বিডিজেন ডেস্ক
বাংলাদেশে প্রতিবছর জলবায়ু পরিবর্তন-উদ্ভূত বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, তাপ প্রবাহ ইত্যাদির কারণে গড়ে ১-২% বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পায়। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার। তবে, কার্যকরভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম গ্রহণ জরুরি এবং এ লক্ষ্যে উন্নয়ন সহযোগীদের অব্যাহত সহায়তা প্রয়োজন হবে।
গত বূধবার (২৮ মে) ঢাকায় পিকেএসএফ ভবনে পিকেএসএফ কর্তৃক বাস্তবায়িত জার্মান সরকারের অর্থায়নে ‘Climate-resilient Infrastructure for Sustainable Community Life in the Haor Region of Bangladesh’, সংক্ষেপে ‘হাওর’, শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ অনুবিভাগ) ড. ফাহমিদা খানম এবং জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন উলরিখ ক্লেপমান।
স্বাগত বক্তব্য দেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুল কাদের। অনুষ্ঠানে ২টি উপস্থাপনা প্রদান করেন পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমাদ এবং মহাব্যবস্থাপক ড. এ কে এম নুরুজ্জামান।
বাংলাদেশ সরকার গৃহীত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিভিন্ন কার্যক্রমের বর্ণনা দিয়ে মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে ৮০০টিরও অধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সরকার বাৎসরিক বাজেটের ৬-৭% অর্থ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যয় করে। দেশের ২টি জাতীয় প্রতিষ্ঠান পিকেএসএফ ও ইডকল গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) থেকে এ পর্যন্ত ৯টি প্রকল্প ও ৮টি সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক প্রকল্প বাবদ ৪৪৭.৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার পেয়েছে। ‘হাওড়’ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত কার্যক্রমসমূহকে আরও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য পিকেএসএফ নতুন কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে জাকির আহমেদ খান বলেন, সর্বোচ্চ সততা, স্বচ্ছতা, নিষ্ঠা ও নিশ্ছিদ্র পরিবীক্ষণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে পিকেএসএফ তার সকল কার্যক্রমের গুণগত মান ও কার্যকারিতা শতভাগ নিশ্চিত করে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা মানুষের অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতে পিকেএসএফ নিরলস কাজ করে যাবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
উলরিখ ক্লেপমান বলেন, বর্তমানে জার্মান সরকার বাংলাদেশে ৫৩টি চলমান প্রকল্পে সহযোগিতা দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সরকারের একার পক্ষে মোকাবিলা সহজ নয় উল্লেখ করে ড. ফাহমিদা খানম বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিওসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলেই কেবল এটি সম্ভব হবে।’
মো. ফজলুল কাদের বলেন, পিকেএসএফ জিসিএফ ও অ্যাডাপ্টেশন ফান্ডের ডিরেক্ট অ্যাকসেস এনটিটি হিসেবে বাংলাদেশে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা মোকাবিলায় কাজ করছে। ‘আমাদের কার্যক্রম টেকসই কৃষি, পানি ব্যবস্থাপনা ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে গুরুত্ব প্রদানের মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠির অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।
‘হাওড়’ প্রকল্পের আওতায় সুনামগঞ্জ জেলার হাওর এলাকায় ৩টি ইউনিয়নে তীব্র ও আকস্মিক বন্যার ঢেউয়ের ফলে সৃষ্ট ভাঙন থেকে বাড়িঘর রক্ষা এবং হাটিতে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সিসি ব্লক রিভেটমেন্ট ও রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হয়। এর ফলে, প্রায় ৭ হাজার ৫০০ পরিবারের ঘর-বাড়ি আকস্মিক বন্যার ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে। কমিউনিটি স্পেস উঁচু করার ফলে খাদ্যশস্য সংরক্ষণের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হয়েছে এবং নির্মিত দেয়ালের পাশে বৃক্ষ রোপণের ফলে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ হয়েছে। এ ছাড়া, জামালগঞ্জ এবং দিরাই উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে ১.৫৪ কিমি দীর্ঘ হাটি সুরক্ষা দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশে প্রতিবছর জলবায়ু পরিবর্তন-উদ্ভূত বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, তাপ প্রবাহ ইত্যাদির কারণে গড়ে ১-২% বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পায়। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার। তবে, কার্যকরভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম গ্রহণ জরুরি এবং এ লক্ষ্যে উন্নয়ন সহযোগীদের অব্যাহত সহায়তা প্রয়োজন হবে।
