বিডিজেন ডেস্ক
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে বলিউডের তিন মহাতারকা–শাহরুখ খান, সালমান খান ও আমির খান এক মঞ্চে এলেন। মুগ্ধ করলেন দর্শকদের। হাস্যরস, আত্মসমালোচনা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার আবহে তারা কথা বলেন তারকাখ্যাতি, তাদের যাত্রা ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে। সালমান তো বলেই ফেললেন, ‘আমরা কেউ নিজেদের তারকা ভাবি না।’
সালমান বলেন, ‘আমাদের কেউই নিজেদের তারকা বলি না। সাংবাদিকেরা হয়তো লেখেন–“সালমান খান, তারকা” বা “আমির খান, সুপার ডুপার স্টার”। কিন্তু আমরা তা বিশ্বাস করি না। বাড়িতে আমরা একদম সবার মতোই। আজও বাবা-মা আমাকে বকাঝকা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিচিতি আমরা পাই পরিচালক, চিত্রগ্রাহক, চিত্রনাট্যকার, আর সবচেয়ে বড় কথা, দর্শকদের কাছ থেকে। তারাই আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে আজকের “সালমান খান” বানিয়েছেন।’
আমাদের তারকাখ্যাতি দর্শকদের ভালোবাসা থেকেই–শাহরুখ খান
শাহরুখ খান বলেন, ‘আমির খুব সংগঠিত ও পরিপূর্ণতার সাধক। তিনি গল্প বলার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। সালমান কাজ করেন মন থেকে, একদম নিজের ঢঙে। আমি চেষ্টা করি দুজনের গুণ মিশিয়ে নিতে। কিন্তু আমাদের তিনজনের এবং আমাদের পরের প্রজন্মের তারকাদের মাঝেও একটা সাধারণ বিষয় আছে– সেটা হলো দর্শকদের সঙ্গে আবেগের সম্পর্ক।’
তিনি যোগ করেন, ‘হয়তো আমাদের সংস্কৃতির কারণেই এমন হয়। আমরা ভারতীয়, তাই গল্প যেমনই হোক–ভালো, খারাপ, ধনী, দরিদ্র প্রতিটি চরিত্রেই একটা পারিবারিক সংযোগ থাকে। এই আবেগের বন্ধন ভাষা ও সীমান্তের গণ্ডি পেরিয়ে যায়।’
৬০-এ পা রাখতে চলা শাহরুখ বলেন, ‘আমি নিজেকে দর্শকদের সেবায় নিয়োজিত মনে করি। আমার কাজ হলো তাদের বিনোদন দেওয়া। গত ৩৫ বছর ধরে যে ভালোবাসা ও সমর্থন তারা আমাকে দিয়েছেন, তার জন্য আমি আজীবন কৃতজ্ঞ। আমি এখনো সালমানের দিকে তাকিয়ে অনুপ্রেরণা নিই। তারা অনুকরণীয়, অনুপ্রেরণাদায়ক। আর আমি কৃতজ্ঞ যে আজ একই মঞ্চে তাদের পাশে বসতে পারছি।’
সবটাই ভাগ্য ও সময়ের খেলা– আমির খান
আমির খান বলেন, ‘আমাদের তিনজনের তারকাখ্যাতি কীভাবে এল, তা আসলে ব্যাখ্যা করা কঠিন। হয়তো আমরা সৌভাগ্যবান যে ভারতে জন্মেছি। সেখানে হিন্দি সিনেমার অংশ হতে পেরেছি। অন্য কোথাও জন্মালে হয়তো এই অবস্থানে থাকতাম না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সুযোগ, সঠিক সময় আর সঠিক জায়গায় থাকা–এসবই গুরুত্বপূর্ণ। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। কিন্তু ভাগ্যের অনুকূল্যও বড় ভূমিকা রাখে।’
শাহরুখের রসিকতা ও সালমানের ঠাট্টা
সালমান খান বলেন, ‘আমির আর আমি দুজনেই চলচ্চিত্র পরিবার থেকে এসেছি। কিন্তু শাহরুখ–সে তো দিল্লির ছেলে, তার পেছনে কেউ ছিল না।’ এতে শাহরুখ হেসে জবাব দেন, ‘না, সালমান, তুমি ভুল বলছো। আমিও চলচ্চিত্র পরিবার থেকেই এসেছি। সালমানের পরিবারই আমার পরিবার। আমিরের পরিবারও আমার পরিবার।’ এ কথায় দর্শকদের মধ্যে হাসির রোল পড়ে।
এ সময় আমির মজা করে বলেন, ‘এই কারণেই শাহরুখ আজও তারকা!’
