বিডিজেন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভারতীয় শিক্ষার্থীদের পড়তে যাওয়ার সংখ্যা এবার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চলমান সংকটজনক পরিস্থিতি এই অবস্থা তৈরি করেছে।
খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির।
ভারতের হায়দরাবাদের শিক্ষা পরামর্শকেরা বলছেন, ভিসা পেতে সমস্যা হওয়ায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী এবার উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারছেন না। ভিসার জন্য স্লট বা সাক্ষাৎকারের সময় না পাওয়া এবং ভিসা প্রত্যাখ্যান হওয়ার হার হঠাৎ করে অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া এর কারণ।
হায়দরাবাদ ওভারসিজ কনসালটেন্সির সঞ্জীব রাই বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বছরের এ সময়টায় সাধারণত ভিসার জন্য সাক্ষাতকার দিয়ে ফেলেন। অনেকেই উড়াল দেওয়ার প্রস্তুতি নেন। অথচ এবার এখনো প্রতিদিন ওয়েবসাইট ঘেটে স্লট খুঁজতে হচ্ছে। বিগত বহু বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এবার।
যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা ভিসার জন্য সাক্ষাতকারের স্লট পর্যায়ক্রমে দেওয়া শুরু করবে। কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। অনিশ্চয়তায় পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে উইন্ডো ওভারসিজ এডুকেশন কনসালটেন্সির অঙ্কিত জৈন বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ হয়তো নতুন কোনো পদ্ধতি চালুর বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখছেন।’
এর ফলে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প কোনো দেশ খুঁজে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বদলে জার্মানিতে অটোমেটিভ প্রকৌশলে মাস্টার্স করতে ইচ্ছুক ২৩ বছর বয়সী এক ভারতীয় শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার পক্ষে আর অফেক্ষা করা সম্ভব না। তাহলে পুরো একটা বছর নষ্ট হয়ে যেত। তাই আমি যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থী ভিসার আবেদন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আই২০ ফিভার কনসালটেন্সির অরবিন্দ মান্ডুভা বলেন, ‘কয়েক দিনের মধ্যে ভিসার স্লট না এলে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্নভঙ্গ হবে। প্রতিদিনই অসংখ্য উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের ফোন পাচ্ছি।’
এদিকে যারা গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন এবং এরইমধ্যে সাক্ষাতকারের স্লট পেয়েছেন বা সাক্ষাতকার দিয়েছেন; তাদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের সংখ্যা আগের চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে গেছে। এ বিষয়ে অঙ্কিত জৈন বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থী আগে সহজেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতেন, তারাও এখন ২১৪ (বি) ধারায় প্রত্যাখ্যাত হচ্ছেন। অথচ তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বেশ পরিচ্ছন্ন রয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও নাগরিকত্ব আইনের ২১৪ (বি) ধারায় বলা আছে, পড়াশোনা শেষে নিজ দেশে ফিরবেন— কোনো ভিসাপ্রার্থী এমন দাবির পক্ষে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ দিতে না পারলে, তার ভিসা বাতিল করা হবে। ডালাসভিত্তিক অভিবাসী সংক্রান্ত পরামর্শখ প্রতিষ্ঠান ইউএস অ্যাডমিশনের রবি লোথুমাল্লা বলেন, ‘প্রক্রিয়াটি নতুন নয়। বহু আগে থেকেই এটা ছিল। এখন কেবল তা কড়াভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
হায়দরাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটের একজন মুখপাত্র জানান, ‘আমরা আবেদনকারীদের ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করছি। যেন কেউ যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের ক্ষতি করতে না পারে। সবাইকে অনুরোধ করব আগেভাগেই ভিসার জন্য আবেদন করতে। অতিরিক্ত সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে।’
গত বছর ৩৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করার জন্য ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী পাঠানোর ক্ষেত্রে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত হালনাগাদ করা তথ্য বলছে, ১১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন। ইউরোপের দেশগুলোয় ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভারতীয় শিক্ষার্থীদের পড়তে যাওয়ার সংখ্যা এবার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চলমান সংকটজনক পরিস্থিতি এই অবস্থা তৈরি করেছে।
খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির।
ভারতের হায়দরাবাদের শিক্ষা পরামর্শকেরা বলছেন, ভিসা পেতে সমস্যা হওয়ায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী এবার উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারছেন না। ভিসার জন্য স্লট বা সাক্ষাৎকারের সময় না পাওয়া এবং ভিসা প্রত্যাখ্যান হওয়ার হার হঠাৎ করে অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া এর কারণ।
