
মোহাম্মদ সাকিবুর রহমান খান, কানাডা থেকে

কানাডার সঙ্গে বাণিজ্যিক টানাপোড়েন সাময়িকভাবে শিথিল করেছেন যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২ দফা ফোনালাপের পর তিনি কানাডার পণ্যের ওপর আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্ক আগামী ৩০ দিনের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন।
১ ফেব্রুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ এবং চীনের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পাল্টা ঘোষণা দেন যে, আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপরও ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে। এরই মধ্যে ৩০ বিলিয়ন ইউএস ডলারের পণ্য আমদানিতে শুল্কারোপ করা হয়েছিল।
গতকালই কানাডার প্রধানমন্ত্রী শুধু কানাডার পণ্য কেনার জন্য জনগণের প্রতি অনুরোধ জানান। সব প্রদেশের প্রিমিয়াররা আমেরিকান পণ্য বর্জনের ডাক দেন। প্রদেশগুলোর স্টোরগুলো থেকে আমেরিকার লিকার (মদ-বিয়ারের দোকান) নামিয়ে নেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তনাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্রুত পদক্ষেপ নেন। গত রোববার বিকেলে তিনি ট্রুডোর সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং সোমবার সকাল ও দুপুরে দুই দফা ফোনালাপের পর শুল্ক স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন। ট্রাম্প সীমান্ত নিরাপত্তার উন্নতি নিশ্চিত করতে কানাডার কাছ থেকে একাধিক প্রতিশ্রুতি দাবি করেছেন। তাঁর লক্ষ্য হলো অবৈধ মাদক ও অভিবাসী প্রবেশ রোধে কানাডার সহযোগিতা নিশ্চিত করা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে দাবি করেছেন, আমেরিকায় প্রতিবছর এক লাখের ওপর মানুষ মারা যায় মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আসা অবৈধ ফ্যানটানিল মাদকের কারণে। কানাডা সে দাবিকে অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রকে জানায়, আমেরিকায় যে পরিমাণ অবৈধ ফ্যানটালিন যায়, তার এক ভাগও কানাডা থেকে যায় না। কানাডা দাবি করেছে, এই ফ্যানটানিল প্রায় সবই মেক্সিকো থেকে আমেরিকায় যায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে আরও একটি অভিযোগ করেন, ভিজিট ভিসায় কানাডায় লোকজন এসে অবৈধভাবে আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন। ফোনালাপের পর ট্রুডো জানান, সীমান্ত নিরাপত্তায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে কানাডা। এতে নতুন হেলিকপ্টার, উন্নত প্রযুক্তি ও নিরাপত্তাকর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় বাড়িয়ে অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ স্ট্রাইক ফোর্স গঠনেরও ঘোষণা দিয়েছেন ট্রুডো, যা সংগঠিত অপরাধ ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কাজ করবে। এ প্রকল্পে ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হচ্ছে। ফোনালাপের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রুডো জানান, ‘আমরা একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফলে কমপক্ষে ৩০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত থাকবে।’
অন্যদিকে ট্রাম্পও এক পোস্টে জানান, তিনি ‘খুব খুশি’ যে কানাডা সীমান্ত সুরক্ষা জোরদারের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তিনি এটিকে শুধু ‘প্রাথমিক ফলাফল’ বলে অভিহিত করেন।
এর আগে প্রথম ফোনালাপের পর ট্রাম্প টুইট করে আমেরিকার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কানাডার বাজার উন্মুক্ত করার আহ্বান জানান। তবে দ্বিতীয় ফোনালাপে এ বিষয়ে আর কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে ইউএস মুদ্রার বিপরীতে কানাডিয়ান ডলারের দর সর্বনিম্নস্তরে চলে যায় এবং নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে কানাডা ও আমেরিকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

কানাডার সঙ্গে বাণিজ্যিক টানাপোড়েন সাময়িকভাবে শিথিল করেছেন যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২ দফা ফোনালাপের পর তিনি কানাডার পণ্যের ওপর আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্ক আগামী ৩০ দিনের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন।
১ ফেব্রুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ এবং চীনের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পাল্টা ঘোষণা দেন যে, আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপরও ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে। এরই মধ্যে ৩০ বিলিয়ন ইউএস ডলারের পণ্য আমদানিতে শুল্কারোপ করা হয়েছিল।
