ফারজানা নাজ শম্পা, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, কানাডা
কানাডার ভ্যানকুভারের বেল পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী প্রীতম হাসানের এক মনোমুগ্ধকর সংগীতসন্ধ্যা।
গত ১০ আগস্ট (রোববার) এই সংগীতসন্ধ্যা আয়োজন করা হয়। সংগীতসন্ধ্যার আয়োজক সংগঠন ছিল 'ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভার' (ডিভিসি)। সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাঙ্কুভারে বাংলাদেশের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রীতম হাসান ইতিপূর্বে কানাডার সাস্কাতুন ও টরেন্টোসহ বিভিন্ন শহরে সফল লাইভ কনসার্ট করেছেন।
প্রীতম হাসান বাংলাদেশের আধুনিক সংগীত ও বিনোদন জগতের তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয় এক উজ্জ্বল নাম। তিনি সংগীত পরিচালক, কণ্ঠশিল্পী, মডেল ও অভিনেতা হিসেবে তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। ২০১৬ সালে তাঁর সংগীত জীবনের সূচনা। তাঁর গানের ধরন পপ, রক ও লোকসংগীত। ‘খোকা’ গানটির জন্য পেয়েছেন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে সেরা গায়ক বিভাগে মনোনয়ন, আর ‘লাগে উরা ধুরা’ গানটির জন্য চলচ্চিত্র তুফান (২০২৪)-এ পুরস্কার অর্জন করেন। দেবী, তুফান ও বরবাদসহ একাধিক চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি। তাঁর জাদুকরী কণ্ঠে থাকে আবেগ, সাবলীলতা আর সুরের গভীরতা।
ভ্যানকুভারে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত প্রায় সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলা এই আয়োজনে শুরুতেই মঞ্চে আসেন বাংলাদেশের অভিনেতা (বর্তমানে কানাডায় বসবাসরত) মিশু সাব্বির। তিনি দর্শকদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে মঞ্চে আহ্বান জানিয়ে অভিনয়ের এক ভিন্নধর্মী উপস্থাপন করেন, যা মুহূর্তেই প্রাণচাঞ্চল্যে ভরিয়ে তোলে মিলনায়তন।
এরপর মঞ্চে আসেন প্রীতম হাসান। তাঁর আগমনে প্রায় ৪০০ দর্শকের তুমুল করতালিতে মুখরিত হয় পুরো মিলনায়তন। তিনি সহযোগী দুই গিটারিস্টকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে গান শুরু করেন। ‘ভেঙে পড়ো না’ এই গানটি দিয়ে দর্শকদের কঠিন সময়েও মনোবল ধরে রাখার বার্তা দেন। ‘শরতের শেষ থেকে’ গান পরিবেশনের সময় বাংলার শরতের ছোঁয়া এক নিখুঁত প্রেমের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেন। তিনি স্মরণ করেন তাঁর প্রয়াত বাবা, কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী খালিদ হাসান মিলুকে। বাবার একটি গান গেয়ে তৈরি করেন এক আবেগঘন মুহূর্ত।
এরপর একে একে পরিবেশন করেন ‘জাদুকর’, ‘বয়স আমার বেশি না’, ‘আমার মা বলেছে কারও সাথে, ‘আমি আমার মতো’, ‘দেওড়া’, ‘মালো মা’, ‘লাগে উড়া ধুরা’, ‘বেয়াই সাব, ও ‘চাঁদ মামা'সহ আরও অনেক জনপ্রিয় গান। দর্শকেরা তাঁর গানের সুর মাধুর্যে আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে বারবার করতালি দিয়ে তাঁকে স্টেজে সামনে এগিয়ে এনে কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে তাঁকে উৎসাহিত করেন।
ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভারের এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতির বিকাশ এবং পরবাসী উৎসাহের উদ্দীপনার এক অপূর্ব সম্মিলন ঘটেছিল। সেদিন বাংলাদেশি কমিউনিটির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে কানাডায় বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের তরুণদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। আমি নিজেও পারিবারিকভাবে উপস্থিত ছিলাম। অনেকের মতো আমার ২ কিশোর সন্তানের মাঝেও তাঁর কণ্ঠ ও সুরের মূর্ছনায় অনুভব করেছি প্রাণচাঞ্চল্যময় গভীর আবেগ। কয়েক ঘন্টার জন্য হলেও ফেলে আসা জন্মভূমি বাংলাদেশের মধুর স্মৃতিতাড়িত হারানো সুর বারবার অতিথি দর্শক সবাইকে মোহিত করছিল।
