বিডিজেন ডেস্ক
১৬ মাস বয়সী কারিমাতুল জান্নাত বাবার স্পর্শ পায়নি। তার জন্মের ছয় দিন আগে বাবা মো. কাউছার (৩০) সংসারের অভাবে ঘোচাতে দাদনের টাকায় প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় হলো না। সৌদি আরবে এক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তার। ৩ মার্চ স্বজনেরা কাউছারের মৃত্যুর খবর পেলেও এখনো তার লাশ দেশে পৌঁছায়নি। লাশ আদৌ পাওয়া যাবে কি না, সেই শঙ্কার মধ্যে দিন কাটছে পরিবারের। কাউছারের মৃত্যুতে দাদনের টাকা পরিশোধ নিয়েও চিন্তার মধ্যে পড়ে গেছেন স্বজনেরা। ভিটাবাড়ি হারানোর শঙ্কায় কাউছারের পরিবার।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী জয়দা গ্রামের বাসিন্দা নির্মাণশ্রমিক মোতাহার আলীর ছেলে মো. কাউছার। কাউছারও নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। অভাবের কারণে গত ১৬ মাস আগে সৌদি আরবে যান কাউছার। সেখানে দাম্মাম শহরে সাক্কো নামের একটি কোম্পানিতে শ্রমিকের কাজ করতেন। কাউছার মোট সাত লাখ টাকায় সৌদি আরবে যান। এর মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে দাদনে, বাকি আরও দুই লাখ টাকা নিয়েছেন আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধার করে। দাদনের প্রতি লাখ টাকার জন্য মাসে ১০ হাজার টাকা লাভ দিতে হয়। দাদনের টাকা দিতে গিয়ে দুটি এনজিও থেকে আরও ২ লাখ ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছে কাউছারের পরিবার। প্রতি মাসে বাড়িতে ৫০–৫৫ হাজার টাকা পাঠালে তাঁর পুরোটাই সুদ দিয়ে শেষ হয়ে যেত।
সৌদি আরবে কাউছারের সহপাঠীদের বরাতে স্বজনেরা জানান, ৩ মার্চ দাম্মাম শহরের একটি এলাকায় গ্যাস সঞ্চালন লাইনের কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় কাউছার মারা যান। তার মৃত্যুর খবরটি দেশে পৌঁছায় প্রতিবেশী এক প্রবাসীর মাধ্যমে। কাউছারের মৃত্যুতে শুধু পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে চুরমারই হয়নি, বাবার ওপর চেপে বসেছে ঋণের বোঝা।
ছেলের মরদেহ বাংলাদেশি কোন সংস্থার মাধ্যমে দেশে ফিরবে, কবে ফিরবে, এ বিষয়েও কিছু জানেন না বাবা মোতাহার আলী। সোমবার (১০ মার্চ) বেলা একটার দিকে ময়মনসিংহ নগরীতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ওয়েলফেয়ার সেন্টারে আসেন মোতাহার আলী। সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ মোছা. জেসমিন ও ছেলের একমাত্র সন্তান কারিমাতুল জান্নাত। কাউছারের লাশ ফেরত আনতে আবেদন করেন তাঁরা। এ সময় মোতাহার আলী বলেন, ‘অভাব দূর করার আশায় পোলারে বিদেশে পাঠাইছিলাম। কিন্তু অভাব আরও বড় অইলো, আমার পুতও গেল। অত টেহা অহন কেমনে দিয়াম আমি। দাদনের টেহা দিলে ভিডাবাড়ি সব বেচন লাগব। আমার পোলার লাশও কবে পাইবাম, তারও ঠিক নাই।’
কাউছারের স্ত্রী মোছা. জেসমিন বলেন, ‘স্বামী বিদেশে যাওয়ার ছয় দিনের মাথায় আমার সন্তান হয়। সন্তানকে কোলে তুলে আদর করার কত বাসনা ছিল তার (কাউছার)। কিন্তু প্রতি মাসে দাদনের টাকা দিতে দিতে আমরাও ঠিকমতো ভাতের জোগান দিতে পারতাম না। খুব কষ্টে সংসার চলছিল। ঋণের টাকা শোধ হবার পর আমার স্বামীর দেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু ঋণ রয়ে গেলেও আমার স্বামী পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। এখন আমাদের ভাগ্যে কী আছে, আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। স্বামীর লাশ পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তা না হলেও স্বামীর লাশও শেষবারের মতো দেখতে পারব না।’
বিষয়টি নজরে আনা হলে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ওয়েল ফেয়ার সেন্টার ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল হাসান তাহেরি বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির পরিবার মরদেহ প্রাপ্তির লিখিত আবেদন করেছে, আমরা তা পাঠিয়ে দেব ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে। এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।’
সূত্র: প্রথম আলো
