মোহাম্মদ সাকিবুর রহমান খান, কানাডা থেকে
কানাডায় শরণার্থী আশ্রয়প্রার্থী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মাহিন শাহরিয়ার যুক্তরাষ্ট্রে আটক হয়েছেন। তিনি বর্তমানে দেশটির বাফেলো শহরে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) হেফাজতে রয়েছেন। মাহিন দাবি করেছেন, তিনি ভুলবশত কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত পেরিয়ে চলে গেছেন—কিন্তু এখন কানাডা তাকে আর ফিরিয়ে নিচ্ছে না।
মাহিন শাহরিয়ার জানান, গত ১২ মে তিনি মন্ট্রিয়েলের কাছে এক বন্ধুর বাড়িতে কয়েক দিন থাকার প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু বন্ধুর দেওয়া ঠিকানাটি আসলে সীমান্তের খুব কাছাকাছি ছিল। বন্ধুর ফোনে পাঠানো নির্দেশনা অনুসরণ করতে গিয়ে তিনি অজান্তেই সীমান্ত অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতেই পারিনি আমি যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে গেছি। বুঝতে পারার পর সীমান্তরক্ষীদের কাছে গিয়ে সব ব্যাখ্যা করি। আমি ভেবেছিলাম, তারা আমাকে কানাডায় ফেরত পাঠাবে, কিন্তু তারা আমাকে আটক করে।’
শাহরিয়ারের আইনজীবী ওয়াশিম আহমেদ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ (আইসিই) স্বীকার করেছে, বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলে মাহিন শাহরিয়ার নির্যাতনের শিকার হতে পারেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে ফেরার আশঙ্কায় রয়েছেন।
আইনজীবী আরও জানান, মাহিনকে কানাডায় ফেরত পাঠাতে আইসিই প্রস্তুত থাকলেও কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি (সিবিএসএ) তার প্রবেশ অনুমোদন দেয়নি। ফলে শাহরিয়ার এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন।
সিবিএসএ এক ইমেইল বার্তায় জানিয়েছে, তারা বিদেশে আটক কোনো ব্যক্তির বিষয়ে মন্তব্য করে না এবং প্রতিটি প্রবেশের সিদ্ধান্ত কেসভিত্তিকভাবে নেওয়া হয়।
ওয়াশিম আহমেদ এখন ফেডারেল কোর্টে জরুরি শুনানির আবেদন করেছেন, যাতে মানবিক কারণে কানাডা মাহিন শাহরিয়ারকে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।
ওয়াশিম আহমেদ বলেন, ‘তিনি [মাহিন] ২০১৯ সাল থেকে কানাডায় বসবাস করছেন। তার মা ও বোন কানাডায় বৈধ অবস্থায় আছেন। তাই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাকে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।’
মাহিন শাহরিয়ারের মা ইতিমধ্যে কানাডায় শরণার্থী মর্যাদা পেয়েছেন এবং তার বোন পূর্ণসময়ে (ফুল টাইম) পড়াশোনা করছেন। তবে শাহরিয়ারের প্রথম আশ্রয় আবেদনটি এক প্রতারক ইমিগ্রেশন পরামর্শকের মাধ্যমে জমা পড়ায় তা বাতিল হয়।
আইনজীবী ওয়াশিম আহমেদ জানান, এই ভুল আবেদন এবং মানসিক চাপের কারণেই মাহিন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন, যা পরবর্তীতে তাকে এই দুর্ঘটনার মুখে ফেলে দেয়।
বর্তমানে আইসিই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারছে না, কারণ তার কোনো ভ্রমণ নথি নেই। তবে তার পরিবার কানাডায় থেকে মারাত্মক মানসিক চাপের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘তার মা ইতিমধ্যে কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মানসিক অবসাদের কারণে। তার বোন এখন পরিবারকে সাহায্য করার জন্য পড়াশোনা বন্ধ করার কথা ভাবছে।’
এদিকে, সেফ থার্ড কান্ট্রি এগ্রিমেন্টের (Safe Third Country Agreement) আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে আটক কোনো কানাডা-সংলগ্ন আশ্রয়প্রার্থীকে ১৪ দিনের মধ্যে কানাডায় ফেরত পাঠানোর নিয়ম রয়েছে। আইনজীবী ওয়াশিম আহমেদ বিশ্বাস করেন, এই আইন অনুযায়ীই মাহিন শাহরিয়ারকে ফেরত নেওয়া উচিত।
কানাডায় শরণার্থী আশ্রয়প্রার্থী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মাহিন শাহরিয়ার যুক্তরাষ্ট্রে আটক হয়েছেন। তিনি বর্তমানে দেশটির বাফেলো শহরে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) হেফাজতে রয়েছেন। মাহিন দাবি করেছেন, তিনি ভুলবশত কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত পেরিয়ে চলে গেছেন—কিন্তু এখন কানাডা তাকে আর ফিরিয়ে নিচ্ছে না।