স্টেজ প্রেক্ষপটের কোরিওগ্রাফি এবং গ্রাফিকস প্রেসেন্টেশন আধুনিক আলোকিত গ্রাফিকস মোশনও সত্যি অসাধারণ ছিল।
ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভারের আয়োজক লোটাস কমল জানান, ভবিষ্যতে তাঁদের আরও এমন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিপূর্বে তাঁদের উদ্যোগে এলআরবি, জেমসের মতো অনেক জনপ্রিয় ব্যান্ড এবং শিল্পীদের নিয়ে বিভিন্ন সফল অনুষ্ঠান হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য—দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে কানাডার প্রেক্ষাপটে পরিচিত ও প্রিয় করে তোলা।’ তিনি আরও ব্যাপকভাবে সবার অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করেন।
ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভারের আগামীর সফল অগ্রযাত্রার প্রতি শুভ কামনা এবং তাদের এই আয়োজনটি শুধু একটি কনসার্ট নয়, বরং প্রবাসে বাংলাদেশের সংস্কৃতির ধারাকে অব্যাহত রাখার এক উজ্জ্বল হাতিয়ারস্বরূপ। দেশাত্মবোধের আদর্শে কানাডায় বাংলাদেশের সৃজনশীল বিভিন্ন আয়োজনে ব্যাপক এবং ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণ আমরা প্রত্যাশা করি। আলোকচিত্রের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি রাভি ও ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভারের ফেসবুক পেজকে।
কানাডার ভ্যানকুভারের বেল পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী প্রীতম হাসানের এক মনোমুগ্ধকর সংগীতসন্ধ্যা।
গত ১০ আগস্ট (রোববার) এই সংগীতসন্ধ্যা আয়োজন করা হয়। সংগীতসন্ধ্যার আয়োজক সংগঠন ছিল 'ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভার' (ডিভিসি)। সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাঙ্কুভারে বাংলাদেশের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, প্রীতম হাসান ইতিপূর্বে কানাডার সাস্কাতুন ও টরেন্টোসহ বিভিন্ন শহরে সফল লাইভ কনসার্ট করেছেন।
প্রীতম হাসান বাংলাদেশের আধুনিক সংগীত ও বিনোদন জগতের তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয় এক উজ্জ্বল নাম। তিনি সংগীত পরিচালক, কণ্ঠশিল্পী, মডেল ও অভিনেতা হিসেবে তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। ২০১৬ সালে তাঁর সংগীত জীবনের সূচনা। তাঁর গানের ধরন পপ, রক ও লোকসংগীত। ‘খোকা’ গানটির জন্য পেয়েছেন মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারে সেরা গায়ক বিভাগে মনোনয়ন, আর ‘লাগে উরা ধুরা’ গানটির জন্য চলচ্চিত্র তুফান (২০২৪)-এ পুরস্কার অর্জন করেন। দেবী, তুফান ও বরবাদসহ একাধিক চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি। তাঁর জাদুকরী কণ্ঠে থাকে আবেগ, সাবলীলতা আর সুরের গভীরতা।
ভ্যানকুভারে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত প্রায় সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলা এই আয়োজনে শুরুতেই মঞ্চে আসেন বাংলাদেশের অভিনেতা (বর্তমানে কানাডায় বসবাসরত) মিশু সাব্বির। তিনি দর্শকদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে মঞ্চে আহ্বান জানিয়ে অভিনয়ের এক ভিন্নধর্মী উপস্থাপন করেন, যা মুহূর্তেই প্রাণচাঞ্চল্যে ভরিয়ে তোলে মিলনায়তন।
এরপর মঞ্চে আসেন প্রীতম হাসান। তাঁর আগমনে প্রায় ৪০০ দর্শকের তুমুল করতালিতে মুখরিত হয় পুরো মিলনায়তন। তিনি সহযোগী দুই গিটারিস্টকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে গান শুরু করেন। ‘ভেঙে পড়ো না’ এই গানটি দিয়ে দর্শকদের কঠিন সময়েও মনোবল ধরে রাখার বার্তা দেন। ‘শরতের শেষ থেকে’ গান পরিবেশনের সময় বাংলার শরতের ছোঁয়া এক নিখুঁত প্রেমের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেন। তিনি স্মরণ করেন তাঁর প্রয়াত বাবা, কিংবদন্তিতুল্য শিল্পী খালিদ হাসান মিলুকে। বাবার একটি গান গেয়ে তৈরি করেন এক আবেগঘন মুহূর্ত।
