বিডিজেন ডেস্ক
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের শোষণকারী বিদেশি নিয়োগ এজেন্টদের একটি চক্র আওয়ামী লীগ নেতাদের অংশগ্রহণ ছাড়াই আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
খবর দ্য ডেইলি স্টারের।
শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ঘটনা ঘটছে এমন এক সময়ে যখন অন্তর্বর্তী সরকার মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়া আবার শুরুর জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করছে। প্রবাসী কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের এ বিষয়ে আলোচনা করতে আগামীকাল ১৫ মে মালয়েশিয়া সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
অনিয়মের প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে দিয়ে মালয়েশিয়া একাধিকবার বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ স্থগিত করেছে। সর্বশেষ স্থগিতাদেশ হয় ২০২৪ সালের জুন মাসে।
স্থগিতাদেশের আগে, হাজার হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য যেতে প্রত্যেক শ্রমিককে গড়ে প্রায় ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। যদিও সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ খরচের সীমা ছিল মাত্র ৭৮ গাজার ৯৯০ টাকা।
বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এবং সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে চক্রটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তদন্ত করছে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা) গত কয়েক মাসে একাধিকবার বিক্ষোভ এবং অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছে যে, আরেকটি সিন্ডিকেট গঠনের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
সংগঠনের নেতারা বলছেন, চক্রটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা, বিশেষ করে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক রুহুল আমিন স্বপন এবং মালয়েশিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক আমিন নূর, যিনি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করেন এবং তাঁর মাধ্যমে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ নিয়োগ এজেন্ট নির্বাচন করে— তারা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠছেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগসাজশ করছেন।
বায়রার সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘চক্রটি এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করে, যেখানে প্রতিটি শ্রমিক পাঠানোর জন্য বাংলাদেশি এজেন্টদের সিন্ডিকেটকে ঘুষ দিতে হয়।’
এ বছর ৫ ফেব্রুয়ারি বায়রা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়। তাতে চক্রনেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
গত বছর মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ ১ হাজার ৫২০টি বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্টের তালিকা থেকে মাত্র ১০০টিকে নির্বাচিত করে। তখন অভিযোগ ওঠে, যারা সিন্ডিকেটকে ঘুষ দিয়েছিল তারাই বাছাই হয়েছিল।
বায়রার সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে সব কিছু আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।’
মালয়েশিয়ায় কীভাবে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ করে
মালয়েশিয়া বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচন করে Foreign Workers Centralised Management System (FWCMS) নামক একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে।
এই প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত MyGrams অ্যাপটি পরিচালনা করে Bestinet নামক একটি কোম্পানি, যার মালিক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ার নাগরিক আমিন নূর।
অভিযোগ রয়েছে, আমিন নূরের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি এই অনলাইন টুলগুলোর মাধ্যমে প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ বা কারসাজি করছে।
বায়রার নেতারা বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (MoU) পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন, অথবা একটি নতুন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বর্তমান সমঝোতা স্মারক (MoU) ২০২৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত কার্যকর রয়েছে।
চলতি বছরের ৭ এপ্রিল, যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার কর্মী অ্যান্ডি হল এক বিবৃতি দিয়ে সতর্ক করেন যে, একটি সিন্ডিকেট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে এবং তিনি এই MoU পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে বারবার যোগাযোগ করেও রুহুল আমিন ও আমিনুল ইসলামের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
যোগাযোগ করা হলে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (কর্মসংস্থান) শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘২০–২১ মে ঢাকায় একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে এই উদ্বেগগুলোকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, ‘চার দশক ধরে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার শোষণ ও অব্যবস্থাপনার শিকার। প্রতিবারই সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু শোষণ আরও বেড়েছে। এই সরকার, যারা একটি গণআন্দোলনের মাধ্যমে এসেছে, তারা যদি সেই পুরনো পথেই হাঁটে, তাহলে সেটা আমাদের শ্রমিকদের জন্য এবং দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক হবে।’
সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের শোষণকারী বিদেশি নিয়োগ এজেন্টদের একটি চক্র আওয়ামী লীগ নেতাদের অংশগ্রহণ ছাড়াই আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
খবর দ্য ডেইলি স্টারের।
শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ঘটনা ঘটছে এমন এক সময়ে যখন অন্তর্বর্তী সরকার মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়া আবার শুরুর জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করছে। প্রবাসী কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের এ বিষয়ে আলোচনা করতে আগামীকাল ১৫ মে মালয়েশিয়া সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
