বিডিজেন ডেস্ক
ফিলিস্তিনের গাজার অন্যতম প্রধান একটি হাসপাতাল ভবনে ২টি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এ হামলায় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, অভ্যর্থনাকেন্দ্রসহ অন্য স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসাকর্মীরা।
খবর বার্তা রয়টার্সের।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনাটি ঘটেছে আল-আহলি আরব ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে। হামলার আগে আগে এক ব্যক্তি দাবি করেন, তিনি একটি ফোনকল পেয়েছেন। যে ব্যক্তি ফোন করেছেন, তিনি নিজেকে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে পরিচয় দেন। বলেন, হাসপাতালটিতে হামলা চালানো হবে। এরপরই হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
হাসপাতালে হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে গাজার বেসামরিক জরুরি পরিষেবা। হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো এই জায়গা ছেড়ে যাচ্ছে। তাদের কাউকে কাউকে হাসপাতালে থাকা অসুস্থ স্বজনদের নিয়ে যেতে দেখা যায়; যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।
হামাস পরিচালিত গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর এক বিবৃতিতে এই হামলাকে জঘন্য ও নোংরা অপরাধ হিসেবে অভিহিত করে নিন্দা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্যসেবা খাতের অবশিষ্ট অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইসরায়েল একটি পদ্ধতিগত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইচ্ছাকৃতভাবে ৩৪টি হাসপাতাল ধ্বংস করেছে।
এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে আল-আহলি আরব ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়। তখন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ইসরায়েলি বিমান হামলার জেরে হতাহত হওয়ার এই ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তখন দাবি করে, প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদের ছোড়া রকেট ব্যর্থ হয়ে হাসপাতালে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এই দাবি অস্বীকার করেছে প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদ।
ফিলিস্তিনের গাজার অন্যতম প্রধান একটি হাসপাতাল ভবনে ২টি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এ হামলায় হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, অভ্যর্থনাকেন্দ্রসহ অন্য স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসাকর্মীরা।
খবর বার্তা রয়টার্সের।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনাটি ঘটেছে আল-আহলি আরব ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে। হামলার আগে আগে এক ব্যক্তি দাবি করেন, তিনি একটি ফোনকল পেয়েছেন। যে ব্যক্তি ফোন করেছেন, তিনি নিজেকে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে পরিচয় দেন। বলেন, হাসপাতালটিতে হামলা চালানো হবে। এরপরই হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
হাসপাতালে হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে গাজার বেসামরিক জরুরি পরিষেবা। হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো এই জায়গা ছেড়ে যাচ্ছে। তাদের কাউকে কাউকে হাসপাতালে থাকা অসুস্থ স্বজনদের নিয়ে যেতে দেখা যায়; যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।
হামাস পরিচালিত গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর এক বিবৃতিতে এই হামলাকে জঘন্য ও নোংরা অপরাধ হিসেবে অভিহিত করে নিন্দা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্যসেবা খাতের অবশিষ্ট অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইসরায়েল একটি পদ্ধতিগত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইচ্ছাকৃতভাবে ৩৪টি হাসপাতাল ধ্বংস করেছে।
এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে আল-আহলি আরব ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়। তখন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ইসরায়েলি বিমান হামলার জেরে হতাহত হওয়ার এই ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তখন দাবি করে, প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদের ছোড়া রকেট ব্যর্থ হয়ে হাসপাতালে পড়ে বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এই দাবি অস্বীকার করেছে প্যালেস্টাইন ইসলামিক জিহাদ।
ইসরায়েলের নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। দ্রুতই এ প্রস্তাবের বিষয়ে সাড়া দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি।
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখন্ডে ইসরায়েলের বোমা বর্ষণ অব্যাহত আছে। গতকাল রোববারও (১৩ এপ্রিল) সেখানে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক পরিবারের ৬ ভাইও রয়েছে। তারা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে অনাহারে থাকা ফিলিস্তিনিদের খাদ্যসহায়তা দিতে কাজ করত।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা শুরু হওয়ার পর বাদ যায়নি বিদ্যালয়, ধর্মীয় স্থাপনা, উদ্বাস্তুদের আশ্রয়স্থল, এমনকি হাসপাতালও। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ ভূখন্ডে এখন পর্যন্ত ৩৫টি হাসপাতালে হামলা করেছে কিংবা আগুন দিয়েছে ইসরায়েল বাহিনী।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাকে ঘিরে ফেলেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আইডিএফ। শহরটিকে গাজা উপত্যকা থেকে বিচ্ছিন্নকারী মোরাগ করিডরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে আইডিএফ।