বিডিজেন ডেস্ক
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি রোববার (১৩ অক্টোবর) বলেছেন, তার দেশ একটি ‘যুদ্ধ পরিস্থিতির’ জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তবে ‘তার সরকার শান্তি চায়’- এ কথার ওপর জোর দেন তিনি।
তেহরান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ইরাক সফরে যাওয়ার সময় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আমরা যুদ্ধে ভীত নই। কিন্তু আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা শান্তি চাই এবং আমরা গাজা ও লেবাননে একটি ন্যায়সঙ্গত শান্তির জন্য কাজ করব।’
এদিকে ইরানের হামলার জবাবে আবার পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। বড় পরিসরে এই হামলা হবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে আমেরিকার দাবি, এই হামলা বড় পরিসরে হবে না। দেশটি বলছে, ইরানের সামরিক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল।
সংবাদমাধ্যম এনবিসির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, শনিবার এসব তথ্য দিয়েছেন মার্কিন প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। তবে আমেরিকার এই মন্তব্যের ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি ইসরায়েল প্রশাসন।
গাজায় হামাস ও লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েল। এর মধ্যেই বেশ কয়েকবার ইরান থেকে হামলা হয় ইসরায়েলে। এ নিয়ে ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব চরমে। এবারের হামলার পর ইসরায়েল হুঁশিয়ার করে বলছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যারেজে হামলা করবে তারা।
তবে ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচির জায়গায় ইসরায়েল হামলা চালাবে না বলেই মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়। কর্মকর্তারা বলেন, কখন ও কীভাবে হামলা চালানো হবে, এ ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি নেতানিয়াহু প্রশাসন। তবে, কয়েকজন বলছেন, ইওম কিপুরের ছুটিতেই হামলা হতে পারে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর থেকে গাজায় অনবরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এ ছাড়া লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে হামলা ও পাল্টা হামলায় জড়ায় ইসরায়েল।
এর মধ্যেই আবার ইরান থেকে হামলা হলো। এর জবাবে ইসরায়েল কী করে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
এদিকে নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, আমেরিকা ইসরায়েলে একটি উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠাচ্ছে এবং এটি পরিচালনার জন্য প্রায় এক শ মার্কিন সেনা মোতায়েন করবে বলে পেন্টাগন রবিবার ঘোষণা করেছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড জে. অস্টিনকে টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স সিস্টেম বা থাড এবং এর ক্রু মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন। পেন্টাগন প্রেস সেক্রেটারি মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার রবিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন।
বাইডেনের এই সর্বশেষ পদক্ষেপ আমেরিকান সৈন্যদের মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান যুদ্ধের ঝুঁকির কাছাকাছি নিয়ে যাবে। গত ১ অক্টোবর ইরান ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ প্রায় দু শ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এরপরই ইসরায়েল প্রতিশোধমূলক হামলার পরিকল্পনা করে আসছে। এরই মাঝে এল আমেরিকার অস্ত্র সরবরাহের খবর।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন রবিবার বলেন, তিনি পেন্টাগনকে ‘ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য সিস্টেমটি মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন।’ জেনারেল রাইডার তার বিবৃতিতে বলেছেন যে ব্যাটারি ‘ইসরায়েলের সমন্বিত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বাড়িয়ে তুলবে।’ রবিবার ঘোষণা করা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং সৈন্যরা কত দ্রুত ইসরায়েলে পৌঁছাবে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই পদক্ষেপ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা এবং ইসরায়েলে আমেরিকানদের রক্ষা করার জন্য মার্কিন সরকারের প্রতিশ্রুতিকে স্পষ্ট করে। ইরানের আর কোনো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে তা তাদের রক্ষা করবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষাকে সমর্থন করার জন্য এবং ইরান ও ইরানপন্থী মিলিশিয়াদের আক্রমণ থেকে আমেরিকানদের রক্ষা করার জন্য সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন সামরিক বাহিনী যে বিস্তৃত সমন্বয় করেছে, এটা তার অংশ।
পেন্টাগন গত মাসের শেষের দিকে বলেছিল যে তারা এই অঞ্চলে কয়েক হাজার আমেরিকান সৈন্য পাঠাবে। কারণ ইসরায়েল লেবাননে হিজবুল্লাহর ওপর আক্রমণ তীব্র করেছে। একজন কর্মকর্তা এই সংখ্যাকে দুই থেকে তিন হাজার বলে উল্লেখ করেছিলেন। গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে হামলার কয়েক সপ্তাহ পরে আমেরিকা অন্যান্য বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাথে একটি থাড ব্যাটারিও এই অঞ্চলে পাঠিয়েছে।
গত শনিবার অস্টিন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সাথে কথা বলেন। তিনি লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা অবস্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি চালানোর পাশাপাশি দুই লেবানিজ সৈন্যের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি রোববার (১৩ অক্টোবর) বলেছেন, তার দেশ একটি ‘যুদ্ধ পরিস্থিতির’ জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তবে ‘তার সরকার শান্তি চায়’- এ কথার ওপর জোর দেন তিনি।
