বিডিজেন ডেস্ক
চলতি মাসের শেষের দিকে রাশিয়ায় অনুষ্ঠেয় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন না সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।
ক্রেমলিনের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
২০০৯ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে গঠিত হয় ব্রিকস জোট। ২০২৩ সালের আগস্টে এই জোটে যোগদানের আমন্ত্রণ পায় ৬ দেশ সৌদি আরব, ইরান, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইথিওপিয়া ও আর্জেন্টিনা।
এর মধ্যে ইথিওপিয়া, ইরান, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত চলতি বছর জানুয়ারিতে জোটে যোগ দিয়েছে। সৌদি আরব যোগ দিয়েছিল কি না তা নিয়ে ধোয়াঁশা আছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পররাষ্ট্রনীতির সহযোগী ইউরি উশাকভ বলেছেন, ব্রিকসের ১০ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ৯ দেশের সরকারপ্রধান রাশিয়ার কাজান শহরে (২২–২৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠেয় এই শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। সৌদি আরবের যুবরাজ অংশ না নিলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ তাঁর প্রতিনিধিত্ব করবেন।
তবে কী কারণে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্মেলনে যোগ দেবেন না, তা জানাননি এই রুশ কূটনৈতিক। সেপ্টেম্বর মাসে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছিলেন, রাশিয়া সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এ বিষয় ওয়াকিবহাল দুটি সূত্র জানুয়ারিতে রয়টার্সকে জানায়, রিয়াদ এখনো ব্রিকসে যোগদানের আমন্ত্রণটি বিবেচনা করছে। তাঁদের মধ্যে একজন বলেছিলেন, ব্লকে যোগ দেওয়ার সুবিধা রয়েছে।
সৌদি সরকারি সূত্র ফেব্রুয়ারিতে রয়টার্সকে বলেছিল, সৌদি আরব এখনো যোগদানের আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি এবং বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
এদিকে বেইজিংয়ের সঙ্গে সৌদি আরবের সাম্প্রতিক সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের মিত্র ওয়াশিংটনের মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রিয়াদ-ওয়াশিংটনের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।
ইউরি উশাকভ বলেন, ব্রিকস এমন একটি জোট, যা উপেক্ষা করা যায় না। এই জোটে যোগদান থেকে বিরত থাকতে পশ্চিম অনেক দেশকেই চাপ দিচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ব্রিকসের সদস্যরা বিশ্বের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ। তেল উৎপাদনের প্রায় ৪০ শতাংশ এবং বৈশ্বিক পণ্য রপ্তানির প্রায় এক–চতুর্থাংশ।
গোল্ডম্যান শ্যাক্সের অর্থনীতিবিদ জিম ও’নিল ২০০৩ সালে প্রথম ‘ব্রিক’ শব্দটির নতুন অর্থের সূচনা করেন। যেখানে তিনি ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনের অর্থনীতি আগামী অর্ধশতাব্দীতে কীভাবে পশ্চিমা অর্থনীতির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং অতিক্রম করতে পারে তা ব্যাখ্যা করেন।
এদিকে এর আগে ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি রয়টার্স পরিবেশিত এক খবরে বলা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ব্রিকসের ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে এই ৫ দেশ ও আর্জেন্টিনাকে জোটের পূর্ণ সদস্য হতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই ছয় দেশের সদস্যপদ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী নালেদি পান্দর (৩১ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ব্রিকসের সভাপতির পদ আমরা (দক্ষিণ আফ্রিকা) রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করেছি। সৌদি আরব, ইরান, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইথিওপিয়া-এই পাঁচ দেশের পূর্ণ সদস্য হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
মন্ত্রী নালেদি পান্দর আরও জানান, ব্রিকসের পূর্ণ সদস্য হওয়ার আবেদনপ্রক্রিয়া এগিয়ে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জ্যাভিয়ার মিলেই শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) জানান, তার দেশ ব্রিকসের সদস্য হবে না।
মূলত পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার জন্য পররাষ্ট্রনীতিতে বাঁকবদল ঘটানোর প্রতিশ্রুতি পূরণে আর্জেন্টিনা ব্রিকসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা কমাতে চাইছে।
চলতি মাসের শেষের দিকে রাশিয়ায় অনুষ্ঠেয় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন না সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।
ক্রেমলিনের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