গতকালই কানাডার প্রধানমন্ত্রী শুধু কানাডার পণ্য কেনার জন্য জনগণের প্রতি অনুরোধ জানান। সব প্রদেশের প্রিমিয়াররা আমেরিকান পণ্য বর্জনের ডাক দেন। প্রদেশগুলোর স্টোরগুলো থেকে আমেরিকার লিকার (মদ-বিয়ারের দোকান) নামিয়ে নেওয়া হয়। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তনাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্রুত পদক্ষেপ নেন। গত রোববার বিকেলে তিনি ট্রুডোর সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং সোমবার সকাল ও দুপুরে দুই দফা ফোনালাপের পর শুল্ক স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন। ট্রাম্প সীমান্ত নিরাপত্তার উন্নতি নিশ্চিত করতে কানাডার কাছ থেকে একাধিক প্রতিশ্রুতি দাবি করেছেন। তাঁর লক্ষ্য হলো অবৈধ মাদক ও অভিবাসী প্রবেশ রোধে কানাডার সহযোগিতা নিশ্চিত করা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে দাবি করেছেন, আমেরিকায় প্রতিবছর এক লাখের ওপর মানুষ মারা যায় মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আসা অবৈধ ফ্যানটানিল মাদকের কারণে। কানাডা সে দাবিকে অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রকে জানায়, আমেরিকায় যে পরিমাণ অবৈধ ফ্যানটালিন যায়, তার এক ভাগও কানাডা থেকে যায় না। কানাডা দাবি করেছে, এই ফ্যানটানিল প্রায় সবই মেক্সিকো থেকে আমেরিকায় যায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে আরও একটি অভিযোগ করেন, ভিজিট ভিসায় কানাডায় লোকজন এসে অবৈধভাবে আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন। ফোনালাপের পর ট্রুডো জানান, সীমান্ত নিরাপত্তায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের একটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে কানাডা। এতে নতুন হেলিকপ্টার, উন্নত প্রযুক্তি ও নিরাপত্তাকর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় বাড়িয়ে অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ স্ট্রাইক ফোর্স গঠনেরও ঘোষণা দিয়েছেন ট্রুডো, যা সংগঠিত অপরাধ ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে কাজ করবে। এ প্রকল্পে ২০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হচ্ছে। ফোনালাপের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রুডো জানান, ‘আমরা একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফলে কমপক্ষে ৩০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত থাকবে।’
অন্যদিকে ট্রাম্পও এক পোস্টে জানান, তিনি ‘খুব খুশি’ যে কানাডা সীমান্ত সুরক্ষা জোরদারের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তিনি এটিকে শুধু ‘প্রাথমিক ফলাফল’ বলে অভিহিত করেন।
এর আগে প্রথম ফোনালাপের পর ট্রাম্প টুইট করে আমেরিকার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কানাডার বাজার উন্মুক্ত করার আহ্বান জানান। তবে দ্বিতীয় ফোনালাপে এ বিষয়ে আর কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে ইউএস মুদ্রার বিপরীতে কানাডিয়ান ডলারের দর সর্বনিম্নস্তরে চলে যায় এবং নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে কানাডা ও আমেরিকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
ভার্জিনিয়া, টেক্সাস, অ্যারিজোনা ও মিজৌরির মতো অঙ্গরাজ্যগুলোর লজিস্টিক হাবের কাছে ৭টি বিশাল গুদাম তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এর প্রতিটিতে ৫ থেকে ১০ হাজার মানুষ রাখা হবে। এ ছাড়া, ১৬টি ছোট গুদামে আরও দেড় হাজার করে মানুষ রাখার ব্যবস্থা থাকবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন এইচ-১বি ওয়ার্ক ভিসা নির্বাচন প্রক্রিয়ার নিয়মে আমূল পরিবর্তন এনেছে। নতুন এই নিয়মে লটারি পদ্ধতির পরিবর্তে এখন থেকে বেতন ও দক্ষতার ভিত্তিতে কর্মী নির্বাচন করা হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসী ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। ‘দক্ষতা নিয়ে যাব বিদেশ, রেমিট্যান্স দিয়ে গড়ব স্বদেশ’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিবসটি উদ্যাপন করেছে দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট।
গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের দক্ষিণ থেকে বাংলাদেশিসহ প্রায় ৫৪০ জন আশ্রয়প্রার্থীকে উদ্ধার করেছে দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনী। একটি নৌকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।