আমির আরও বলেন, ‘আমাদের তিনজনের মধ্যে আমি হয়তো সবচেয়ে অলস তারকা। আমি কোণায় চুপচাপ থাকতে ভালোবাসি, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে আমার অস্বস্তি হয়।’
একসঙ্গে কাজ করা মানেই স্বপ্ন– শাহরুখ খান
আলোচনার শেষভাগে শাহরুখ খান এক বহুল প্রত্যাশিত সহযোগিতার ইঙ্গিত দেন। বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমি অপেক্ষায় আছি। এখন বলতেই হয়, আমরা তিনজন যদি একসঙ্গে কোনো ছবিতে কাজ করি, সেটা হবে এক স্বপ্ন! আশা করি, দুঃস্বপ্ন নয় (হাসি)। ইনশাআল্লাহ, যখনই সঠিক গল্প আর সময় মিলবে, আমরা কিছু করব।’
সালমান তখন হাসতে হাসতে বলেন, ‘শাহরুখের একটা কথা আছে–সে সব জায়গায় বলে, কেউ আমাদের তিনজনকে একসঙ্গে কাস্ট করার সামর্থ্য রাখে না। এবার সেটা এখানেই বলো।’
শাহরুখ জবাব দেন, ‘আমি সেটা সৌদি আরবে বলতে চাই না। কারণ সবাই উঠে বলবে—‘হাবিবি, ডান! ডান! ডান!’ (হাসি)। তবে ‘সামর্থ্য’ মানে শুধু টাকা নয়–আমাদের সময়, খামখেয়ালিপনা, কাজের ধরন—সবকিছু মিলেই তা কঠিন। আমরা এত মজা করি যে কোনো পরিচালকই হয়তো আমাদের কাজ শুরু করতে বলবে!’
আমির খান শেষে বলেন, ‘আমরা তিনজনই এখন মানসিকভাবে প্রস্তুত। শুধু প্রয়োজন সঠিক চিত্রনাট্যের। যখন সেই গল্প পাওয়া যাবে, তখনই কাজটা হবে—আর গল্পটাই হবে আমাদের এক হওয়ার কেন্দ্রবিন্দু।’
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে বলিউডের তিন মহাতারকা–শাহরুখ খান, সালমান খান ও আমির খান এক মঞ্চে এলেন। মুগ্ধ করলেন দর্শকদের। হাস্যরস, আত্মসমালোচনা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার আবহে তারা কথা বলেন তারকাখ্যাতি, তাদের যাত্রা ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা নিয়ে। সালমান তো বলেই ফেললেন, ‘আমরা কেউ নিজেদের তারকা ভাবি না।’
সালমান বলেন, ‘আমাদের কেউই নিজেদের তারকা বলি না। সাংবাদিকেরা হয়তো লেখেন–“সালমান খান, তারকা” বা “আমির খান, সুপার ডুপার স্টার”। কিন্তু আমরা তা বিশ্বাস করি না। বাড়িতে আমরা একদম সবার মতোই। আজও বাবা-মা আমাকে বকাঝকা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিচিতি আমরা পাই পরিচালক, চিত্রগ্রাহক, চিত্রনাট্যকার, আর সবচেয়ে বড় কথা, দর্শকদের কাছ থেকে। তারাই আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে আজকের “সালমান খান” বানিয়েছেন।’
