ফারজানা নাজ শম্পা, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, কানাডা
আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি।
পার্লামেন্ট হিলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দের সঙ্গে যৌথ ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা এবং মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকট নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে স্বীকৃতির পূর্বশর্তের বিষয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেন, কানাডার এ স্বীকৃতি নির্ভর করছে কয়েকটি শর্তের ওপর—
তিনি বলেন, ‘দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে দীর্ঘদিন ধরে সমর্থন করে এলেও, বর্তমানে তা আর বাস্তবসম্মত নয়।’
তিনি হামাসের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, ‘হামাসের অস্তিত্বই শান্তির জন্য প্রধান বাধা।’
গাজায় মানবিক সংকট ও আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে কার্নি বলেন, ‘ইসরায়েল সরকার গাজার চলমান মানবিক সংকট থামাতে ব্যর্থ হয়েছে—খাদ্য ও জরুরি সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই বর্ধিত মানবিক সংকটে আর বিলম্বের সুযোগ নেই—শান্তি ও মানব মর্যাদা রক্ষার জন্য সমন্বিত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ এখন জরুরি।’
কার্নি গত বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে এক বিবৃতিতে জানান, তিনি ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং জানিয়েছেন, এই স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করছে।’
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার কয়েক দিন আগে এই পরিকল্পনা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন কার্নি। ‘তিনি সরাসরি এই সংঘাত সমাধানে আগ্রহী,’ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে কানাডার এই সিদ্ধান্তে ইসরায়েলের কড়া প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়l
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘এই পদক্ষেপ হামাসকে পুরস্কৃত এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করে।’
রাষ্ট্রদূত ইদ্দো মোয়েড বলেন, ‘আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন করার জন্য কোনো জিহাদি রাষ্ট্রের চাপ গ্রহণ করব না।’ তিনি আরও জানান, ‘কানাডা এই পদক্ষেপ নিচ্ছে জেনেও ইসরায়েল তা কখনো গ্রহণ করবে না।’
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল ও কানাডার মধ্যে যোগাযোগ থাকলেও বিশ্বাসে ফাটল ধরছে।’
কানাডার দেশীয় রাজনীতিতে প্রতিক্রিয়া হিসেবে কনজারভেটিভ পার্টি মতামত হলো এই পদক্ষেপ ‘ভুল বার্তা’ দিচ্ছে—যা সন্ত্রাস ও সহিংসতাকে রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের মাধ্যম হিসেবে বৈধতা দেয়। তারা হামাসকে ‘অন্যায় ও বর্বর হামলার’ জন্য দোষারোপ করেছে। তবে আরেক দল ‘এনডিপি’ এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলে স্বাগত জানিয়েছে। তবে দলটি দাবি করেছে, কানাডা যেন ইসরায়েলের সঙ্গে অস্ত্রচুক্তি স্থগিত এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করে।
এনডিপির পররাষ্ট্রবিষয়ক সমালোচক হিদার ম্যাকফারসন বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আরও আগেই নেওয়া উচিত ছিল—এখনো সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষার দরকার নেই।’
কানাডার সাবেক মন্ত্রীদের মতামত ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ করলে লক্ষ্যণীয় যে, সাবেক কনজারভেটিভ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার ম্যাকেকে মন্তব্য করেন, ‘সাহসী পদক্ষেপ, কিন্তু এর অনিচ্ছাকৃত প্রভাবও থাকতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’
কানাডার সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক সমর্থন ও সমান্তরাল উদ্যোগে ফ্রান্স ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, তারা সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমার ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে না এলে একই পথ অনুসরণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার নতুন বাণিজ্য চুক্তিতে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি—কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কানাডিয়ানদের জন্য সর্বোত্তম চুক্তি অর্জনই লক্ষ্য এবং আলোচনা অব্যাহত থাকবে।’
(৩১ জুলাই ২০২৫)
আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি।
পার্লামেন্ট হিলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনিতা আনন্দের সঙ্গে যৌথ ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা এবং মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকট নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে স্বীকৃতির পূর্বশর্তের বিষয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেন, কানাডার এ স্বীকৃতি নির্ভর করছে কয়েকটি শর্তের ওপর—
তিনি বলেন, ‘দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে দীর্ঘদিন ধরে সমর্থন করে এলেও, বর্তমানে তা আর বাস্তবসম্মত নয়।’
