ফারজানা নাজ শম্পা, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, কানাডা
বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীত জগতে জনপ্রিয় এক নাম ওয়ারফেজ। ১৯৮৪ সালের ৫ জুন গঠিত এই ব্যান্ড চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হেভি মেটাল ঘরানার পথিকৃৎ হিসেবে শ্রোতাদের হৃদয়ে আসন গেড়ে আছে। ১৯৯১ সালে প্রথম অ্যালবাম ‘ওয়ারফেজ’ প্রকাশের পর থেকেই ‘ধূপছায়া’, ‘যখন’, ‘অবাক ভালোবাসা’, ‘মনে পড়ে’ ইত্যাদি গান সারা দেশে আলোড়ন তোলে। বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতের স্বর্ণযুগে ওয়ারফেজ এক স্বতন্ত্র ধারায় এক অনন্য মাত্রা এনে দেয়।
সম্প্রতি (৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার) কানাডার ভ্যানকুভারের বেল পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে (৬২৫০, ১৬৬ স্ট্রিট, সারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওয়ারফেজের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কনসার্ট।
এই আয়োজনের সার্বিক দায়িত্বে ছিল ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভার এবং এর প্রধান লোটাস কমলের নিরলস প্রচেষ্টা l উল্লেখ্য, তাঁর উদ্যোগে ‘ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভার’ নিয়মিতভাবে প্রবাসে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও শিল্পীদের পরিচিতি ঘটিয়ে আসছে।
সন্ধ্যা নামার আগেই অনুষ্ঠানস্থল ভরে যায় অসংখ্য দর্শকে। ভ্যানকুভারসহ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশি এই মহোৎসবে অংশ নিতে আসেন। দর্শকদের অবয়বে ফুটে ওঠে দেশজ নস্টালজিয়ার উচ্ছ্বাস।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শিল্পী মাহফুজ খান পরিবেশন করেন প্রয়াত দুই কিংবদন্তি শিল্পীর জনপ্রিয় গান—আইয়ুব বাচ্চুর ‘সেই তুমি’ এবং মাইলস ব্যান্ডের প্রয়াত শিল্পী শাফিন আহমেদের ‘নিঃস্ব করেছ আমায়’। পুরো অডিটোরিয়াম দাঁড়িয়ে করতালিতে ভরে ওঠে, মুহূর্তেই যেন শ্রোতারা একসঙ্গে অতীতের স্বর্ণযুগে ফিরে যান।
এরপর মঞ্চে আসেন ওয়ারফেজ ব্যান্ডের সদস্যরা। উল্লাসধ্বনি, করতালিতে পুরো পরিবেশ মুখরিত হয়ে ওঠে। শুরু থেকেই ব্যান্ড সদস্যদের শক্তিশালী প্রাণবন্ত পরিবেশনা দর্শকদের মাতিয়ে তোলে।
ওয়ারফেজ ব্যান্ডের মনিরুল ইসলাম টিপু, বাবনা করিম ও পলাশ অসাধারণভাবে পরিবেশন করেন ওয়ারফেজের কয়েকটি জনপ্রিয় গান—‘ধূপছায়া’, ‘যখন’, ‘আশা’, ‘জীবন আমার বড় বদলে গেছে’। যন্ত্রসংগীতের ধ্বনি, গিটার সোলো, ড্রামের ছন্দ এবং তাঁদের অনবদ্য গায়কী আর শক্তিশালী সাবলীল কণ্ঠ দর্শকদের মোহিত করে রাখে। মনিরুল ইসলাম টিপু ও বাবনা করিমের অসাধারণ পরিবেশনায় শ্রোতারা হাততালি ও উচ্ছ্বাসে মাধ্যমে প্রতিটি পরিবেশনার উত্তর দেন। পরবর্তীতে বাবনা করিম ও পলাশ তাঁদের অভিজ্ঞতা এই সফর ও ব্যান্ডের সদস্য সংক্ষিপ্ত সুন্দর বক্তব্য দেন l
পলাশের পরিবেশনায় ছিল আরেক বিশেষ আকর্ষণ। তিনি কেবল ওয়ারফেজের গানই নয়, পাশ্চাত্যের রক ঘরানার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিবেশন করেন মাইকেল জ্যাকসনের ‘Beat It’। শ্রোতারা একযোগে দাঁড়িয়ে ব্যান্ডের ড্রামের ছন্দে নাচের তালে সেই পরিবেশনার সঙ্গে কণ্ঠ মেলান। এরপর তিনি অসাধারণভাবে পরিবেশন করেন জাতিগত বিভেদ ভুলে মানবতাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দানকারী ফকির লালন সাঁইয়ের কালজয়ী 'জাত গেল জাত গেল বলে’, গানটির মাধ্যমে মানবতার বার্তা দেন l তিনি তাদের ব্যান্ডের ‘মনে পড়ে’, ‘একটি ছেলে’, ‘অবাক ভালোবাসা’সহ আরও জনপ্রিয় গানগুলো অসাধারণভাবে পরিবেশন করেন।