তেহরান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ইরাক সফরে যাওয়ার সময় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আমরা যুদ্ধে ভীত নই। কিন্তু আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা শান্তি চাই এবং আমরা গাজা ও লেবাননে একটি ন্যায়সঙ্গত শান্তির জন্য কাজ করব।’
এদিকে ইরানের হামলার জবাবে আবার পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। বড় পরিসরে এই হামলা হবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে আমেরিকার দাবি, এই হামলা বড় পরিসরে হবে না। দেশটি বলছে, ইরানের সামরিক ও জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল।
সংবাদমাধ্যম এনবিসির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, শনিবার এসব তথ্য দিয়েছেন মার্কিন প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। তবে আমেরিকার এই মন্তব্যের ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি ইসরায়েল প্রশাসন।
গাজায় হামাস ও লেবাননে হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েল। এর মধ্যেই বেশ কয়েকবার ইরান থেকে হামলা হয় ইসরায়েলে। এ নিয়ে ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব চরমে। এবারের হামলার পর ইসরায়েল হুঁশিয়ার করে বলছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যারেজে হামলা করবে তারা।
তবে ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু কর্মসূচির জায়গায় ইসরায়েল হামলা চালাবে না বলেই মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়। কর্মকর্তারা বলেন, কখন ও কীভাবে হামলা চালানো হবে, এ ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি নেতানিয়াহু প্রশাসন। তবে, কয়েকজন বলছেন, ইওম কিপুরের ছুটিতেই হামলা হতে পারে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপর থেকে গাজায় অনবরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এ ছাড়া লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে হামলা ও পাল্টা হামলায় জড়ায় ইসরায়েল।
এর মধ্যেই আবার ইরান থেকে হামলা হলো। এর জবাবে ইসরায়েল কী করে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
এদিকে নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, আমেরিকা ইসরায়েলে একটি উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠাচ্ছে এবং এটি পরিচালনার জন্য প্রায় এক শ মার্কিন সেনা মোতায়েন করবে বলে পেন্টাগন রবিবার ঘোষণা করেছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড জে. অস্টিনকে টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স সিস্টেম বা থাড এবং এর ক্রু মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন। পেন্টাগন প্রেস সেক্রেটারি মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার রবিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন।
বাইডেনের এই সর্বশেষ পদক্ষেপ আমেরিকান সৈন্যদের মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান যুদ্ধের ঝুঁকির কাছাকাছি নিয়ে যাবে। গত ১ অক্টোবর ইরান ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ প্রায় দু শ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এরপরই ইসরায়েল প্রতিশোধমূলক হামলার পরিকল্পনা করে আসছে। এরই মাঝে এল আমেরিকার অস্ত্র সরবরাহের খবর।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন রবিবার বলেন, তিনি পেন্টাগনকে ‘ইসরায়েলকে রক্ষা করার জন্য সিস্টেমটি মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন।’ জেনারেল রাইডার তার বিবৃতিতে বলেছেন যে ব্যাটারি ‘ইসরায়েলের সমন্বিত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বাড়িয়ে তুলবে।’ রবিবার ঘোষণা করা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং সৈন্যরা কত দ্রুত ইসরায়েলে পৌঁছাবে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই পদক্ষেপ ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা এবং ইসরায়েলে আমেরিকানদের রক্ষা করার জন্য মার্কিন সরকারের প্রতিশ্রুতিকে স্পষ্ট করে। ইরানের আর কোনো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে তা তাদের রক্ষা করবে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলের আত্মরক্ষাকে সমর্থন করার জন্য এবং ইরান ও ইরানপন্থী মিলিশিয়াদের আক্রমণ থেকে আমেরিকানদের রক্ষা করার জন্য সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন সামরিক বাহিনী যে বিস্তৃত সমন্বয় করেছে, এটা তার অংশ।
পেন্টাগন গত মাসের শেষের দিকে বলেছিল যে তারা এই অঞ্চলে কয়েক হাজার আমেরিকান সৈন্য পাঠাবে। কারণ ইসরায়েল লেবাননে হিজবুল্লাহর ওপর আক্রমণ তীব্র করেছে। একজন কর্মকর্তা এই সংখ্যাকে দুই থেকে তিন হাজার বলে উল্লেখ করেছিলেন। গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে হামলার কয়েক সপ্তাহ পরে আমেরিকা অন্যান্য বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাথে একটি থাড ব্যাটারিও এই অঞ্চলে পাঠিয়েছে।
গত শনিবার অস্টিন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সাথে কথা বলেন। তিনি লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা অবস্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি চালানোর পাশাপাশি দুই লেবানিজ সৈন্যের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত নিরাপত্তা আইন মেনে চলা নিশ্চিত করতে এ অভিযান চালানো হয়েছে।
কুয়েতের একটি তদন্ত কমিটি ২ হাজার ৮৯৯ কুয়েতির নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। এ সিদ্ধান্তটি এখন অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদের কাছে পাঠানো হবে।
কুয়েতে ১০ হাজার নার্স নিয়োগে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ থেকে তালিকা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।
সৌদি রেড ক্রিসেন্টের মদিনা শাখার পরিচালক ডা. আহমেদ বিন আলী আল জাহরানির ও মদিনা অঞ্চলের গভর্নর প্রিন্স সালমান বিন সুলতান বিন আব্দুলাজিজ আনুষ্ঠানিকভাবে এই সার্ভিসটির উদ্বোধন করেন।