বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত, নিম্ন-আয়ের মানুষের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ধারাকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে ‘পিকেএসএফ কৌশলগত পরিকল্পনা (২০২৫-২০৩০)’ অনুমোদন করেছে পিকেএসএফের পরিচালনা পর্ষদ।
বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের যাত্রা ত্বরান্বিত করতে পিকেএসএফের কর্মক্ষেত্র, কর্মপরিধি ও কর্মপন্থায় নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে। এর ফলে দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, প্রযুক্তিগত পরিবর্তন, দারিদ্র্য পরিস্থিতির বিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের বহুমুখী চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে।
পিকেএসএফের প্রতিষ্ঠাকালে পল্লী অঞ্চলের আর্থিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামোগত বাস্তবতা এবং বর্তমানে সেখানকার চিত্র এক নয়; বিধায়, শীর্ষ এ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের কর্মক্ষেত্র, কর্মপরিধি ও কর্মপন্থায় যুগোপযোগী পরিবর্তন আনতে হবে।
বাংলাদেশে প্রতিবছর জলবায়ু পরিবর্তন-উদ্ভূত বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, তাপ প্রবাহ ইত্যাদির কারণে গড়ে ১-২% বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পায়। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার।
পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বলেছেন, ক্ষুদ্র উদ্যোগ বিকাশের মাধ্যমে পিকেএসএফ সারাদেশে ছোট ছোট নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করবে। তারা স্থানীয় তরুণদের কর্মসংস্থানে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে ক্ষুদ্র উদ্যোগ খাতের অমিত সম্ভাবনা থাকলেও এ খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ এবং উন্নত প্রযুক্তির অভাব রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৯০ লাখ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা রয়েছে, তাদের মধ্যে ৪০ লাখ পিকেএসএফের আওতায় ইতিমধ্যে সংগঠিত।
প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন কার্যকর, টেকসই ব্যবস্থাপনা। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যয় নির্বাহের চাপ মানুষের দারিদ্র্য নিরসনের অন্যতম প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মো. ফজলুল কাদের। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) তাঁকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে পিকেএসএফের পরিচালনা পর্ষদ।