ইয়াকুব আলী, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মহাকাব্যিক মুক্তিযুদ্ধ আমাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন।
বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের সমগ্র বিশ্বাস ও ভাবনাকে হৃদয়ের গভীরে লালন করে ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল তা প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের ভাবনাতেও অনুরণন ঘটাতে চায়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের মতো এবারও ক্যাম্পবেলটাউন বাংলা স্কুল গভীর ভালোবাসায় আর কৃতজ্ঞতায় যুদ্ধজয়ের ৫৩তম বর্ষ উদযাপন করেছে।
৮ ডিসেম্বর রোববার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় মিন্টোর দ্য গ্রাঞ্জ পাবলিক স্কুল প্রাঙ্গণে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের শেষ এই দিনে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বর্ষ সমাপনী সনদ বিতরণ করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার ভূমি সন্তানদের স্মরণ করে ও শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত গেয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটে। আয়োজনের শুরুতেই বাংলা স্কুলের কার্যকরী কমিটির সদস্য কাজী আশফাক রহমান সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান।
দুই পর্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও নিজস্ব শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পরিবেশনায় অংশ নেয় মারজান, স্বপ্নীল, অর্ণা, রেহনুমা, ইয়ারা, ইমরান, নুসাইবা হক, আদিয়ান, আমিনা, অনিরুদ্ধ, নাশভা, মাহরুস, নাশিয়া, মুহাইমীন, সোহারদিতি, অর্ণিলা, রাইনা, মুনাজ্জাহ, সুহানা, রায়ান, জারা আমিরাহ ও গার্গি।
ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য নাজমুল আহসান খান এবং তাঁর দুই দৌহিত্রীর পরিবেশনা উপস্থিত দর্শকদের বিমোহিত করে। একক সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ও স্কুলের কার্যকরী কমিটির সদস্য লুৎফা খালেদ এবং প্রথিতযশা কন্ঠশিল্পী ও বাংলা স্কুলের সভাপতি ফায়সাল খালিদ শুভ। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আশফাক রহমান।
একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান তরুণ তাঁর যুদ্ধদিনের স্মৃতিচারণ করেন। এই যুদ্ধজয়ী বীর আগামী প্রজন্মকে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিশ্বাস ও ভাবনা হৃদয়ে ধারণ করার পরামর্শ দেন। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা কথোপকথন শেষে একটি দেশের গান পরিবেশন করে সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধ করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে অধ্যক্ষ রুমানা খান মোনা ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ সাফল্যের সঙ্গে সমাপ্তি হওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এরপর ছাত্রছাত্রীদের হাতে শিক্ষাবর্ষ সমাপনী সনদ তুলে দেন শ্রেণি শিক্ষকেরা। সবশেষে সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে এই আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন স্কুল সভাপতি ফায়সাল খালিদ শুভ।
বাংলা স্কুলের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য নাজমুল আহসান খানের সার্বিক তত্বাবধানে, সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ রুমানা খান মোনা ও স্কুলের কার্যকরী কমিটির সদস্য লুৎফা খালেদের ব্যবস্থাপনা এবং জয়তী রায় সোমা ও বিজয় সাহার পরিচালনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিক্ষক অনিতা মন্ডল। হারমোনিয়ামে সাহায্য করেন নাজমুল আহসান খান।
সনদ বিতরণ পর্বটি সঞ্চালনা করেন শ্রেণি শিক্ষক শায়লা ইয়াসমিন নুসরাত, অনিতা মন্ডল, সায়মা হক, বিশাখা পাল ও নুসরাত মৌরি। অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও কারিগরি নিয়ন্ত্রণে ছিলেন মসিউল আযম খান স্বপন ও ফায়সাল খালিদ শুভ। প্রচারের দায়িত্ব পালন করেন ইয়াকুব আলি। স্টেজ সজ্জা, আপ্যায়ন ও সার্বিক সহায়তায় ছিলেন শাহিন, আজিজ, জিসান, ইয়াকুব, রিজভী ও মঈন।
বিজয় দিবস ও বর্ষ সমাপনী এই আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বারডিয়া বাংলা স্কুলের সভাপতি ডক্টর রফিক ইসলাম ও অধ্যক্ষ মিলি ইসলাম, বিশিষ্ট নাট্যজন ও আবৃত্তিকার আজিম সাগর। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য আবদুল জলিল ও শাহ আলম সৈয়দ এবং স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা।
ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল আজ থেকে শুরু হওয়া গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শেষে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রোববার পুনরায় খুলবে। প্রসঙ্গত ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল প্রতি রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মহাকাব্যিক মুক্তিযুদ্ধ আমাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন।
বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের সমগ্র বিশ্বাস ও ভাবনাকে হৃদয়ের গভীরে লালন করে ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল তা প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের ভাবনাতেও অনুরণন ঘটাতে চায়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের মতো এবারও ক্যাম্পবেলটাউন বাংলা স্কুল গভীর ভালোবাসায় আর কৃতজ্ঞতায় যুদ্ধজয়ের ৫৩তম বর্ষ উদযাপন করেছে।
৮ ডিসেম্বর রোববার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় মিন্টোর দ্য গ্রাঞ্জ পাবলিক স্কুল প্রাঙ্গণে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের শেষ এই দিনে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বর্ষ সমাপনী সনদ বিতরণ করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার ভূমি সন্তানদের স্মরণ করে ও শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত গেয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটে। আয়োজনের শুরুতেই বাংলা স্কুলের কার্যকরী কমিটির সদস্য কাজী আশফাক রহমান সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান।
দুই পর্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও নিজস্ব শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পরিবেশনায় অংশ নেয় মারজান, স্বপ্নীল, অর্ণা, রেহনুমা, ইয়ারা, ইমরান, নুসাইবা হক, আদিয়ান, আমিনা, অনিরুদ্ধ, নাশভা, মাহরুস, নাশিয়া, মুহাইমীন, সোহারদিতি, অর্ণিলা, রাইনা, মুনাজ্জাহ, সুহানা, রায়ান, জারা আমিরাহ ও গার্গি।
ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য নাজমুল আহসান খান এবং তাঁর দুই দৌহিত্রীর পরিবেশনা উপস্থিত দর্শকদের বিমোহিত করে। একক সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ও স্কুলের কার্যকরী কমিটির সদস্য লুৎফা খালেদ এবং প্রথিতযশা কন্ঠশিল্পী ও বাংলা স্কুলের সভাপতি ফায়সাল খালিদ শুভ। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আশফাক রহমান।
একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান তরুণ তাঁর যুদ্ধদিনের স্মৃতিচারণ করেন। এই যুদ্ধজয়ী বীর আগামী প্রজন্মকে স্বাধীনতা সংগ্রামের বিশ্বাস ও ভাবনা হৃদয়ে ধারণ করার পরামর্শ দেন। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা কথোপকথন শেষে একটি দেশের গান পরিবেশন করে সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধ করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে অধ্যক্ষ রুমানা খান মোনা ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ সাফল্যের সঙ্গে সমাপ্তি হওয়ায় সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এরপর ছাত্রছাত্রীদের হাতে শিক্ষাবর্ষ সমাপনী সনদ তুলে দেন শ্রেণি শিক্ষকেরা। সবশেষে সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে এই আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন স্কুল সভাপতি ফায়সাল খালিদ শুভ।
বাংলা স্কুলের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য নাজমুল আহসান খানের সার্বিক তত্বাবধানে, সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ রুমানা খান মোনা ও স্কুলের কার্যকরী কমিটির সদস্য লুৎফা খালেদের ব্যবস্থাপনা এবং জয়তী রায় সোমা ও বিজয় সাহার পরিচালনায় অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শিক্ষক অনিতা মন্ডল। হারমোনিয়ামে সাহায্য করেন নাজমুল আহসান খান।
সনদ বিতরণ পর্বটি সঞ্চালনা করেন শ্রেণি শিক্ষক শায়লা ইয়াসমিন নুসরাত, অনিতা মন্ডল, সায়মা হক, বিশাখা পাল ও নুসরাত মৌরি। অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও কারিগরি নিয়ন্ত্রণে ছিলেন মসিউল আযম খান স্বপন ও ফায়সাল খালিদ শুভ। প্রচারের দায়িত্ব পালন করেন ইয়াকুব আলি। স্টেজ সজ্জা, আপ্যায়ন ও সার্বিক সহায়তায় ছিলেন শাহিন, আজিজ, জিসান, ইয়াকুব, রিজভী ও মঈন।
বিজয় দিবস ও বর্ষ সমাপনী এই আয়োজনে আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বারডিয়া বাংলা স্কুলের সভাপতি ডক্টর রফিক ইসলাম ও অধ্যক্ষ মিলি ইসলাম, বিশিষ্ট নাট্যজন ও আবৃত্তিকার আজিম সাগর। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদ সদস্য আবদুল জলিল ও শাহ আলম সৈয়দ এবং স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা।
ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল আজ থেকে শুরু হওয়া গ্রীষ্মকালীন অবকাশ শেষে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রোববার পুনরায় খুলবে। প্রসঙ্গত ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল প্রতি রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।
সৌদি আরবের বন্দরনগরী জেদ্দায় জাকজমকভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির বার্ষিক আয়োজন ‘নোয়াখালী উৎসব ২০২৪’।
‘প্রবাসীর অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, আমাদের সবার’ প্রতিপাদ্যে জাতীয় প্রবাসী দিবস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদ্যাপিত হয়েছে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে।]
‘প্রবাসীদের অধিকার আমাদের অঙ্গীকার, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ আমাদের সবার’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদ্যাপন করেছে মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বিজয় উৎসব আয়োজন করা হয়।