রহমান মৃধা, সুইডেন
বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এখানে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বিশাল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই বিপুলসংখ্যক মানুষের দক্ষতা কি বিশ্ববাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতার গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই, কেবল জনসংখ্যার আধিক্য নয়, দক্ষতা, উদ্ভাবন, ও কর্মক্ষমতার ওপর ভিত্তি করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
কিন্তু দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি বিদেশে কাজ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। শুধু পেশাগত দক্ষতা যথেষ্ট নয়; বিদেশের সংস্কৃতি, ভাষা ও সামাজিক রীতিনীতি সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। একটি নতুন দেশে কাজ করতে গেলে কেবল যান্ত্রিক দক্ষতা দিয়ে কাজ চালানো কঠিন হতে পারে। বরং ভাষার দক্ষতা, মানবিক আচরণ ও সামাজিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ক্ষমতা কর্মীদের জীবনকে আরও ফলপ্রসূ করে তুলতে পারে। একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক শুধু কর্মক্ষেত্রে নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও মানসিক ও সামাজিক সমর্থন প্রদান করে।
এ কারণে, যারা বিদেশে কর্মজীবন গড়ার স্বপ্ন দেখেন, তাদের উচিত নতুন দেশের ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক কাঠামো সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা তৈরি করা। এটি শুধু তাদের কাজের ক্ষেত্রে নয় বরং বিদেশে জীবনযাপনকেও সহজ ও উপভোগ্য করে তুলবে।
বাংলাদেশের দক্ষতার বর্তমান অবস্থা
বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যার বড় অংশ এখনো দক্ষতা বা প্রশিক্ষণের অভাবে কাজের সঠিক সুযোগ পাচ্ছে না। প্রধানত, শিক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা, কারিগরি প্রশিক্ষণের অভাব এবং বৈশ্বিক চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ দক্ষতা তৈরির ঘাটতি এ সমস্যার মূল কারণ।
বিশ্ববাজারে চাহিদার সেক্টরসমূহ
১. তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি): সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এবং ডাটা অ্যানালিটিক্স।
২. স্বাস্থ্যসেবা: নার্সিং, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং বৃদ্ধদের সেবা।
৩. কারিগরি পেশা: ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানুফ্যাকচারিং ও রোবটিক্স।
৪. সৃজনশীল খাত: গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট ক্রিয়েশন ও ডিজিটাল মার্কেটিং।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের এই খাতগুলোর জন্য প্রস্তুত করতে হলে একটি যুগোপযোগী পরিকল্পনা জরুরি।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
১. শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার
*প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন কেন্দ্রিক কারিকুলাম তৈরি।
*ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বাড়ানো।
*শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি।
২. কারিগরি প্রশিক্ষণের বিস্তার
*স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন।
*ফ্রিল্যান্সিং, প্রোগ্রামিং ও ডেটা সায়েন্সের ওপর বিশেষ কোর্স।
৩. উদ্ভাবনী উদ্যোগে বিনিয়োগ
*স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরি।
*সরকার ও বেসরকারি খাতের মধ্যে পার্টনারশিপ।
৪. ভিসা প্রক্রিয়ার সরলীকরণ
*বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য সহজ ও স্বচ্ছ ভিসা প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা।
*সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি দমন করে প্রবাসী কর্মীদের হয়রানি বন্ধ করা।
দুর্নীতি ও বিভাজন রোধে কার্যকর উপায়
বাংলাদেশে দুর্নীতির সিন্ডিকেট প্রায় প্রতিটি খাতে প্রভাব বিস্তার করেছে। এর ফলে দক্ষ কর্মী তৈরির প্রক্রিয়া ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সম্ভাব্য সমাধান
