logo
খবর

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার

বিডিজেন ডেস্ক
বিডিজেন ডেস্ক০৮ নভেম্বর ২০২৪
Copied!
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সাইবার নিরাপত্তা (বাতিল) অধ্যাদেশ ২০২৪-এর খসড়ায় নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তবে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ কর্তৃক যাচাই-বাছাই শেষে আইসিটি বিভাগ খসড়া অধ্যাদেশটি পরিষদের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার উপস্থাপন করবে।

এ ছাড়া, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি বিভাগের সাচিবিক ও কারিগরি সহায়তায় সাইবার স্পেসে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য উপদেষ্টা পরিষদে একটি স্বতন্ত্র আইনি কাঠামো উপস্থাপন করবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চারটি ধারা জামিন অযোগ্য রেখে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে পাস হয় সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩। বহুল সমালোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এতে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। যেখানে ১৪টি ধারা জামিন অযোগ্য ছিল।

২০০৬ সালের আইসিটি আইন, ২০০৯ সালে নাম ঠিক রেখে সংশোধিত হয়। এরপর ২০১৮ সালে নাম বদলে হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই ধারাবাহিকতাতেই সাইবার নিরাপত্তা আইন ওই আইনের সর্বশেষ রূপ।

এ আইন নিয়ে তখন বিভিন্ন পর্যায় থেকে আপত্তি ওঠে। ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা হয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ বছরের ৮ অগাস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন সম্পূর্ণরূপে মেনে চলার জন্য সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল বা উল্লেখযোগ্যভাবে সংশোধন করার আহ্বান জানিয়েছিল।

এখন আইনটি বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার।

অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যে সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া স্পিচ অফেন্স-সম্পর্কিত মামলাগুলো (মুক্তমত প্রকাশের কারণে মামলা) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া এসব মামলায় কেউ গ্রেপ্তার থাকলে তিনি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি পাবেন বলেও জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬; ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এবং সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩-এর অধীন গত আগস্ট পর্যন্ত দেশের ৮টি সাইবার ট্রাইব্যুনালে মোট ৫ হাজার ৮১৮টি মামলা চলমান। বর্তমানে স্পিচ অফেন্স-সম্পর্কিত মোট ১ হাজার ৩৪০টি মামলা চলমান, যার মধ্যে ৪৬১টি মামলা তদন্তকারী সংস্থার কাছে তদন্তাধীন। ৮৭৯টি মামলা দেশের ৮টি সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন।

এসব মামলার মধ্যে ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তমত প্রকাশের কারণে দায়ের হওয়া মামলাগুলোকে ‘স্পিচ অফেন্স’ এবং কম্পিউটার হ্যাকিং বা অন্য কোনো ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতিকে ‘কম্পিউটার অফেন্স’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্পিচ অফেন্স-সম্পর্কিত মামলাগুলোর মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের অধীন ২৭৯টি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীন ৭৮৬টি এবং সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীন ২৭৫টি মামলা চলমান বলে তখন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছিল, বর্তমান সরকার স্পিচ অফেন্স-সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১ হাজার ৩৪০টি স্পিচ অফেন্স-সম্পর্কিত মামলার মধ্যে বিচারাধীন ৮৭৯টি মামলা আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাহার করা হবে। তদন্তাধীন ৪৬১টি মামলা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

হার মানা হার

হার মানা হার

যোগ্যতার চাইতে প্রাপ্তি বেশি হয়ে গেলে তখন সে লাগামহীন হয়ে ওঠে। এ অনেকটা মাটি ও খুঁটির মতো অবস্থা। খুঁটি শক্ত না হলে ঘর নড়বড়ে হবে আবার মাটি উর্বর না হলে খাওয়াপড়া জুটবে না। মানুষের চিন্তার সমৃদ্ধির জন্য পড়াশোনা কিংবা জ্ঞানের কোনো বিকল্প নেই।

১ দিন আগে

সাগরে নিম্নচাপ, ৪ বন্দরে সতর্কসংকেত

সাগরে নিম্নচাপ, ৪ বন্দরে সতর্কসংকেত

পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে থাকা সুস্পষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।

২ দিন আগে

কথাসাহিত্যিক সিরাজুল ইসলাম মুনিরের সঙ্গে আলাপচারিতা

কথাসাহিত্যিক সিরাজুল ইসলাম মুনিরের সঙ্গে আলাপচারিতা

কথাসাহিত্যিক ও গবেষক সিরাজুল ইসলাম মুনির সমকালীন বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে সুপরিচিত নাম। তাঁর সাহিত্য সৃষ্টির সমৃদ্ধ বহুমাত্রিকতা সৃষ্টি করেছে শক্তিশালী স্বতন্ত্র অবস্থান। সাবলীল শব্দ ব্যঞ্জনার প্রকাশে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন জীবন, দেশাত্মবোধ বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন মাত্রাকে।

২ দিন আগে