অতীতের স্মৃতি ও বর্তমানের উচ্ছ্বাস ব্যান্ডের প্রতিটি গান উপস্থিত শ্রোতাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় দেশে ফেলে আসা সোনালি সময়ে। উপস্থিত অনেক দর্শকের চোখে ছিল আনন্দাশ্রু, কেউবা মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করছিলেন প্রিয় শিল্পীদের প্রতিটি মুহূর্ত। প্রবাসের কঠোর বাস্তবতা ও ব্যস্ততা ভুলে অডিটোরিয়াম সেদিন সন্ধ্যায় ভরে ওঠে নস্টালজিয়া ও আনন্দে।
রাত প্রায় সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্থায়ী হয় এই বর্ণিল আয়োজন। মাঝে ছিল ২০ মিনিটের বিরতি। সমাপ্তি মুহূর্তে ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভারের স্বপ্নদ্রষ্টা লোটাস কমল সস্ত্রীক ওয়ারফেজ ব্যান্ডের সদস্যদের দীর্ঘ সফল পদযাত্রার স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ স্মারক সম্মাননা প্রদান করেন। এ ছাড়াও, ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভারের পক্ষ থেকে কমিউনিটিতে ইতিবাচক অবদানের জন্য আরও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় বাংলাদেশের সংস্কৃতির জোয়ার নিয়ে এসেছে ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভার। সেদিনের আয়োজন কেবল একটি কনসার্টই নয়, বরং কানাডার প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ছিল এক আবেগঘন মিলনমেলা। লোটাস কমল ও তাঁর জীবনসঙ্গীসহ সকল সদস্যদের জন্য শুভ কামনাl তিনি আগামীতে এইরকম আয়োজনে দেশাত্মবোধের আদর্শে সবার স্বতঃস্ফূর্ত সবার উপস্থিতি প্রত্যাশা করেন।
ভ্যানকুভারের আকাশে সেদিন ভেসে উঠেছিল বাংলাদেশের রক–সংগীতের চার দশকের গৌরবগাথা। দর্শক-শ্রোতাদের অনেকের মাঝেই একবাক্যে অভিমত—‘ওয়ারফেজ আমাদের কৈশোরের স্মৃতি, প্রজন্মের ইতিহাস; আজ ভ্যানকুভারে তাদের দেখতে পেয়ে আমরা নতুন করে বাংলাদেশকে খুঁজে পেলাম।’
উল্লেখ্য কানাডার আরও কয়েকটি শহরে ওয়ারফেজ ব্যান্ড তাদের অনুষ্ঠান করেছে।
ওয়ারফেজের অগ্রযাত্রার দিকে চোখ ফেরালে ১৯৮৪ সালে সূচনা হওয়া পর এখন পর্যন্ত অনেকগুলি সফল অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। সর্বশেষ অ্যালবাম 'সত্য’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যান্ডটি যেমন নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করছে, তেমনি পুরনো শ্রোতাদের আবেগকেও জাগিয়ে তুলছে।
ভ্যানকুভারের সেদিনের এই কনসার্টে আমরা সপরিবারে উপস্থিত থাকতে পেরে সত্যি আনন্দিত বোধ করছিl এই মনোমুগ্ধকর আয়োজন প্রমাণ করল—চার দশক পরও ওয়ারফেজের আবেদন অমলিন। সময়-ভাষা-দেশের সীমা ছাড়িয়ে তাদের গান পৌঁছে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বাঙালির হৃদয়ে। ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভারকে সাধুবাদ ও অভিনন্দন তাদের সব অগ্রযাত্রায়।
বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীত জগতে জনপ্রিয় এক নাম ওয়ারফেজ। ১৯৮৪ সালের ৫ জুন গঠিত এই ব্যান্ড চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হেভি মেটাল ঘরানার পথিকৃৎ হিসেবে শ্রোতাদের হৃদয়ে আসন গেড়ে আছে। ১৯৯১ সালে প্রথম অ্যালবাম ‘ওয়ারফেজ’ প্রকাশের পর থেকেই ‘ধূপছায়া’, ‘যখন’, ‘অবাক ভালোবাসা’, ‘মনে পড়ে’ ইত্যাদি গান সারা দেশে আলোড়ন তোলে। বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতের স্বর্ণযুগে ওয়ারফেজ এক স্বতন্ত্র ধারায় এক অনন্য মাত্রা এনে দেয়।
সম্প্রতি (৭ সেপ্টেম্বর, শনিবার) কানাডার ভ্যানকুভারের বেল পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে (৬২৫০, ১৬৬ স্ট্রিট, সারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ওয়ারফেজের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কনসার্ট।
এই আয়োজনের সার্বিক দায়িত্বে ছিল ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভার এবং এর প্রধান লোটাস কমলের নিরলস প্রচেষ্টা l উল্লেখ্য, তাঁর উদ্যোগে ‘ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভার’ নিয়মিতভাবে প্রবাসে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও শিল্পীদের পরিচিতি ঘটিয়ে আসছে।
সন্ধ্যা নামার আগেই অনুষ্ঠানস্থল ভরে যায় অসংখ্য দর্শকে। ভ্যানকুভারসহ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশি এই মহোৎসবে অংশ নিতে আসেন। দর্শকদের অবয়বে ফুটে ওঠে দেশজ নস্টালজিয়ার উচ্ছ্বাস।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শিল্পী মাহফুজ খান পরিবেশন করেন প্রয়াত দুই কিংবদন্তি শিল্পীর জনপ্রিয় গান—আইয়ুব বাচ্চুর ‘সেই তুমি’ এবং মাইলস ব্যান্ডের প্রয়াত শিল্পী শাফিন আহমেদের ‘নিঃস্ব করেছ আমায়’। পুরো অডিটোরিয়াম দাঁড়িয়ে করতালিতে ভরে ওঠে, মুহূর্তেই যেন শ্রোতারা একসঙ্গে অতীতের স্বর্ণযুগে ফিরে যান।
এরপর মঞ্চে আসেন ওয়ারফেজ ব্যান্ডের সদস্যরা। উল্লাসধ্বনি, করতালিতে পুরো পরিবেশ মুখরিত হয়ে ওঠে। শুরু থেকেই ব্যান্ড সদস্যদের শক্তিশালী প্রাণবন্ত পরিবেশনা দর্শকদের মাতিয়ে তোলে।
ওয়ারফেজ ব্যান্ডের মনিরুল ইসলাম টিপু, বাবনা করিম ও পলাশ অসাধারণভাবে পরিবেশন করেন ওয়ারফেজের কয়েকটি জনপ্রিয় গান—‘ধূপছায়া’, ‘যখন’, ‘আশা’, ‘জীবন আমার বড় বদলে গেছে’। যন্ত্রসংগীতের ধ্বনি, গিটার সোলো, ড্রামের ছন্দ এবং তাঁদের অনবদ্য গায়কী আর শক্তিশালী সাবলীল কণ্ঠ দর্শকদের মোহিত করে রাখে। মনিরুল ইসলাম টিপু ও বাবনা করিমের অসাধারণ পরিবেশনায় শ্রোতারা হাততালি ও উচ্ছ্বাসে মাধ্যমে প্রতিটি পরিবেশনার উত্তর দেন। পরবর্তীতে বাবনা করিম ও পলাশ তাঁদের অভিজ্ঞতা এই সফর ও ব্যান্ডের সদস্য সংক্ষিপ্ত সুন্দর বক্তব্য দেন l
পলাশের পরিবেশনায় ছিল আরেক বিশেষ আকর্ষণ। তিনি কেবল ওয়ারফেজের গানই নয়, পাশ্চাত্যের রক ঘরানার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরিবেশন করেন মাইকেল জ্যাকসনের ‘Beat It’। শ্রোতারা একযোগে দাঁড়িয়ে ব্যান্ডের ড্রামের ছন্দে নাচের তালে সেই পরিবেশনার সঙ্গে কণ্ঠ মেলান। এরপর তিনি অসাধারণভাবে পরিবেশন করেন জাতিগত বিভেদ ভুলে মানবতাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দানকারী ফকির লালন সাঁইয়ের কালজয়ী 'জাত গেল জাত গেল বলে’, গানটির মাধ্যমে মানবতার বার্তা দেন l তিনি তাদের ব্যান্ডের ‘মনে পড়ে’, ‘একটি ছেলে’, ‘অবাক ভালোবাসা’সহ আরও জনপ্রিয় গানগুলো অসাধারণভাবে পরিবেশন করেন।
অতীতের স্মৃতি ও বর্তমানের উচ্ছ্বাস ব্যান্ডের প্রতিটি গান উপস্থিত শ্রোতাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায় দেশে ফেলে আসা সোনালি সময়ে। উপস্থিত অনেক দর্শকের চোখে ছিল আনন্দাশ্রু, কেউবা মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করছিলেন প্রিয় শিল্পীদের প্রতিটি মুহূর্ত। প্রবাসের কঠোর বাস্তবতা ও ব্যস্ততা ভুলে অডিটোরিয়াম সেদিন সন্ধ্যায় ভরে ওঠে নস্টালজিয়া ও আনন্দে।