*দুর্নীতির শাস্তি নিশ্চিত: দুর্নীতিবিরোধী আইন প্রয়োগ ও সিন্ডিকেট ভাঙতে কঠোর পদক্ষেপ।
*প্রযুক্তি ব্যবহার: ই-গভর্নেন্স ও স্বচ্ছ ডিজিটাল সিস্টেম চালু করা।
*সুশাসন প্রতিষ্ঠা: সামাজিক বিভাজন কমাতে জনকল্যাণমুখী নীতিমালা প্রয়োগ।
বেকারত্ব দূরীকরণে সরকারের উদ্যোগ ও কূটনীতিকদের করণীয
বেকারত্ব দূরীকরণে সরকার ইতিমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। যেমন দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রকল্প এবং শিল্প-কারখানা স্থাপনে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। তবে, বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বাড়াতে কূটনীতিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কূটনীতিকদের করণীয়
*বৈদেশিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের অবস্থান সুসংহত করা।
*স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কোম্পানির সঙ্গে কর্মসংস্থান চুক্তি সম্পাদন।
*অভিবাসীদের অধিকার রক্ষা ও সঠিক কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা।
জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ
সরকারকে কূটনীতিকদের কাজের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। একটি স্বচ্ছ রিপোর্টিং ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে, যেখানে কূটনীতিকদের কর্মকাণ্ডের নিয়মিত তথ্য জনগণ জানতে পারবে।
*স্বচ্ছ ডেটাবেস: বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সংখ্যা ও চুক্তি বিষয়ে সবার জন্য উন্মুক্ত তথ্য সরবরাহ।
*পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা: সরকারের নির্ধারিত কমিটি বা মনিটরিং টিমের মাধ্যমে কূটনীতিকদের কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন।
*জনগণের অংশগ্রহণ: প্রবাসী কর্মীরা সরাসরি অভিযোগ বা প্রশংসা জানাতে পারে এমন একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা।
বৈষম্য ও বেকারত্ব দূরীকরণে সুপরিকল্পনা
১. সমান সুযোগ সৃষ্টি
*নারীদের জন্য কর্মক্ষেত্রে সমান সুযোগ।
*প্রত্যন্ত অঞ্চলে দক্ষতা উন্নয়নকেন্দ্র স্থাপন।
২. ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা
*সহজ শর্তে ঋণ ও প্রশিক্ষণ।
*ই-কমার্সের সুযোগ সম্প্রসারণ।
৩. শিল্প ও কৃষি খাতের আধুনিকায়ন
*মেশিন লার্নিং ও প্রযুক্তির প্রয়োগ।
*কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও উন্নত যন্ত্রপাতি সরবরাহ।
একটি সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন
বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশের জন্য একটি যুগোপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ অপরিহার্য। দক্ষতা উন্নয়ন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ ও সুশাসনের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন করে আমরা এ লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারি। সমাজে বিভাজন ও বৈষম্য দূর করে, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করলে কেবল বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।
এ ধরনের একটি কার্যকর উদ্যোগ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে।
(মতামত লেখকের নিজস্ব)
*লেখক: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন। ইমেইল: [email protected]
বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এখানে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বিশাল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই বিপুলসংখ্যক মানুষের দক্ষতা কি বিশ্ববাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতার গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই, কেবল জনসংখ্যার আধিক্য নয়, দক্ষতা, উদ্ভাবন, ও কর্মক্ষমতার ওপর ভিত্তি করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
