
বিডিজেন ডেস্ক

সৌদি আরব ৩ দিনে ১৭ জন অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। বিষয়টি মানবাধিকার সংস্থা ও সার্বিকভাবে, আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার (৪ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, সোমবার 'সন্ত্রাসী কার্যক্রমে' জড়িত থাকার অভিযোগে ২ সৌদি নাগরিককে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার ৭ ও রোববার আরও ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে রিয়াদ। তাদের বেশির ভাগই বিদেশি নাগরিক। শনি ও রোববার মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অভিযুক্তরা সবাই মাদকসংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগে এই শাস্তি পায়।
২০২২ সালের মার্চের পর সৌদি আরবে এত কম সময়ে এত বেশি মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নজির এটাই প্রথম।
সেবার সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িতের অভিযোগে এক দিনেই ৮১ ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এটি সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও তা আন্তর্জাতিক মহলের নিন্দা কুড়ায়।
শনিবার ও রোববার মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ১৫ অপরাধীর বিরুদ্ধে হাশিশ পাচার (গাঁজার মতো এক ধরনের মাদক) ও অপর একজনের বিরুদ্ধে কোকেন পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
এ বছর এখন পর্যন্ত সৌদি আরব সরকার ২৩৯ ব্যক্তিকে ফাঁসি দিয়েছে।
মুসলিমপ্রধান দেশটিতে গত বছর মোট ৩৩৮ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। ৯০ এর দশক থেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আনুষ্ঠানিক নথি সংরক্ষণের প্রচলন হওয়ার পর এটাই এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রেকর্ড। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ বছর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড তৈরি হতে পারে।
এ বছর মাদকসংক্রান্ত অপরাধে ১৬১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া মানুষের মধ্যে ১৩৬ জনই বিদেশি নাগরিক।
আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে এএফপি এ বিষয়গুলো জানতে পেরেছে।
রিপ্রাইভ রাইটস গ্রুপ নামের মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তা জিদ বাসিওউনি গত সপ্তাহে উল্লেখ করেন, সৌদি আরবে মাদক পাচার (বিশেষত, হাশিশ) সংক্রান্ত অপরাধে বিদেশি নাগরিকদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার হঠাৎ করেই বেড়েছে।
তিনি এএফপিকে জানান, বিশ্বজুড়ে ব্যক্তিগত বিনোদনের জন্য পরিমিত পরিমাণে হাশিশ বা গাঁজা সেবনকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সঙ্গে হাশিশ রাখা বা সেবনের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিষয়টি নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক।
২০২৩ সালে সৌদি কর্তৃপক্ষ 'মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ' শুরু করে। বিশ্লেষকদের মতে, ওই নীতির অংশ হিসেবে সে সময় অসংখ্য মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখন আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার হিড়িক পড়েছে।
টানা তিন বছর মাদকসংক্রান্ত অপরাধে ফাঁসি দেওয়া বন্ধ রাখলেও ২০২২ থেকে আবারও ওই অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান চালু করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে তখনই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় যখন তিনি সব ধরনের আপিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেয়েও নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও দেশকে মাদক মুক্ত রাখার লক্ষ্যের অংশ হিসেবে মাদকসংক্রান্ত অপরাধে দোষী প্রমাণিত ব্যক্তিদের ফাঁসি দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
অধিকারকর্মীদের মতে, এভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি আরব তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। দেশটির বর্তমান শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের '২০৩০ ভিশন' নামের সংস্কার কার্যক্রমের সঙ্গেও এ ধরনের কার্যক্রম সাংঘর্ষিক বলে তারা মত দেন।

