বিডিজেন ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজায় স্থানীয় সাংবাদিকদের একটি তাঁবুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে এক সাংবাদিক নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) গাজার দক্ষিণাঞ্চলে এ হামলা চালানো হয়। চিকিৎসক ও স্থানীয় সাংবাদিক ইউনিয়ন এ কথা জানিয়েছে।
খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ১৫ প্যারামেডিক ও উদ্ধারকর্মী নিহতের ঘটনায় বৈশ্বিক নিন্দা ও ক্ষোভের মধ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটনা ঘটল। এ ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ‘ঠান্ডা মাথায়’ তাদের হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী।
খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল কম্পাউন্ডের ভেতরে সাংবাদিকদের অবস্থান করা তাঁবুতে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। একটি ভিডিওতে হামলার পর লোকজনকে তাঁবুর আগুন নেভাতে দেখা যায়। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, আসবাব ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ তাঁবুটি পুড়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
একাধিক ছবিতে দেখা যায়, হামলার পর তাঁবুতে একজন সাংবাদিককে পুড়তে দেখা যায়। তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করে আরেকজন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব ছবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত ওই সাংবাদিক হেলমি আল-ফাকাবি। পরে তাঁর জানাজায় অংশ নেয় কয়েক ডজন সাংবাদিক ও তার আত্মীয়-স্বজন। ফাকাবির সহকর্মী আবদ শায়াত বলেন, ‘আমরা খবর সরবরাহ করে যাব এবং গোটা বিশ্বের কাছে সত্য তুলে ধরব। এটা আমাদের মানবিক দায়িত্ব।’
প্যালিস্টিনিয়ান জার্নালিস্ট সিন্ডিকেটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরুর পর এ নিয়ে ২১০ সাংবাদিক নিহত হয়েছে।
১ এপ্রিল ওয়াটসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ স্মরণকালে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২৩২ সাংবাদিককে হত্যা করেছে ইসরায়েল।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এ হিসাব অনুযায়ী দুই বিশ্বযুদ্ধ, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, যুগোস্লাভিয়ার যুদ্ধ এবং আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ মিলিয়ে যত সাংবাদিক নিহত হয়েছে, গাজায় তার চেয়েও বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছে।
আমেরিকান– ফিলিস্তিনি কিশোরকে হত্যা
এদিকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলিদের গুলিতে আমেরিকার নাগরিক এক ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়েছে। গত রোববার ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। নিহত ওমর মোহাম্মদ রাবিয়ার বয়স ১৪ বছর।
তুরমুস আয়া শহরের মেয়র আদীব লাফি বলেন, তুরমুস আয়ার প্রবেশমুখে ওমরসহ তিন কিশোরকে গুলি করে এক সশস্ত্র ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী। এরপর তাকে আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী। পরে ওমরকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এ ঘটনাকে শহরে অভিযান চালানোর সময় ইসরায়েলি বাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, এটি ইসরায়েলের অব্যাহত দায়মুক্তিরই ফল।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, বেসামরিক নাগরিকদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলা সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে সেনারা গুলি ছুড়েছে। এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে। জখম হয়েছে আরও দুই সন্ত্রাসী।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৩৭ জন। গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে। গত ১৮ মার্চ নতুন করে হামলা শুরুর পর গাজায় ১ হাজার ৩৯১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩ হাজার ৪৩৪ জন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৭৫২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৭৫ জন।
‘হামাস বা ইসরায়েল গাজা শাসন করবে না’
মিসর সফররত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের নিন্দা জানায় ফ্রান্স। তিনি অনতিবিলম্বে ইসরায়েলি জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার কায়রোয় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মাখোঁ বলেন, ‘কোনো বাসিন্দাকে তাঁদের ভূমি থেকে জোরপূর্বক অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরকে দখলে নেওয়ার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান।’
গাজা পুনর্গঠনে আরব দেশগুলোর দেওয়া প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, এটা গাজার প্রতি বাস্তবসম্মত সমর্থন এবং এটি গাজা উপত্যকায় নতুন প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণের পথ খুলে দেবে। তিনি বলেন, গাজা শাসনে হামাস কিংবা ইসরায়েল অংশ হতে পারবে না।
ফিলিস্তিনের গাজায় স্থানীয় সাংবাদিকদের একটি তাঁবুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে এক সাংবাদিক নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) গাজার দক্ষিণাঞ্চলে এ হামলা চালানো হয়। চিকিৎসক ও স্থানীয় সাংবাদিক ইউনিয়ন এ কথা জানিয়েছে।
খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ১৫ প্যারামেডিক ও উদ্ধারকর্মী নিহতের ঘটনায় বৈশ্বিক নিন্দা ও ক্ষোভের মধ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটনা ঘটল। এ ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ‘ঠান্ডা মাথায়’ তাদের হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী।
খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল কম্পাউন্ডের ভেতরে সাংবাদিকদের অবস্থান করা তাঁবুতে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। একটি ভিডিওতে হামলার পর লোকজনকে তাঁবুর আগুন নেভাতে দেখা যায়। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, আসবাব ও বিভিন্ন সরঞ্জামসহ তাঁবুটি পুড়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
একাধিক ছবিতে দেখা যায়, হামলার পর তাঁবুতে একজন সাংবাদিককে পুড়তে দেখা যায়। তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করে আরেকজন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব ছবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত ওই সাংবাদিক হেলমি আল-ফাকাবি। পরে তাঁর জানাজায় অংশ নেয় কয়েক ডজন সাংবাদিক ও তার আত্মীয়-স্বজন। ফাকাবির সহকর্মী আবদ শায়াত বলেন, ‘আমরা খবর সরবরাহ করে যাব এবং গোটা বিশ্বের কাছে সত্য তুলে ধরব। এটা আমাদের মানবিক দায়িত্ব।’
প্যালিস্টিনিয়ান জার্নালিস্ট সিন্ডিকেটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরুর পর এ নিয়ে ২১০ সাংবাদিক নিহত হয়েছে।
১ এপ্রিল ওয়াটসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ স্মরণকালে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২৩২ সাংবাদিককে হত্যা করেছে ইসরায়েল।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এ হিসাব অনুযায়ী দুই বিশ্বযুদ্ধ, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, যুগোস্লাভিয়ার যুদ্ধ এবং আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ মিলিয়ে যত সাংবাদিক নিহত হয়েছে, গাজায় তার চেয়েও বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছে।
আমেরিকান– ফিলিস্তিনি কিশোরকে হত্যা
এদিকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলিদের গুলিতে আমেরিকার নাগরিক এক ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়েছে। গত রোববার ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। নিহত ওমর মোহাম্মদ রাবিয়ার বয়স ১৪ বছর।
তুরমুস আয়া শহরের মেয়র আদীব লাফি বলেন, তুরমুস আয়ার প্রবেশমুখে ওমরসহ তিন কিশোরকে গুলি করে এক সশস্ত্র ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী। এরপর তাকে আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী। পরে ওমরকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এ ঘটনাকে শহরে অভিযান চালানোর সময় ইসরায়েলি বাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, এটি ইসরায়েলের অব্যাহত দায়মুক্তিরই ফল।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, বেসামরিক নাগরিকদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলা সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে সেনারা গুলি ছুড়েছে। এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে। জখম হয়েছে আরও দুই সন্ত্রাসী।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৩৭ জন। গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে। গত ১৮ মার্চ নতুন করে হামলা শুরুর পর গাজায় ১ হাজার ৩৯১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৩ হাজার ৪৩৪ জন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৭৫২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৭৫ জন।
‘হামাস বা ইসরায়েল গাজা শাসন করবে না’
মিসর সফররত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের নিন্দা জানায় ফ্রান্স। তিনি অনতিবিলম্বে ইসরায়েলি জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার কায়রোয় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মাখোঁ বলেন, ‘কোনো বাসিন্দাকে তাঁদের ভূমি থেকে জোরপূর্বক অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরকে দখলে নেওয়ার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান।’
গাজা পুনর্গঠনে আরব দেশগুলোর দেওয়া প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, এটা গাজার প্রতি বাস্তবসম্মত সমর্থন এবং এটি গাজা উপত্যকায় নতুন প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণের পথ খুলে দেবে। তিনি বলেন, গাজা শাসনে হামাস কিংবা ইসরায়েল অংশ হতে পারবে না।
ইসরায়েলের দেওয়া ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এ প্রস্তাবের আওতায় হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানানো হয়েছিল।
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখন্ডে বিরল সফর করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) তিনি সেখানে সফর করেন বলে জানিয়েছে তাঁর কার্যালয়। নেতানিয়াহু এমন সময় গাজা সফর করলেন, যখন ভূখন্ডটিতে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ইরানকে অবশ্যই তাদের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বন্ধ করে তা সম্পূর্ণভাবে বাতিল করতে করতে হবে।
ইসরায়েলের নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। দ্রুতই এ প্রস্তাবের বিষয়ে সাড়া দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি।