
বিডিজেন ডেস্ক

তুরস্কের বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত ‘জুলাই শহিদ দিবস’ ও রাষ্ট্রীয় শোক যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন করেছে। এ উপলক্ষে গত ১৬ জুলাই (বুধবার) রাজধানী আঙ্কারায় দূতাবাসের হলরুমে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. শফিক উদ্দিন শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। এরপর ‘জুলাই শহিদ’ স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে নির্মিত দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রামাণ্যচিত্রে ২০২৪ সালের গণআন্দোলনের পটভূমি ও শহিদদের আত্মত্যাগ তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও আবেগঘন অংশ ছিল তুরস্কে চিকিৎসাধীন জুলাই বিপ্লবের সময় চোখে আঘাতপ্রাপ্ত ৭ জন আহত যোদ্ধার উপস্থিতি। তাদেরকে অনুষ্ঠানে দূতাবাসের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

উল্লেখ্য, আহত এই ব্যক্তিদের তুরস্ক সরকার, বাংলাদেশ সরকারে সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ মিশনের ব্যবস্থাপনায় আঙ্কারার একটি খ্যাতনামা হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
আহত যোদ্ধাদের মধ্য থেকে কোরবান শেখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান দেন। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ইতিহাস রচনা করেছে। এই বিপ্লবে ২ হাজার জন শহীদ এবং ২২ হাজার জন আহত হয়। আমরা এই আন্দোলনে দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে অংশগ্রহণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, দূতাবাস যেভাবে আন্তরিকতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি আহত ও শহিদদের এই ত্যাগ যেন বৃথা না যায়, সে লক্ষ্যে সজাগ দৃষ্টি রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

এরপর বক্তব্য দেন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইফতেকুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ‘বাংলাদেশ ২.০’—একটি নতুন রূপান্তরের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। যেমন আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ ছিলেন, তেমনি আজকের অনুষ্ঠানে আমরা পেয়েছি ৭ জন আহত জুলাই যোদ্ধা, যাদের ত্যাগের কারণেই বাংলাদেশ আজ অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখতে পারছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য একাধিক কমিশন গঠন করেছে যাতে প্রশাসন আরও জনবান্ধব হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের ইতিহাসে ২০২৪ সালের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর যেন না হয় এবং শহিদদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসনে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তিনি তাদের সুস্থতা ও মঙ্গল কামনায় দোয়া করেন।

পরে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর ও বর্তমানে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ড. মোহাম্মদ শাহানুর আলম। তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান যে আজকের মতো একটি দিনে আমরা এই জুলাই যোদ্ধাদের পাশে পেয়েছি—আমি গর্বিত, আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, এই দেশে যেন আর কখনো স্বৈরশাসনের জন্ম না হয়। আমাদের দেশের মানুষ কখনোই ফ্যাসিবাদ মেনে নেয়নি-এটাই আমাদের ইতিহাস। আমাদের দায়িত্ব এই আন্দোলনের চেতনাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
তিনি জানান, আহত আরও অনেক জুলাই যোদ্ধার উন্নত চিকিৎসার জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এই দিনের তাৎপর্য শুধু ইতিহাসের পাতায় নয়, আমাদের হৃদয়ে ধারণ করা উচিত। তিনি জুলাই বিপ্লবে তুরস্কের প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সক্রিয় অংশগ্রহণের কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ‘জুলাই শহিদদের’ আত্মার মাগফিরাত কামনায় ও আহতদের সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
জাতীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। বিজ্ঞপ্তি

তুরস্কের বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত ‘জুলাই শহিদ দিবস’ ও রাষ্ট্রীয় শোক যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপন করেছে। এ উপলক্ষে গত ১৬ জুলাই (বুধবার) রাজধানী আঙ্কারায় দূতাবাসের হলরুমে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. শফিক উদ্দিন শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। এরপর ‘জুলাই শহিদ’ স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে নির্মিত দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রামাণ্যচিত্রে ২০২৪ সালের গণআন্দোলনের পটভূমি ও শহিদদের আত্মত্যাগ তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও আবেগঘন অংশ ছিল তুরস্কে চিকিৎসাধীন জুলাই বিপ্লবের সময় চোখে আঘাতপ্রাপ্ত ৭ জন আহত যোদ্ধার উপস্থিতি। তাদেরকে অনুষ্ঠানে দূতাবাসের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