মাহিন শাহরিয়ার জানান, গত ১২ মে তিনি মন্ট্রিয়েলের কাছে এক বন্ধুর বাড়িতে কয়েক দিন থাকার প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু বন্ধুর দেওয়া ঠিকানাটি আসলে সীমান্তের খুব কাছাকাছি ছিল। বন্ধুর ফোনে পাঠানো নির্দেশনা অনুসরণ করতে গিয়ে তিনি অজান্তেই সীমান্ত অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতেই পারিনি আমি যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে গেছি। বুঝতে পারার পর সীমান্তরক্ষীদের কাছে গিয়ে সব ব্যাখ্যা করি। আমি ভেবেছিলাম, তারা আমাকে কানাডায় ফেরত পাঠাবে, কিন্তু তারা আমাকে আটক করে।’
শাহরিয়ারের আইনজীবী ওয়াশিম আহমেদ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ (আইসিই) স্বীকার করেছে, বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হলে মাহিন শাহরিয়ার নির্যাতনের শিকার হতে পারেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে ফেরার আশঙ্কায় রয়েছেন।
আইনজীবী আরও জানান, মাহিনকে কানাডায় ফেরত পাঠাতে আইসিই প্রস্তুত থাকলেও কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি (সিবিএসএ) তার প্রবেশ অনুমোদন দেয়নি। ফলে শাহরিয়ার এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন।
সিবিএসএ এক ইমেইল বার্তায় জানিয়েছে, তারা বিদেশে আটক কোনো ব্যক্তির বিষয়ে মন্তব্য করে না এবং প্রতিটি প্রবেশের সিদ্ধান্ত কেসভিত্তিকভাবে নেওয়া হয়।
ওয়াশিম আহমেদ এখন ফেডারেল কোর্টে জরুরি শুনানির আবেদন করেছেন, যাতে মানবিক কারণে কানাডা মাহিন শাহরিয়ারকে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়।
ওয়াশিম আহমেদ বলেন, ‘তিনি [মাহিন] ২০১৯ সাল থেকে কানাডায় বসবাস করছেন। তার মা ও বোন কানাডায় বৈধ অবস্থায় আছেন। তাই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাকে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।’
মাহিন শাহরিয়ারের মা ইতিমধ্যে কানাডায় শরণার্থী মর্যাদা পেয়েছেন এবং তার বোন পূর্ণসময়ে (ফুল টাইম) পড়াশোনা করছেন। তবে শাহরিয়ারের প্রথম আশ্রয় আবেদনটি এক প্রতারক ইমিগ্রেশন পরামর্শকের মাধ্যমে জমা পড়ায় তা বাতিল হয়।
আইনজীবী ওয়াশিম আহমেদ জানান, এই ভুল আবেদন এবং মানসিক চাপের কারণেই মাহিন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন, যা পরবর্তীতে তাকে এই দুর্ঘটনার মুখে ফেলে দেয়।
বর্তমানে আইসিই তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারছে না, কারণ তার কোনো ভ্রমণ নথি নেই। তবে তার পরিবার কানাডায় থেকে মারাত্মক মানসিক চাপের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘তার মা ইতিমধ্যে কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মানসিক অবসাদের কারণে। তার বোন এখন পরিবারকে সাহায্য করার জন্য পড়াশোনা বন্ধ করার কথা ভাবছে।’
এদিকে, সেফ থার্ড কান্ট্রি এগ্রিমেন্টের (Safe Third Country Agreement) আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে আটক কোনো কানাডা-সংলগ্ন আশ্রয়প্রার্থীকে ১৪ দিনের মধ্যে কানাডায় ফেরত পাঠানোর নিয়ম রয়েছে। আইনজীবী ওয়াশিম আহমেদ বিশ্বাস করেন, এই আইন অনুযায়ীই মাহিন শাহরিয়ারকে ফেরত নেওয়া উচিত।
আইনজীবী ওয়াশিম জানান, মাহিন শাহরিয়ারকে কানাডায় ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইসিই) প্রস্তুত থাকলেও কানাডা বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি (সিবিএসএ) তার প্রবেশ অনুমোদন দেয়নি। ফলে মাহিন শাহরিয়ার এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন।
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন বাড়াতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৮ দলের অংশগ্রহণে ফুটসাল টুর্নামেন্ট। ২০ অক্টোবর (সোমবার) রাজধানী কুয়ালালামপুরের আম্পাংয়ে দিনব্যাপী এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশি দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি (২০২৫) ফলাফল সন্তোষজনক হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০২৫ সালের শ্রমশক্তি প্রবৃদ্ধি সূচকে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এ ছাড়া পাঁচটি অন্য সূচকে শীর্ষ পাঁচে অবস্থান করেছে, যার মধ্যে রয়েছে শ্রমশক্তির শতাংশে বিশ্বে ২য় স্থান এবং বিদেশি শ্রমশক্তির শতাংশে বিশ্বে ২য় স্থান।