২০০৯ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে গঠিত হয় ব্রিকস জোট। ২০২৩ সালের আগস্টে এই জোটে যোগদানের আমন্ত্রণ পায় ৬ দেশ সৌদি আরব, ইরান, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইথিওপিয়া ও আর্জেন্টিনা।
এর মধ্যে ইথিওপিয়া, ইরান, মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত চলতি বছর জানুয়ারিতে জোটে যোগ দিয়েছে। সৌদি আরব যোগ দিয়েছিল কি না তা নিয়ে ধোয়াঁশা আছে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পররাষ্ট্রনীতির সহযোগী ইউরি উশাকভ বলেছেন, ব্রিকসের ১০ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ৯ দেশের সরকারপ্রধান রাশিয়ার কাজান শহরে (২২–২৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠেয় এই শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন। সৌদি আরবের যুবরাজ অংশ না নিলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ তাঁর প্রতিনিধিত্ব করবেন।
তবে কী কারণে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্মেলনে যোগ দেবেন না, তা জানাননি এই রুশ কূটনৈতিক। সেপ্টেম্বর মাসে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছিলেন, রাশিয়া সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এ বিষয় ওয়াকিবহাল দুটি সূত্র জানুয়ারিতে রয়টার্সকে জানায়, রিয়াদ এখনো ব্রিকসে যোগদানের আমন্ত্রণটি বিবেচনা করছে। তাঁদের মধ্যে একজন বলেছিলেন, ব্লকে যোগ দেওয়ার সুবিধা রয়েছে।
সৌদি সরকারি সূত্র ফেব্রুয়ারিতে রয়টার্সকে বলেছিল, সৌদি আরব এখনো যোগদানের আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি এবং বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
এদিকে বেইজিংয়ের সঙ্গে সৌদি আরবের সাম্প্রতিক সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের মিত্র ওয়াশিংটনের মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রিয়াদ-ওয়াশিংটনের সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।
ইউরি উশাকভ বলেন, ব্রিকস এমন একটি জোট, যা উপেক্ষা করা যায় না। এই জোটে যোগদান থেকে বিরত থাকতে পশ্চিম অনেক দেশকেই চাপ দিচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ব্রিকসের সদস্যরা বিশ্বের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ। তেল উৎপাদনের প্রায় ৪০ শতাংশ এবং বৈশ্বিক পণ্য রপ্তানির প্রায় এক–চতুর্থাংশ।
গোল্ডম্যান শ্যাক্সের অর্থনীতিবিদ জিম ও’নিল ২০০৩ সালে প্রথম ‘ব্রিক’ শব্দটির নতুন অর্থের সূচনা করেন। যেখানে তিনি ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীনের অর্থনীতি আগামী অর্ধশতাব্দীতে কীভাবে পশ্চিমা অর্থনীতির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং অতিক্রম করতে পারে তা ব্যাখ্যা করেন।
এদিকে এর আগে ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি রয়টার্স পরিবেশিত এক খবরে বলা হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ব্রিকসের ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে এই ৫ দেশ ও আর্জেন্টিনাকে জোটের পূর্ণ সদস্য হতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই ছয় দেশের সদস্যপদ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী নালেদি পান্দর (৩১ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ব্রিকসের সভাপতির পদ আমরা (দক্ষিণ আফ্রিকা) রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করেছি। সৌদি আরব, ইরান, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইথিওপিয়া-এই পাঁচ দেশের পূর্ণ সদস্য হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
মন্ত্রী নালেদি পান্দর আরও জানান, ব্রিকসের পূর্ণ সদস্য হওয়ার আবেদনপ্রক্রিয়া এগিয়ে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জ্যাভিয়ার মিলেই শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) জানান, তার দেশ ব্রিকসের সদস্য হবে না।
মূলত পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার জন্য পররাষ্ট্রনীতিতে বাঁকবদল ঘটানোর প্রতিশ্রুতি পূরণে আর্জেন্টিনা ব্রিকসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা কমাতে চাইছে।
এসব দেশের কোনো নাগরিককে বিয়ে করলেই দ্রুত আপনি পেয়ে যেতে পারেন সেই দেশের নাগরিকত্ব।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত নিরাপত্তা আইন মেনে চলা নিশ্চিত করতে এ অভিযান চালানো হয়েছে।
কুয়েতের একটি তদন্ত কমিটি ২ হাজার ৮৯৯ কুয়েতির নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। এ সিদ্ধান্তটি এখন অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদের কাছে পাঠানো হবে।
কুয়েতে ১০ হাজার নার্স নিয়োগে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ থেকে তালিকা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।