কিন্তু দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি বিদেশে কাজ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে। শুধু পেশাগত দক্ষতা যথেষ্ট নয়; বিদেশের সংস্কৃতি, ভাষা ও সামাজিক রীতিনীতি সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। একটি নতুন দেশে কাজ করতে গেলে কেবল যান্ত্রিক দক্ষতা দিয়ে কাজ চালানো কঠিন হতে পারে। বরং ভাষার দক্ষতা, মানবিক আচরণ ও সামাজিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ক্ষমতা কর্মীদের জীবনকে আরও ফলপ্রসূ করে তুলতে পারে। একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক শুধু কর্মক্ষেত্রে নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও মানসিক ও সামাজিক সমর্থন প্রদান করে।
এ কারণে, যারা বিদেশে কর্মজীবন গড়ার স্বপ্ন দেখেন, তাদের উচিত নতুন দেশের ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক কাঠামো সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা তৈরি করা। এটি শুধু তাদের কাজের ক্ষেত্রে নয় বরং বিদেশে জীবনযাপনকেও সহজ ও উপভোগ্য করে তুলবে।
বাংলাদেশের দক্ষতার বর্তমান অবস্থা
বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যার বড় অংশ এখনো দক্ষতা বা প্রশিক্ষণের অভাবে কাজের সঠিক সুযোগ পাচ্ছে না। প্রধানত, শিক্ষা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা, কারিগরি প্রশিক্ষণের অভাব এবং বৈশ্বিক চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ দক্ষতা তৈরির ঘাটতি এ সমস্যার মূল কারণ।
বিশ্ববাজারে চাহিদার সেক্টরসমূহ
১. তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি): সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এবং ডাটা অ্যানালিটিক্স।
২. স্বাস্থ্যসেবা: নার্সিং, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এবং বৃদ্ধদের সেবা।
৩. কারিগরি পেশা: ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানুফ্যাকচারিং ও রোবটিক্স।
৪. সৃজনশীল খাত: গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট ক্রিয়েশন ও ডিজিটাল মার্কেটিং।
বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের এই খাতগুলোর জন্য প্রস্তুত করতে হলে একটি যুগোপযোগী পরিকল্পনা জরুরি।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
১. শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার
*প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন কেন্দ্রিক কারিকুলাম তৈরি।
*ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বাড়ানো।
*শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি।
২. কারিগরি প্রশিক্ষণের বিস্তার
*স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন।
*ফ্রিল্যান্সিং, প্রোগ্রামিং ও ডেটা সায়েন্সের ওপর বিশেষ কোর্স।
৩. উদ্ভাবনী উদ্যোগে বিনিয়োগ
*স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরি।
*সরকার ও বেসরকারি খাতের মধ্যে পার্টনারশিপ।
৪. ভিসা প্রক্রিয়ার সরলীকরণ
*বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য সহজ ও স্বচ্ছ ভিসা প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা।
*সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি দমন করে প্রবাসী কর্মীদের হয়রানি বন্ধ করা।
দুর্নীতি ও বিভাজন রোধে কার্যকর উপায়
বাংলাদেশে দুর্নীতির সিন্ডিকেট প্রায় প্রতিটি খাতে প্রভাব বিস্তার করেছে। এর ফলে দক্ষ কর্মী তৈরির প্রক্রিয়া ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সম্ভাব্য সমাধান
*দুর্নীতির শাস্তি নিশ্চিত: দুর্নীতিবিরোধী আইন প্রয়োগ ও সিন্ডিকেট ভাঙতে কঠোর পদক্ষেপ।
*প্রযুক্তি ব্যবহার: ই-গভর্নেন্স ও স্বচ্ছ ডিজিটাল সিস্টেম চালু করা।
*সুশাসন প্রতিষ্ঠা: সামাজিক বিভাজন কমাতে জনকল্যাণমুখী নীতিমালা প্রয়োগ।
বেকারত্ব দূরীকরণে সরকারের উদ্যোগ ও কূটনীতিকদের করণীয
বেকারত্ব দূরীকরণে সরকার ইতিমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। যেমন দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রকল্প এবং শিল্প-কারখানা স্থাপনে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। তবে, বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বাড়াতে কূটনীতিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কূটনীতিকদের করণীয়
*বৈদেশিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের অবস্থান সুসংহত করা।