তিনি হামাসের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ভয়াবহ হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, ‘হামাসের অস্তিত্বই শান্তির জন্য প্রধান বাধা।’
গাজায় মানবিক সংকট ও আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে কার্নি বলেন, ‘ইসরায়েল সরকার গাজার চলমান মানবিক সংকট থামাতে ব্যর্থ হয়েছে—খাদ্য ও জরুরি সহায়তা প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই বর্ধিত মানবিক সংকটে আর বিলম্বের সুযোগ নেই—শান্তি ও মানব মর্যাদা রক্ষার জন্য সমন্বিত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ এখন জরুরি।’
কার্নি গত বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে এক বিবৃতিতে জানান, তিনি ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং জানিয়েছেন, এই স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করছে।’
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার কয়েক দিন আগে এই পরিকল্পনা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন কার্নি। ‘তিনি সরাসরি এই সংঘাত সমাধানে আগ্রহী,’ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে কানাডার এই সিদ্ধান্তে ইসরায়েলের কড়া প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়l
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘এই পদক্ষেপ হামাসকে পুরস্কৃত এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করে।’
রাষ্ট্রদূত ইদ্দো মোয়েড বলেন, ‘আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন করার জন্য কোনো জিহাদি রাষ্ট্রের চাপ গ্রহণ করব না।’ তিনি আরও জানান, ‘কানাডা এই পদক্ষেপ নিচ্ছে জেনেও ইসরায়েল তা কখনো গ্রহণ করবে না।’
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল ও কানাডার মধ্যে যোগাযোগ থাকলেও বিশ্বাসে ফাটল ধরছে।’
কানাডার দেশীয় রাজনীতিতে প্রতিক্রিয়া হিসেবে কনজারভেটিভ পার্টি মতামত হলো এই পদক্ষেপ ‘ভুল বার্তা’ দিচ্ছে—যা সন্ত্রাস ও সহিংসতাকে রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের মাধ্যম হিসেবে বৈধতা দেয়। তারা হামাসকে ‘অন্যায় ও বর্বর হামলার’ জন্য দোষারোপ করেছে। তবে আরেক দল ‘এনডিপি’ এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলে স্বাগত জানিয়েছে। তবে দলটি দাবি করেছে, কানাডা যেন ইসরায়েলের সঙ্গে অস্ত্রচুক্তি স্থগিত এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করে।
এনডিপির পররাষ্ট্রবিষয়ক সমালোচক হিদার ম্যাকফারসন বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আরও আগেই নেওয়া উচিত ছিল—এখনো সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষার দরকার নেই।’
কানাডার সাবেক মন্ত্রীদের মতামত ও ঝুঁকি বিশ্লেষণ করলে লক্ষ্যণীয় যে, সাবেক কনজারভেটিভ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার ম্যাকেকে মন্তব্য করেন, ‘সাহসী পদক্ষেপ, কিন্তু এর অনিচ্ছাকৃত প্রভাবও থাকতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’
কানাডার সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক সমর্থন ও সমান্তরাল উদ্যোগে ফ্রান্স ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, তারা সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্টারমার ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে না এলে একই পথ অনুসরণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার নতুন বাণিজ্য চুক্তিতে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি—কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘কানাডিয়ানদের জন্য সর্বোত্তম চুক্তি অর্জনই লক্ষ্য এবং আলোচনা অব্যাহত থাকবে।’
(৩১ জুলাই ২০২৫)
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিডনিতে চট্টগ্রাম ক্লাব অস্ট্রেলিয়ার (সিসিএ) উদ্যোগে ‘মেজবান ২০২৫’-এর সফলতা উদ্যাপন উপলক্ষে এক বিশেষ পারিবারিক মধ্যাহ্নভোজ ও মিলনমেলার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সৌদি আরবের বন্দর নগরী জেদ্দায় এই ঐতিহাসিক উদ্যোগের প্রতি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাড়া এখনো আশানুরূপ নয়। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন, তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ২ হাজার ৫০০ জন ভোটার হিসেবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
ড. আসিফ নজরুল তার আলোচনার শুরুতে বাহরাইন ও বাংলাদেশের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সর্ম্পকের কথা তুলে ধরেন। তিনি দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন। বিশেষ করে বাহরাইনে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা শ্রমবাজার ও ভিসা উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
এ বছর সূচকে চীনের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। ২০২৪ সালে ১৯তম অবস্থান থেকে উঠে এসে এবার ৬ষ্ঠ হয়েছে দেশটি। অন্যদিকে মালয়েশিয়া প্রথমবারের মতো শীর্ষ ১০-এ প্রবেশ করেছে। ভিয়েতনাম রয়েছে ৫ম স্থানে।