সৌদি আরব ৩ দিনে ১৭ জন অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। বিষয়টি মানবাধিকার সংস্থা ও সার্বিকভাবে, আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার (৪ আগস্ট) এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, সোমবার 'সন্ত্রাসী কার্যক্রমে' জড়িত থাকার অভিযোগে ২ সৌদি নাগরিককে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে শনিবার ৭ ও রোববার আরও ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে রিয়াদ। তাদের বেশির ভাগই বিদেশি নাগরিক। শনি ও রোববার মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অভিযুক্তরা সবাই মাদকসংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগে এই শাস্তি পায়।
২০২২ সালের মার্চের পর সৌদি আরবে এত কম সময়ে এত বেশি মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নজির এটাই প্রথম।
সেবার সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িতের অভিযোগে এক দিনেই ৮১ ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এটি সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও তা আন্তর্জাতিক মহলের নিন্দা কুড়ায়।
শনিবার ও রোববার মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ১৫ অপরাধীর বিরুদ্ধে হাশিশ পাচার (গাঁজার মতো এক ধরনের মাদক) ও অপর একজনের বিরুদ্ধে কোকেন পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
এ বছর এখন পর্যন্ত সৌদি আরব সরকার ২৩৯ ব্যক্তিকে ফাঁসি দিয়েছে।
মুসলিমপ্রধান দেশটিতে গত বছর মোট ৩৩৮ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। ৯০ এর দশক থেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আনুষ্ঠানিক নথি সংরক্ষণের প্রচলন হওয়ার পর এটাই এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রেকর্ড। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ বছর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড তৈরি হতে পারে।
এ বছর মাদকসংক্রান্ত অপরাধে ১৬১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া মানুষের মধ্যে ১৩৬ জনই বিদেশি নাগরিক।
আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে এএফপি এ বিষয়গুলো জানতে পেরেছে।
রিপ্রাইভ রাইটস গ্রুপ নামের মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তা জিদ বাসিওউনি গত সপ্তাহে উল্লেখ করেন, সৌদি আরবে মাদক পাচার (বিশেষত, হাশিশ) সংক্রান্ত অপরাধে বিদেশি নাগরিকদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হার হঠাৎ করেই বেড়েছে।
তিনি এএফপিকে জানান, বিশ্বজুড়ে ব্যক্তিগত বিনোদনের জন্য পরিমিত পরিমাণে হাশিশ বা গাঁজা সেবনকে বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সঙ্গে হাশিশ রাখা বা সেবনের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিষয়টি নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক।
২০২৩ সালে সৌদি কর্তৃপক্ষ 'মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ' শুরু করে। বিশ্লেষকদের মতে, ওই নীতির অংশ হিসেবে সে সময় অসংখ্য মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। এখন আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার হিড়িক পড়েছে।
টানা তিন বছর মাদকসংক্রান্ত অপরাধে ফাঁসি দেওয়া বন্ধ রাখলেও ২০২২ থেকে আবারও ওই অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান চালু করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে তখনই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় যখন তিনি সব ধরনের আপিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেয়েও নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও দেশকে মাদক মুক্ত রাখার লক্ষ্যের অংশ হিসেবে মাদকসংক্রান্ত অপরাধে দোষী প্রমাণিত ব্যক্তিদের ফাঁসি দেওয়া হয় বলে দাবি করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
অধিকারকর্মীদের মতে, এভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি আরব তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। দেশটির বর্তমান শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের '২০৩০ ভিশন' নামের সংস্কার কার্যক্রমের সঙ্গেও এ ধরনের কার্যক্রম সাংঘর্ষিক বলে তারা মত দেন।
২০২৫ সালে দেশটির গোল্ডেন ভিসা ও ভ্রমণ ভিসা প্রকল্পের অধীনে নতুন আরও কিছু ক্যাটাগরি নিয়ে এসেছে। যার মধ্যে আবেদন ও যোগ্যতার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে পর্যটক, পেশাজীবী ও বাসিন্দারা কীভাবে দেশটিতে প্রবেশ করবেন সেটির নিয়মবালি যুক্ত করা হয়েছে।
সভায় দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ ভোটারদের কঠোরভাবে সতর্ক করে বলেন, কাকে ভোট দেওয়া হয়েছে, সেই তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা বা অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না। ব্যালটকে তিনি একজন ভোটারের গোপনীয় আমানত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এর ব্যবহার অবশ্যই দায়িত্বশীলভাবে করতে হবে।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই ঘটনার ভিন্ন আরেকটি অনুসন্ধানে জানা গেছে, চীন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামে প্রতারকেরা প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে। এমনকি টাকার বিনিময়ে তারা প্রশ্নপত্রগুলো বিক্রি করেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সকল মসজিদে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে জুমার নামাজের নতুন সময়সূচি ঘোষণা করেছে দেশটির ইসলামিক বিষয়ক সরকারি সংস্থা জেনারেল অথরিটি ফর ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ডোমেনটস ও যাকাত (আওকাফ)।

সভায় দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ ভোটারদের কঠোরভাবে সতর্ক করে বলেন, কাকে ভোট দেওয়া হয়েছে, সেই তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা বা অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না। ব্যালটকে তিনি একজন ভোটারের গোপনীয় আমানত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এর ব্যবহার অবশ্যই দায়িত্বশীলভাবে করতে হবে।
১৭ ঘণ্টা আগে