মোহাম্মদ সাকিবুর রহমান খান, কানাডা থেকে
কানাডার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৫০ হাজার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে ‘নো-শো’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা স্টাডি পারমিট নিয়ে আসার পরও পড়াশোনা শুরু করেননি। ২০২৪ সালের মার্চ-এপ্রিলে প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর ৬ দশমিক ৯ শতাংশ এই তালিকায় আছে।
২০১৪ সালে চালু হওয়া International Student Compliance Regime–এর অধীনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বছরে দুবার রিপোর্ট করে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা যায় স্টাডি পারমিটের শর্ত মেনে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে কি না। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নো-শো হার ভিন্ন। ফিলিপাইনের নো-শো হার ২ দশমিক ২ শতাংশ, চীনের ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, ইরানের ১১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং রুয়ান্ডার ৪৮ দশমিক ১ শতাংশ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে এই সময় পড়তে এসেছিল মোট ১১ হাজার ৯৪৮ জন। এর মধ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কানাডায় এসে ইউনিভার্সিটি বা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। অর্থাৎ তারা পড়াশোনার জন্য সেখানে যায়নি। ভারতের ক্ষেত্রে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী নো-শো হিসেবে রিপোর্টেড হয়েছে। যা তাদের মোট শিক্ষার্থীর ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিছু শিক্ষার্থী কানাডায় এসে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে। কতজন যুক্তরাষ্ট্র চলে গিয়েছে তার হিসাব কানাডার কাছে নেই। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য কোন দেশে যাওয়ার সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে তারা কোথায় আছে তা নিয়ে জনমনে ব্যাপক প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। অনেকেই ধারণা করছেন তারা বড় বড় শহরগুলোতে অবৈধভাবে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে।
উল্লেখ্য কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট না থাকলে বৈধভাবে কোথাও কাজ করা সম্ভব নয়। এই বিরাট সংখ্যার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আগামীতে বড় ধরনের একটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। কানাডার চিকিৎসা ব্যবস্থা সরকারি। সে কারণে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তাকে সরকারি চিকিৎসালয়ে যেতে হবে। তখন পুলিশ তাঁকে ধরে ফেলতে পারে। অন্যদিকে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কানাডা খুব শিগগিরই কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।
সাবেক অর্থনীতিবিদ হেনরি লোটিন প্রস্তাব দিয়েছেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের কানাডায় আসার আগেই পূর্ণ টিউশন ফি পরিশোধের বাধ্যবাধকতা তৈরি করা উচিত। যাতে ভুয়া আবেদনকারীদের সংখ্যা কমানো যায়। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেন পুলিশ (আরসিএমপি) এই ইস্যুতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং তদন্ত চালাচ্ছে।
এই ঘটনার ফলে কানাডার শিক্ষাব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর আরও নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে পারে।
সূত্র: দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল
কানাডার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায় ৫০ হাজার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে ‘নো-শো’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা স্টাডি পারমিট নিয়ে আসার পরও পড়াশোনা শুরু করেননি। ২০২৪ সালের মার্চ-এপ্রিলে প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর ৬ দশমিক ৯ শতাংশ এই তালিকায় আছে।
২০১৪ সালে চালু হওয়া International Student Compliance Regime–এর অধীনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বছরে দুবার রিপোর্ট করে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা যায় স্টাডি পারমিটের শর্ত মেনে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে কি না। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নো-শো হার ভিন্ন। ফিলিপাইনের নো-শো হার ২ দশমিক ২ শতাংশ, চীনের ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, ইরানের ১১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং রুয়ান্ডার ৪৮ দশমিক ১ শতাংশ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে এই সময় পড়তে এসেছিল মোট ১১ হাজার ৯৪৮ জন। এর মধ্যে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কানাডায় এসে ইউনিভার্সিটি বা কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। অর্থাৎ তারা পড়াশোনার জন্য সেখানে যায়নি। ভারতের ক্ষেত্রে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী নো-শো হিসেবে রিপোর্টেড হয়েছে। যা তাদের মোট শিক্ষার্থীর ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিছু শিক্ষার্থী কানাডায় এসে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে। কতজন যুক্তরাষ্ট্র চলে গিয়েছে তার হিসাব কানাডার কাছে নেই। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য কোন দেশে যাওয়ার সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে তারা কোথায় আছে তা নিয়ে জনমনে ব্যাপক প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে। অনেকেই ধারণা করছেন তারা বড় বড় শহরগুলোতে অবৈধভাবে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে।
উল্লেখ্য কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট না থাকলে বৈধভাবে কোথাও কাজ করা সম্ভব নয়। এই বিরাট সংখ্যার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আগামীতে বড় ধরনের একটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে। কানাডার চিকিৎসা ব্যবস্থা সরকারি। সে কারণে কেউ যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তাকে সরকারি চিকিৎসালয়ে যেতে হবে। তখন পুলিশ তাঁকে ধরে ফেলতে পারে। অন্যদিকে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কানাডা খুব শিগগিরই কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।
সাবেক অর্থনীতিবিদ হেনরি লোটিন প্রস্তাব দিয়েছেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের কানাডায় আসার আগেই পূর্ণ টিউশন ফি পরিশোধের বাধ্যবাধকতা তৈরি করা উচিত। যাতে ভুয়া আবেদনকারীদের সংখ্যা কমানো যায়। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেন পুলিশ (আরসিএমপি) এই ইস্যুতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং তদন্ত চালাচ্ছে।
এই ঘটনার ফলে কানাডার শিক্ষাব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর আরও নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে পারে।
সূত্র: দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল
মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করবে দ্য স্টাডি ডক্টর ও ইউনিলিংক গ্লোবাল সল্যুশন লিমিটেড।
বিশ্ববিদ্যালয়টির অধীনে ২৬০টি ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। এর মধ্যে ৪৮টি পিএইচডি প্রোগ্রাম, ৫৩টি বিশেষায়িত বিদ্যালয় প্রোগ্রাম এবং ৮৬টি প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের পেশাদার স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম।
ইউরোপের বাইরের দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বৃত্তি দিয়ে থাকে আইরিশ সরকার। এই বৃত্তির নাম গভর্নমেন্ট অব আয়ারল্যান্ড স্কলারশিপ। এর আওতায় গ্র্যাজুয়েশন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ও পিএইচডি করতে পারবেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও।
বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এটি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দেশটির সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তি। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।