এরপর একে একে পরিবেশন করেন ‘জাদুকর’, ‘বয়স আমার বেশি না’, ‘আমার মা বলেছে কারও সাথে, ‘আমি আমার মতো’, ‘দেওড়া’, ‘মালো মা’, ‘লাগে উড়া ধুরা’, ‘বেয়াই সাব, ও ‘চাঁদ মামা'সহ আরও অনেক জনপ্রিয় গান। দর্শকেরা তাঁর গানের সুর মাধুর্যে আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে বারবার করতালি দিয়ে তাঁকে স্টেজে সামনে এগিয়ে এনে কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে তাঁকে উৎসাহিত করেন।
ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভারের এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতির বিকাশ এবং পরবাসী উৎসাহের উদ্দীপনার এক অপূর্ব সম্মিলন ঘটেছিল। সেদিন বাংলাদেশি কমিউনিটির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে কানাডায় বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের তরুণদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। আমি নিজেও পারিবারিকভাবে উপস্থিত ছিলাম। অনেকের মতো আমার ২ কিশোর সন্তানের মাঝেও তাঁর কণ্ঠ ও সুরের মূর্ছনায় অনুভব করেছি প্রাণচাঞ্চল্যময় গভীর আবেগ। কয়েক ঘন্টার জন্য হলেও ফেলে আসা জন্মভূমি বাংলাদেশের মধুর স্মৃতিতাড়িত হারানো সুর বারবার অতিথি দর্শক সবাইকে মোহিত করছিল।
স্টেজ প্রেক্ষপটের কোরিওগ্রাফি এবং গ্রাফিকস প্রেসেন্টেশন আধুনিক আলোকিত গ্রাফিকস মোশনও সত্যি অসাধারণ ছিল।
ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভারের আয়োজক লোটাস কমল জানান, ভবিষ্যতে তাঁদের আরও এমন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিপূর্বে তাঁদের উদ্যোগে এলআরবি, জেমসের মতো অনেক জনপ্রিয় ব্যান্ড এবং শিল্পীদের নিয়ে বিভিন্ন সফল অনুষ্ঠান হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য—দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে কানাডার প্রেক্ষাপটে পরিচিত ও প্রিয় করে তোলা।’ তিনি আরও ব্যাপকভাবে সবার অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করেন।
ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভারের আগামীর সফল অগ্রযাত্রার প্রতি শুভ কামনা এবং তাদের এই আয়োজনটি শুধু একটি কনসার্ট নয়, বরং প্রবাসে বাংলাদেশের সংস্কৃতির ধারাকে অব্যাহত রাখার এক উজ্জ্বল হাতিয়ারস্বরূপ। দেশাত্মবোধের আদর্শে কানাডায় বাংলাদেশের সৃজনশীল বিভিন্ন আয়োজনে ব্যাপক এবং ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণ আমরা প্রত্যাশা করি। আলোকচিত্রের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি রাভি ও ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভারের ফেসবুক পেজকে।
কানাডার ভ্যানকুভারের বেল পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী প্রীতম হাসানের এক মনোমুগ্ধকর সংগীতসন্ধ্যা।
প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঐক্য ও ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়ে কুয়েতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভার আয়োজন করে গালফ–বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (জিবিবিএ)।
বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও জেদ্দায় বিজয় দিবস কাপ ক্রিকেটের ২০২৪-২৫ সালের সিজন-৫ টুর্নামেন্টের গ্র্যান্ড ফাইনাল খেলার আয়োজন করে সৌদি বাংলেদেশ বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টরস্ ফোরাম।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় রেমিট্যান্সযোদ্ধা দিবস ও জুলাই বিয়ন্ড বর্ডার্স উদ্যাপন করা হয়েছে।