১৬ মাস বয়সী কারিমাতুল জান্নাত বাবার স্পর্শ পায়নি। তার জন্মের ছয় দিন আগে বাবা মো. কাউছার (৩০) সংসারের অভাবে ঘোচাতে দাদনের টাকায় প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় হলো না। সৌদি আরবে এক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তার। ৩ মার্চ স্বজনেরা কাউছারের মৃত্যুর খবর পেলেও এখনো তার লাশ দেশে পৌঁছায়নি। লাশ আদৌ পাওয়া যাবে কি না, সেই শঙ্কার মধ্যে দিন কাটছে পরিবারের। কাউছারের মৃত্যুতে দাদনের টাকা পরিশোধ নিয়েও চিন্তার মধ্যে পড়ে গেছেন স্বজনেরা। ভিটাবাড়ি হারানোর শঙ্কায় কাউছারের পরিবার।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী জয়দা গ্রামের বাসিন্দা নির্মাণশ্রমিক মোতাহার আলীর ছেলে মো. কাউছার। কাউছারও নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। অভাবের কারণে গত ১৬ মাস আগে সৌদি আরবে যান কাউছার। সেখানে দাম্মাম শহরে সাক্কো নামের একটি কোম্পানিতে শ্রমিকের কাজ করতেন। কাউছার মোট সাত লাখ টাকায় সৌদি আরবে যান। এর মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে দাদনে, বাকি আরও দুই লাখ টাকা নিয়েছেন আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধার করে। দাদনের প্রতি লাখ টাকার জন্য মাসে ১০ হাজার টাকা লাভ দিতে হয়। দাদনের টাকা দিতে গিয়ে দুটি এনজিও থেকে আরও ২ লাখ ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছে কাউছারের পরিবার। প্রতি মাসে বাড়িতে ৫০–৫৫ হাজার টাকা পাঠালে তাঁর পুরোটাই সুদ দিয়ে শেষ হয়ে যেত।
সৌদি আরবে কাউছারের সহপাঠীদের বরাতে স্বজনেরা জানান, ৩ মার্চ দাম্মাম শহরের একটি এলাকায় গ্যাস সঞ্চালন লাইনের কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় কাউছার মারা যান। তার মৃত্যুর খবরটি দেশে পৌঁছায় প্রতিবেশী এক প্রবাসীর মাধ্যমে। কাউছারের মৃত্যুতে শুধু পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে চুরমারই হয়নি, বাবার ওপর চেপে বসেছে ঋণের বোঝা।
ছেলের মরদেহ বাংলাদেশি কোন সংস্থার মাধ্যমে দেশে ফিরবে, কবে ফিরবে, এ বিষয়েও কিছু জানেন না বাবা মোতাহার আলী। সোমবার (১০ মার্চ) বেলা একটার দিকে ময়মনসিংহ নগরীতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ওয়েলফেয়ার সেন্টারে আসেন মোতাহার আলী। সঙ্গে ছিলেন পুত্রবধূ মোছা. জেসমিন ও ছেলের একমাত্র সন্তান কারিমাতুল জান্নাত। কাউছারের লাশ ফেরত আনতে আবেদন করেন তাঁরা। এ সময় মোতাহার আলী বলেন, ‘অভাব দূর করার আশায় পোলারে বিদেশে পাঠাইছিলাম। কিন্তু অভাব আরও বড় অইলো, আমার পুতও গেল। অত টেহা অহন কেমনে দিয়াম আমি। দাদনের টেহা দিলে ভিডাবাড়ি সব বেচন লাগব। আমার পোলার লাশও কবে পাইবাম, তারও ঠিক নাই।’
কাউছারের স্ত্রী মোছা. জেসমিন বলেন, ‘স্বামী বিদেশে যাওয়ার ছয় দিনের মাথায় আমার সন্তান হয়। সন্তানকে কোলে তুলে আদর করার কত বাসনা ছিল তার (কাউছার)। কিন্তু প্রতি মাসে দাদনের টাকা দিতে দিতে আমরাও ঠিকমতো ভাতের জোগান দিতে পারতাম না। খুব কষ্টে সংসার চলছিল। ঋণের টাকা শোধ হবার পর আমার স্বামীর দেশে আসার কথা ছিল। কিন্তু ঋণ রয়ে গেলেও আমার স্বামী পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। এখন আমাদের ভাগ্যে কী আছে, আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। স্বামীর লাশ পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তা না হলেও স্বামীর লাশও শেষবারের মতো দেখতে পারব না।’
বিষয়টি নজরে আনা হলে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ওয়েল ফেয়ার সেন্টার ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল হাসান তাহেরি বলেন, ‘নিহত ব্যক্তির পরিবার মরদেহ প্রাপ্তির লিখিত আবেদন করেছে, আমরা তা পাঠিয়ে দেব ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে। এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।’
সূত্র: প্রথম আলো
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে।
বাংলাদেশ যেন কখনো চরমপন্থা বা মৌলবাদের অভয়ারণ্য না হয়, সেই প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিদেশে বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের অফিস ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরাতে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে, গেল কয়েক মাস ধরে জিরো পোর্ট্রেট নীতি বা কোনো ছবি না রাখার সিদ্ধান্ত অনুসরণ করা হয়েছে।
ইউরোপের দেশ ইতালিতে পরিবারের সঙ্গে পিকনিকে গিয়ে লেকের পানিতে ডুবে আব্দুস সামাদ রাউফ (১২) নামে এক বাংলাদেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।