*স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কোম্পানির সঙ্গে কর্মসংস্থান চুক্তি সম্পাদন।
*অভিবাসীদের অধিকার রক্ষা ও সঠিক কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা।
জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ
সরকারকে কূটনীতিকদের কাজের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। একটি স্বচ্ছ রিপোর্টিং ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে, যেখানে কূটনীতিকদের কর্মকাণ্ডের নিয়মিত তথ্য জনগণ জানতে পারবে।
*স্বচ্ছ ডেটাবেস: বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সংখ্যা ও চুক্তি বিষয়ে সবার জন্য উন্মুক্ত তথ্য সরবরাহ।
*পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা: সরকারের নির্ধারিত কমিটি বা মনিটরিং টিমের মাধ্যমে কূটনীতিকদের কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন।
*জনগণের অংশগ্রহণ: প্রবাসী কর্মীরা সরাসরি অভিযোগ বা প্রশংসা জানাতে পারে এমন একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা।
বৈষম্য ও বেকারত্ব দূরীকরণে সুপরিকল্পনা
১. সমান সুযোগ সৃষ্টি
*নারীদের জন্য কর্মক্ষেত্রে সমান সুযোগ।
*প্রত্যন্ত অঞ্চলে দক্ষতা উন্নয়নকেন্দ্র স্থাপন।
২. ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা
*সহজ শর্তে ঋণ ও প্রশিক্ষণ।
*ই-কমার্সের সুযোগ সম্প্রসারণ।
৩. শিল্প ও কৃষি খাতের আধুনিকায়ন
*মেশিন লার্নিং ও প্রযুক্তির প্রয়োগ।
*কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও উন্নত যন্ত্রপাতি সরবরাহ।
একটি সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন
বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশের জন্য একটি যুগোপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ অপরিহার্য। দক্ষতা উন্নয়ন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ ও সুশাসনের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন করে আমরা এ লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারি। সমাজে বিভাজন ও বৈষম্য দূর করে, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করলে কেবল বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।
এ ধরনের একটি কার্যকর উদ্যোগ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে।
(মতামত লেখকের নিজস্ব)
*লেখক: সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন। ইমেইল: [email protected]
একটা দেশের অর্থনীতিতে আর্থিক খাতের ভূমিকা কী, তা মনে হয় বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই। আর্থিক খাতের প্রধান অঙ্গগুলো হলো—ব্যাংক, ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও শেয়ার বাজার।
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এক অদ্ভুত ত্রিভুজ—আওয়ামী লীগ, বিএনপি আর জামায়াত। কখনো সরাসরি, কখনো মুখোমুখি সংঘাত, কখনো আঁতাত—এই ত্রিভুজই ছিল ক্ষমতার মূল অঙ্ক।
শুধু পেশাগত দক্ষতা যথেষ্ট নয়; বিদেশের সংস্কৃতি, ভাষা ও সামাজিক রীতিনীতি সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। একটি নতুন দেশে কাজ করতে গেলে কেবল যান্ত্রিক দক্ষতা দিয়ে কাজ চালানো কঠিন হতে পারে। বরং ভাষার দক্ষতা, মানবিক আচরণ ও সামাজিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ক্ষমতা কর্মীদের জীবনকে ফলপ্রসূ করে তুলতে পারে।
লং টার্ম সম্পর্কের জন্য মোলায়েম কথা খুব উপকারি। ব্যক্তিগত মানুষটি যদি কারণে/অকারণে প্রতিদ্বন্দ্বি হয়ে ওঠে সেই সম্পর্কে আর যাই থাকুক আনুগত্য থাকে না। সম্পর্ক হতে হবে মুক্ত জানালার মতো। যত দূর চোখ যায় শুধু তাকিয়ে থাকা। তাকে ভাবলেই যদি ক্লান্তি আসে সেটা কোনোভাবেই সম্পর্ক হতে পারে না।
শুধু পেশাগত দক্ষতা যথেষ্ট নয়; বিদেশের সংস্কৃতি, ভাষা ও সামাজিক রীতিনীতি সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। একটি নতুন দেশে কাজ করতে গেলে কেবল যান্ত্রিক দক্ষতা দিয়ে কাজ চালানো কঠিন হতে পারে। বরং ভাষার দক্ষতা, মানবিক আচরণ ও সামাজিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ক্ষমতা কর্মীদের জীবনকে ফলপ্রসূ করে তুলতে পারে।
৬ দিন আগে