অনিয়মের প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে দিয়ে মালয়েশিয়া একাধিকবার বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ স্থগিত করেছে। সর্বশেষ স্থগিতাদেশ হয় ২০২৪ সালের জুন মাসে।
স্থগিতাদেশের আগে, হাজার হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য যেতে প্রত্যেক শ্রমিককে গড়ে প্রায় ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। যদিও সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ খরচের সীমা ছিল মাত্র ৭৮ গাজার ৯৯০ টাকা।
বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এবং সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে চক্রটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তদন্ত করছে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা) গত কয়েক মাসে একাধিকবার বিক্ষোভ এবং অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছে যে, আরেকটি সিন্ডিকেট গঠনের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
সংগঠনের নেতারা বলছেন, চক্রটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা, বিশেষ করে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক রুহুল আমিন স্বপন এবং মালয়েশিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক আমিন নূর, যিনি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করেন এবং তাঁর মাধ্যমে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ নিয়োগ এজেন্ট নির্বাচন করে— তারা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠছেন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগসাজশ করছেন।
বায়রার সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘চক্রটি এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করে, যেখানে প্রতিটি শ্রমিক পাঠানোর জন্য বাংলাদেশি এজেন্টদের সিন্ডিকেটকে ঘুষ দিতে হয়।’
এ বছর ৫ ফেব্রুয়ারি বায়রা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়। তাতে চক্রনেতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
গত বছর মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ ১ হাজার ৫২০টি বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্টের তালিকা থেকে মাত্র ১০০টিকে নির্বাচিত করে। তখন অভিযোগ ওঠে, যারা সিন্ডিকেটকে ঘুষ দিয়েছিল তারাই বাছাই হয়েছিল।
বায়রার সাবেক সহ-সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে সব কিছু আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।’
মালয়েশিয়ায় কীভাবে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ করে
মালয়েশিয়া বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্ট নির্বাচন করে Foreign Workers Centralised Management System (FWCMS) নামক একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে।
এই প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত MyGrams অ্যাপটি পরিচালনা করে Bestinet নামক একটি কোম্পানি, যার মালিক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ার নাগরিক আমিন নূর।
অভিযোগ রয়েছে, আমিন নূরের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি এই অনলাইন টুলগুলোর মাধ্যমে প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ বা কারসাজি করছে।
বায়রার নেতারা বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (MoU) পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন, অথবা একটি নতুন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বর্তমান সমঝোতা স্মারক (MoU) ২০২৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত কার্যকর রয়েছে।
চলতি বছরের ৭ এপ্রিল, যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার কর্মী অ্যান্ডি হল এক বিবৃতি দিয়ে সতর্ক করেন যে, একটি সিন্ডিকেট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে এবং তিনি এই MoU পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে বারবার যোগাযোগ করেও রুহুল আমিন ও আমিনুল ইসলামের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
যোগাযোগ করা হলে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (কর্মসংস্থান) শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘২০–২১ মে ঢাকায় একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে এই উদ্বেগগুলোকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, ‘চার দশক ধরে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার শোষণ ও অব্যবস্থাপনার শিকার। প্রতিবারই সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু শোষণ আরও বেড়েছে। এই সরকার, যারা একটি গণআন্দোলনের মাধ্যমে এসেছে, তারা যদি সেই পুরনো পথেই হাঁটে, তাহলে সেটা আমাদের শ্রমিকদের জন্য এবং দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক হবে।’
সূত্র: দ্য ডেইলি স্টার
‘আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। তাদের [প্রবাসী] দুটি সমস্যার কথা তুলেছিলাম—একটা হচ্ছে আইডি কার্ড। এটা অবশ্যই হবে, যদিও কিছু জটিলতা আছে। তার বাইরে অন্য কোনো ডকুমেন্ট দিয়ে করা যায় কি না, আজ নির্বাচন কমিশন বলেছে যে, জন্মসনদের মাধ্যমেও ভোটার হওয়া সম্ভব। এতে একটা সমাধান পাওয়া যেতে পারে।’
মানবপাচারের পৃথক ৩টি মামলায় এক প্রবাসী ও তার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মামলার বাদীদের অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তা দাবি অনুযায়ী ঘুষের টাকা না পেয়ে সাক্ষী (প্রবাসীর স্ত্রী) এবং তার প্রবাসী স্বামীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে অবস্থানরত ৩০৯ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বিভিন্ন সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটককৃতদের মধ্য থেকে ইতিমধ্যে ১৮৮ জন দেশে ফিরে এলেও এখনো আবুধাবি কারাগারে আটক আছে ২৫ জন প্রবাসী। তাদের মুক্তির বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কুটনৈতিক ও আইনী প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।