গত বূধবার (২৮ মে) ঢাকায় পিকেএসএফ ভবনে পিকেএসএফ কর্তৃক বাস্তবায়িত জার্মান সরকারের অর্থায়নে ‘Climate-resilient Infrastructure for Sustainable Community Life in the Haor Region of Bangladesh’, সংক্ষেপে ‘হাওর’, শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ অনুবিভাগ) ড. ফাহমিদা খানম এবং জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন উলরিখ ক্লেপমান।
স্বাগত বক্তব্য দেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুল কাদের। অনুষ্ঠানে ২টি উপস্থাপনা প্রদান করেন পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি ছাদেক আহমাদ এবং মহাব্যবস্থাপক ড. এ কে এম নুরুজ্জামান।
বাংলাদেশ সরকার গৃহীত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিভিন্ন কার্যক্রমের বর্ণনা দিয়ে মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে ৮০০টিরও অধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সরকার বাৎসরিক বাজেটের ৬-৭% অর্থ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যয় করে। দেশের ২টি জাতীয় প্রতিষ্ঠান পিকেএসএফ ও ইডকল গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) থেকে এ পর্যন্ত ৯টি প্রকল্প ও ৮টি সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক প্রকল্প বাবদ ৪৪৭.৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার পেয়েছে। ‘হাওড়’ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত কার্যক্রমসমূহকে আরও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য পিকেএসএফ নতুন কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে জাকির আহমেদ খান বলেন, সর্বোচ্চ সততা, স্বচ্ছতা, নিষ্ঠা ও নিশ্ছিদ্র পরিবীক্ষণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে পিকেএসএফ তার সকল কার্যক্রমের গুণগত মান ও কার্যকারিতা শতভাগ নিশ্চিত করে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা মানুষের অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতে পিকেএসএফ নিরলস কাজ করে যাবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
উলরিখ ক্লেপমান বলেন, বর্তমানে জার্মান সরকার বাংলাদেশে ৫৩টি চলমান প্রকল্পে সহযোগিতা দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সরকারের একার পক্ষে মোকাবিলা সহজ নয় উল্লেখ করে ড. ফাহমিদা খানম বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিওসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলেই কেবল এটি সম্ভব হবে।’
মো. ফজলুল কাদের বলেন, পিকেএসএফ জিসিএফ ও অ্যাডাপ্টেশন ফান্ডের ডিরেক্ট অ্যাকসেস এনটিটি হিসেবে বাংলাদেশে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা মোকাবিলায় কাজ করছে। ‘আমাদের কার্যক্রম টেকসই কৃষি, পানি ব্যবস্থাপনা ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে গুরুত্ব প্রদানের মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠির অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।
‘হাওড়’ প্রকল্পের আওতায় সুনামগঞ্জ জেলার হাওর এলাকায় ৩টি ইউনিয়নে তীব্র ও আকস্মিক বন্যার ঢেউয়ের ফলে সৃষ্ট ভাঙন থেকে বাড়িঘর রক্ষা এবং হাটিতে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সিসি ব্লক রিভেটমেন্ট ও রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হয়। এর ফলে, প্রায় ৭ হাজার ৫০০ পরিবারের ঘর-বাড়ি আকস্মিক বন্যার ভাঙন থেকে রক্ষা পেয়েছে। কমিউনিটি স্পেস উঁচু করার ফলে খাদ্যশস্য সংরক্ষণের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হয়েছে এবং নির্মিত দেয়ালের পাশে বৃক্ষ রোপণের ফলে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ হয়েছে। এ ছাড়া, জামালগঞ্জ এবং দিরাই উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে ১.৫৪ কিমি দীর্ঘ হাটি সুরক্ষা দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি
ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণা করা নির্বাচনের সময়সমীনা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে।
ডিসেম্বরে নির্বাচন করা সম্ভব, সেটাই জাতির জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন করা সম্ভব, সেটি হলে তা জাতির জন্য ভালো হবে।