উল্লেখ্য, আহত এই ব্যক্তিদের তুরস্ক সরকার, বাংলাদেশ সরকারে সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ মিশনের ব্যবস্থাপনায় আঙ্কারার একটি খ্যাতনামা হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।
আহত যোদ্ধাদের মধ্য থেকে কোরবান শেখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান দেন। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ইতিহাস রচনা করেছে। এই বিপ্লবে ২ হাজার জন শহীদ এবং ২২ হাজার জন আহত হয়। আমরা এই আন্দোলনে দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে অংশগ্রহণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, দূতাবাস যেভাবে আন্তরিকতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি আহত ও শহিদদের এই ত্যাগ যেন বৃথা না যায়, সে লক্ষ্যে সজাগ দৃষ্টি রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

এরপর বক্তব্য দেন বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইফতেকুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ‘বাংলাদেশ ২.০’—একটি নতুন রূপান্তরের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। যেমন আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ ছিলেন, তেমনি আজকের অনুষ্ঠানে আমরা পেয়েছি ৭ জন আহত জুলাই যোদ্ধা, যাদের ত্যাগের কারণেই বাংলাদেশ আজ অন্ধকার থেকে আলোর মুখ দেখতে পারছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার বর্তমানে বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য একাধিক কমিশন গঠন করেছে যাতে প্রশাসন আরও জনবান্ধব হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের ইতিহাসে ২০২৪ সালের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর যেন না হয় এবং শহিদদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসনে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তিনি তাদের সুস্থতা ও মঙ্গল কামনায় দোয়া করেন।

পরে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর ও বর্তমানে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ড. মোহাম্মদ শাহানুর আলম। তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত ভাগ্যবান যে আজকের মতো একটি দিনে আমরা এই জুলাই যোদ্ধাদের পাশে পেয়েছি—আমি গর্বিত, আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, এই দেশে যেন আর কখনো স্বৈরশাসনের জন্ম না হয়। আমাদের দেশের মানুষ কখনোই ফ্যাসিবাদ মেনে নেয়নি-এটাই আমাদের ইতিহাস। আমাদের দায়িত্ব এই আন্দোলনের চেতনাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
তিনি জানান, আহত আরও অনেক জুলাই যোদ্ধার উন্নত চিকিৎসার জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এই দিনের তাৎপর্য শুধু ইতিহাসের পাতায় নয়, আমাদের হৃদয়ে ধারণ করা উচিত। তিনি জুলাই বিপ্লবে তুরস্কের প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সক্রিয় অংশগ্রহণের কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ‘জুলাই শহিদদের’ আত্মার মাগফিরাত কামনায় ও আহতদের সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
জাতীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। বিজ্ঞপ্তি
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক নাজমুন নেসা পিয়ারিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
উদ্যোগটির লক্ষ্য, প্রবাসীদের মধ্যে কৃষি ও বাগানচর্চার আগ্রহ বৃদ্ধি এবং স্থানীয় পরিবেশে উপযোগী উদ্ভিদ সরবরাহের মাধ্যমে একটি টেকসই উদ্যানতাত্ত্বিক নেটওয়ার্ক তৈরি করা।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, শুরুটা ছোট পরিসরে হলেও তাদের লক্ষ্য খুব শিগগিরই ফ্যাশন হাউসের কার্যক্রমের পরিধি বাড়িয়ে পুরো অস্ট্রেলিয়াজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া। অনলাইন ও সরাসরি—দুই প্ল্যাটফর্মেই পাওয়া যাবে তাদের বৈচিত্র্যময় ফ্যাশন সংগ্রহ।
কনস্যুলেট সূত্র জানিয়েছে, এই সেবা চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত হটলাইনে ফোন এসেছে দুই লাখেরও বেশি। কল করা বেশির ভাগ প্রবাসীদের তাৎক্ষণিক তথ্য প্রদান করা হয়েছে। বাকিদেরও কনস্যুলেটের নির্দিষ্ট শাখায় সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হয়েছে।