আমাদের তারকাখ্যাতি দর্শকদের ভালোবাসা থেকেই–শাহরুখ খান
শাহরুখ খান বলেন, ‘আমির খুব সংগঠিত ও পরিপূর্ণতার সাধক। তিনি গল্প বলার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। সালমান কাজ করেন মন থেকে, একদম নিজের ঢঙে। আমি চেষ্টা করি দুজনের গুণ মিশিয়ে নিতে। কিন্তু আমাদের তিনজনের এবং আমাদের পরের প্রজন্মের তারকাদের মাঝেও একটা সাধারণ বিষয় আছে– সেটা হলো দর্শকদের সঙ্গে আবেগের সম্পর্ক।’
তিনি যোগ করেন, ‘হয়তো আমাদের সংস্কৃতির কারণেই এমন হয়। আমরা ভারতীয়, তাই গল্প যেমনই হোক–ভালো, খারাপ, ধনী, দরিদ্র প্রতিটি চরিত্রেই একটা পারিবারিক সংযোগ থাকে। এই আবেগের বন্ধন ভাষা ও সীমান্তের গণ্ডি পেরিয়ে যায়।’
৬০-এ পা রাখতে চলা শাহরুখ বলেন, ‘আমি নিজেকে দর্শকদের সেবায় নিয়োজিত মনে করি। আমার কাজ হলো তাদের বিনোদন দেওয়া। গত ৩৫ বছর ধরে যে ভালোবাসা ও সমর্থন তারা আমাকে দিয়েছেন, তার জন্য আমি আজীবন কৃতজ্ঞ। আমি এখনো সালমানের দিকে তাকিয়ে অনুপ্রেরণা নিই। তারা অনুকরণীয়, অনুপ্রেরণাদায়ক। আর আমি কৃতজ্ঞ যে আজ একই মঞ্চে তাদের পাশে বসতে পারছি।’
সবটাই ভাগ্য ও সময়ের খেলা– আমির খান
আমির খান বলেন, ‘আমাদের তিনজনের তারকাখ্যাতি কীভাবে এল, তা আসলে ব্যাখ্যা করা কঠিন। হয়তো আমরা সৌভাগ্যবান যে ভারতে জন্মেছি। সেখানে হিন্দি সিনেমার অংশ হতে পেরেছি। অন্য কোথাও জন্মালে হয়তো এই অবস্থানে থাকতাম না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সুযোগ, সঠিক সময় আর সঠিক জায়গায় থাকা–এসবই গুরুত্বপূর্ণ। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। কিন্তু ভাগ্যের অনুকূল্যও বড় ভূমিকা রাখে।’
শাহরুখের রসিকতা ও সালমানের ঠাট্টা
সালমান খান বলেন, ‘আমির আর আমি দুজনেই চলচ্চিত্র পরিবার থেকে এসেছি। কিন্তু শাহরুখ–সে তো দিল্লির ছেলে, তার পেছনে কেউ ছিল না।’ এতে শাহরুখ হেসে জবাব দেন, ‘না, সালমান, তুমি ভুল বলছো। আমিও চলচ্চিত্র পরিবার থেকেই এসেছি। সালমানের পরিবারই আমার পরিবার। আমিরের পরিবারও আমার পরিবার।’ এ কথায় দর্শকদের মধ্যে হাসির রোল পড়ে।
এ সময় আমির মজা করে বলেন, ‘এই কারণেই শাহরুখ আজও তারকা!’