হায়দরাবাদ ওভারসিজ কনসালটেন্সির সঞ্জীব রাই বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বছরের এ সময়টায় সাধারণত ভিসার জন্য সাক্ষাতকার দিয়ে ফেলেন। অনেকেই উড়াল দেওয়ার প্রস্তুতি নেন। অথচ এবার এখনো প্রতিদিন ওয়েবসাইট ঘেটে স্লট খুঁজতে হচ্ছে। বিগত বহু বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা এবার।
যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা ভিসার জন্য সাক্ষাতকারের স্লট পর্যায়ক্রমে দেওয়া শুরু করবে। কিন্তু বাস্তবে এর প্রতিফলন খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। অনিশ্চয়তায় পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে উইন্ডো ওভারসিজ এডুকেশন কনসালটেন্সির অঙ্কিত জৈন বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ হয়তো নতুন কোনো পদ্ধতি চালুর বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখছেন।’
এর ফলে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প কোনো দেশ খুঁজে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বদলে জার্মানিতে অটোমেটিভ প্রকৌশলে মাস্টার্স করতে ইচ্ছুক ২৩ বছর বয়সী এক ভারতীয় শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার পক্ষে আর অফেক্ষা করা সম্ভব না। তাহলে পুরো একটা বছর নষ্ট হয়ে যেত। তাই আমি যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থী ভিসার আবেদন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
আই২০ ফিভার কনসালটেন্সির অরবিন্দ মান্ডুভা বলেন, ‘কয়েক দিনের মধ্যে ভিসার স্লট না এলে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্নভঙ্গ হবে। প্রতিদিনই অসংখ্য উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের ফোন পাচ্ছি।’
এদিকে যারা গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন এবং এরইমধ্যে সাক্ষাতকারের স্লট পেয়েছেন বা সাক্ষাতকার দিয়েছেন; তাদের ভিসা প্রত্যাখ্যানের সংখ্যা আগের চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে গেছে। এ বিষয়ে অঙ্কিত জৈন বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থী আগে সহজেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতেন, তারাও এখন ২১৪ (বি) ধারায় প্রত্যাখ্যাত হচ্ছেন। অথচ তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বেশ পরিচ্ছন্ন রয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও নাগরিকত্ব আইনের ২১৪ (বি) ধারায় বলা আছে, পড়াশোনা শেষে নিজ দেশে ফিরবেন— কোনো ভিসাপ্রার্থী এমন দাবির পক্ষে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ দিতে না পারলে, তার ভিসা বাতিল করা হবে। ডালাসভিত্তিক অভিবাসী সংক্রান্ত পরামর্শখ প্রতিষ্ঠান ইউএস অ্যাডমিশনের রবি লোথুমাল্লা বলেন, ‘প্রক্রিয়াটি নতুন নয়। বহু আগে থেকেই এটা ছিল। এখন কেবল তা কড়াভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
হায়দরাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেটের একজন মুখপাত্র জানান, ‘আমরা আবেদনকারীদের ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই করছি। যেন কেউ যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের ক্ষতি করতে না পারে। সবাইকে অনুরোধ করব আগেভাগেই ভিসার জন্য আবেদন করতে। অতিরিক্ত সময়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে।’
গত বছর ৩৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করার জন্য ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী পাঠানোর ক্ষেত্রে চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত হালনাগাদ করা তথ্য বলছে, ১১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন। ইউরোপের দেশগুলোয় ভারতীয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভারতীয় শিক্ষার্থীদের পড়তে যাওয়ার সংখ্যা এবার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের চলমান সংকটজনক পরিস্থিতি এই অবস্থা তৈরি করেছে।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রলোভনে কয়েক শত শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের’ চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার বাহারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে একটি কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে দেশটির সরকার। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা যদি ক্লাস না করে বা কাউকে না জানিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে তাদের ভিসা বাতিল হতে পারে।
ব্রিটেনের পরিবর্তিত নতুন অভিবাসন নীতির অংশ হিসেবে ইউরোপের বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে দেশটির সরকার। লেবার সরকারের নয়া নির্দেশনা অনুযায়ী বিদেশি শিক্ষার্থীদের গুনতে হবে ২০ থেকে ৪১ হাজার পাউন্ড।