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাপানের রাজধানী টোকিওতে চান্দিনা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটির এবারের আয়োজনটি দ্বিতীয়বারের মতো ।