আমির আরও বলেন, ‘আমাদের তিনজনের মধ্যে আমি হয়তো সবচেয়ে অলস তারকা। আমি কোণায় চুপচাপ থাকতে ভালোবাসি, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে আমার অস্বস্তি হয়।’
একসঙ্গে কাজ করা মানেই স্বপ্ন– শাহরুখ খান
আলোচনার শেষভাগে শাহরুখ খান এক বহুল প্রত্যাশিত সহযোগিতার ইঙ্গিত দেন। বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমি অপেক্ষায় আছি। এখন বলতেই হয়, আমরা তিনজন যদি একসঙ্গে কোনো ছবিতে কাজ করি, সেটা হবে এক স্বপ্ন! আশা করি, দুঃস্বপ্ন নয় (হাসি)। ইনশাআল্লাহ, যখনই সঠিক গল্প আর সময় মিলবে, আমরা কিছু করব।’
সালমান তখন হাসতে হাসতে বলেন, ‘শাহরুখের একটা কথা আছে–সে সব জায়গায় বলে, কেউ আমাদের তিনজনকে একসঙ্গে কাস্ট করার সামর্থ্য রাখে না। এবার সেটা এখানেই বলো।’
শাহরুখ জবাব দেন, ‘আমি সেটা সৌদি আরবে বলতে চাই না। কারণ সবাই উঠে বলবে—‘হাবিবি, ডান! ডান! ডান!’ (হাসি)। তবে ‘সামর্থ্য’ মানে শুধু টাকা নয়–আমাদের সময়, খামখেয়ালিপনা, কাজের ধরন—সবকিছু মিলেই তা কঠিন। আমরা এত মজা করি যে কোনো পরিচালকই হয়তো আমাদের কাজ শুরু করতে বলবে!’
আমির খান শেষে বলেন, ‘আমরা তিনজনই এখন মানসিকভাবে প্রস্তুত। শুধু প্রয়োজন সঠিক চিত্রনাট্যের। যখন সেই গল্প পাওয়া যাবে, তখনই কাজটা হবে—আর গল্পটাই হবে আমাদের এক হওয়ার কেন্দ্রবিন্দু।’
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (২০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বাদ মাগরিব বয়স্ক কোরআন শিক্ষার শিক্ষার্থী জাকির হোসেনের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে কোরআন তুলে দেন বয়স্ক কোরআন শিক্ষার প্রিন্সিপাল গোলাম কিবরিয়া ও শিক্ষক সাইফুল খাদেম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদীপ প্রজ্জ্বালনের মাধ্যমে নিহতদের স্মরণ করা হয়। প্রদীপ প্রজ্বালন করেন জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার প্রবীণ সদস্যরা। পরে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে সকলে এক মিনিট নীরব প্রার্থনা করেন। এরপর ভক্তিগীতি ও কোরাস গেয়ে ওই ঘটনার তাৎপর্য ফুটিয়ে তোলা হয়।
আলোচনার শেষভাগে শাহরুখ খান এক বহুল প্রত্যাশিত সহযোগিতার ইঙ্গিত দেন। বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমি অপেক্ষায় আছি। এখন বলতেই হয়, আমরা তিনজন যদি একসঙ্গে কোনো ছবিতে কাজ করি, সেটা হবে এক স্বপ্ন! আশা করি, দুঃস্বপ্ন নয় (হাসি)। ইনশাআল্লাহ, যখনই সঠিক গল্প আর সময় মিলবে, আমরা কিছু করব।
অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ছিল স্তন ক্যানসার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলাপ এবং অস্ট্রেলিয়ান ব্রেস্ট ক্যানসার ট্রাইলের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রদীপ প্রজ্জ্বালনের মাধ্যমে নিহতদের স্মরণ করা হয়। প্রদীপ প্রজ্বালন করেন জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার প্রবীণ সদস্যরা। পরে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করে সকলে এক মিনিট নীরব প্রার্থনা করেন। এরপর ভক্তিগীতি ও কোরাস গেয়ে ওই ঘটনার তাৎপর্য ফুটিয়ে তোলা হয়।
২০ ঘণ্টা আগে