রাত প্রায় সাড়ে ১০টা পর্যন্ত স্থায়ী হয় এই বর্ণিল আয়োজন। মাঝে ছিল ২০ মিনিটের বিরতি। সমাপ্তি মুহূর্তে ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভারের স্বপ্নদ্রষ্টা লোটাস কমল সস্ত্রীক ওয়ারফেজ ব্যান্ডের সদস্যদের দীর্ঘ সফল পদযাত্রার স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ স্মারক সম্মাননা প্রদান করেন। এ ছাড়াও, ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভারের পক্ষ থেকে কমিউনিটিতে ইতিবাচক অবদানের জন্য আরও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় বাংলাদেশের সংস্কৃতির জোয়ার নিয়ে এসেছে ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভার। সেদিনের আয়োজন কেবল একটি কনসার্টই নয়, বরং কানাডার প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ছিল এক আবেগঘন মিলনমেলা। লোটাস কমল ও তাঁর জীবনসঙ্গীসহ সকল সদস্যদের জন্য শুভ কামনাl তিনি আগামীতে এইরকম আয়োজনে দেশাত্মবোধের আদর্শে সবার স্বতঃস্ফূর্ত সবার উপস্থিতি প্রত্যাশা করেন।
ভ্যানকুভারের আকাশে সেদিন ভেসে উঠেছিল বাংলাদেশের রক–সংগীতের চার দশকের গৌরবগাথা। দর্শক-শ্রোতাদের অনেকের মাঝেই একবাক্যে অভিমত—‘ওয়ারফেজ আমাদের কৈশোরের স্মৃতি, প্রজন্মের ইতিহাস; আজ ভ্যানকুভারে তাদের দেখতে পেয়ে আমরা নতুন করে বাংলাদেশকে খুঁজে পেলাম।’
উল্লেখ্য কানাডার আরও কয়েকটি শহরে ওয়ারফেজ ব্যান্ড তাদের অনুষ্ঠান করেছে।
ওয়ারফেজের অগ্রযাত্রার দিকে চোখ ফেরালে ১৯৮৪ সালে সূচনা হওয়া পর এখন পর্যন্ত অনেকগুলি সফল অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। সর্বশেষ অ্যালবাম 'সত্য’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যান্ডটি যেমন নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করছে, তেমনি পুরনো শ্রোতাদের আবেগকেও জাগিয়ে তুলছে।
ভ্যানকুভারের সেদিনের এই কনসার্টে আমরা সপরিবারে উপস্থিত থাকতে পেরে সত্যি আনন্দিত বোধ করছিl এই মনোমুগ্ধকর আয়োজন প্রমাণ করল—চার দশক পরও ওয়ারফেজের আবেদন অমলিন। সময়-ভাষা-দেশের সীমা ছাড়িয়ে তাদের গান পৌঁছে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বাঙালির হৃদয়ে। ঢাকা ক্লাব ভ্যানকুভারকে সাধুবাদ ও অভিনন্দন তাদের সব অগ্রযাত্রায়।
অভিভাবক ও কার্যকরি কমিটির সদস্যরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই ক্রীড়া উৎসবে যোগদান করেন। উৎসবে আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য ধারণ করে এমন সব খেলার ছবি প্রদর্শিত হয় এবং সেই খেলাগুলির সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের সম্যক ধারণা দেওয়া হয়।
অক্ষরে অমরতা স্লোগানের পতাকাবাহী সামাজিক, মানবিক ও সাহিত্য সংগঠন ‘কলম একাডেমি লন্ডন’– এর ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে উদ্যাপন করা হয়েছে।
সৌদি আরবের বিশাল ও ক্রমবর্ধমান পোশাক বাজারে বাংলাদেশের ভূমিকা, চ্যালেঞ্জ ও অপার সম্ভাবনা নিয়ে দেশটির বন্দর নগরী জেদ্দায় এক গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিডনির ম্যাককোয়ারি ফিল্ডসের ম্যাককোয়ারি রোড রিজার্ভে অনুষ্ঠিত হয়েছে পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক এক কর্মসূচি। কমিউনিটি সংগঠন ‘মি. পারফেক্ট’ আয়োজন করে এ ফ্রি কমিউনিটি বারবিকিউ।