

বিডিজেন ডেস্ক

জাল ভিসা ব্যবহার করে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে ১৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির বর্ডার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (বিএমএ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, গত শুক্রবার ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ওই বাংলাদেশিরা জোহানেসবার্গের ওআর টাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। আগমনের পর যাত্রীদের তথ্য ও চলাচলের ধরন বিশ্লেষণ করে বিএমএ কর্মকর্তারা তাদের আচরণকে সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করেন।
বিএমএর ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জেন থুপানা জানান, উৎসব মৌসুমে তারা মানব পাচার, অনিয়মিত অভিবাসন ও আন্তঃসীমান্ত সংগঠিত অপরাধ দমনে কর্তৃপক্ষ বিশেষভাবে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গোয়েন্দা-ভিত্তিক নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, এটি মানব পাচার সিন্ডিকেটগুলোর বহুল ব্যবহৃত একটি কৌশল। সাধারণত এসব সিন্ডিকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে প্রতিবেশী দেশে প্রবেশের চেষ্টা করে, পরে আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় ফেরে।
আটক বাংলাদেশি সবাই পুরুষ। পাসপোর্ট ক্লিয়ারেন্সের সময় তারা যাত্রীদের ভিড়ে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পরে তদন্তে তাদের ভিসা ও ভ্রমণ নথি জাল বলে প্রমাণিত হয়।
ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তাদের সতর্কতা ও দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করে জেন থুপানা বলেন, এই আটক বিএমএর গোয়েন্দা-নির্ভর সীমান্ত ব্যবস্থাপনার কার্যকারিতা স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। তিনি জানান, উন্নত যাত্রী তথ্য বিশ্লেষণ, আচরণগত প্রোফাইলিং এবং স্থলভিত্তিক নজরদারিকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সংস্থাটি।
বিএমএর ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জেন থুপানা বলেন, “জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রবেশপথগুলো সুরক্ষিত রাখতে কাজ করছি। জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করার যেকোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।”
এদিকে, অবৈধ অভিবাসীদের বহনের দায়ে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনকে প্রতিজনের জন্য ১৫ হাজার র্যান্ড করে জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছে বিএমএ। ফ্লাইটে তোলার আগে যাত্রীদের ভ্রমণ নথির সত্যতা যাচাই করা এয়ারলাইনের দায়িত্ব ছিল। পাশাপাশি, বাংলাদেশি নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর খরচও এয়ারলাইনকে বহন করতে হবে।
ধারণা করা হয়, বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষ বসবাস করছেন। তাদের অধিকাংশই ১৯৯৪ সালে নেলসন ম্যান্ডেলার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের পর, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন। এর আগে বর্ণবৈষম্যবিরোধী নীতির কারণে বাংলাদেশ, ভারত তাদের নাগরিকদের দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।

জাল ভিসা ব্যবহার করে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে ১৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির বর্ডার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (বিএমএ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, গত শুক্রবার ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ওই বাংলাদেশিরা জোহানেসবার্গের ওআর টাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। আগমনের পর যাত্রীদের তথ্য ও চলাচলের ধরন বিশ্লেষণ করে বিএমএ কর্মকর্তারা তাদের আচরণকে সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করেন।
বিএমএর ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জেন থুপানা জানান, উৎসব মৌসুমে তারা মানব পাচার, অনিয়মিত অভিবাসন ও আন্তঃসীমান্ত সংগঠিত অপরাধ দমনে কর্তৃপক্ষ বিশেষভাবে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গোয়েন্দা-ভিত্তিক নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, এটি মানব পাচার সিন্ডিকেটগুলোর বহুল ব্যবহৃত একটি কৌশল। সাধারণত এসব সিন্ডিকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে প্রতিবেশী দেশে প্রবেশের চেষ্টা করে, পরে আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় ফেরে।
আটক বাংলাদেশি সবাই পুরুষ। পাসপোর্ট ক্লিয়ারেন্সের সময় তারা যাত্রীদের ভিড়ে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পরে তদন্তে তাদের ভিসা ও ভ্রমণ নথি জাল বলে প্রমাণিত হয়।
ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তাদের সতর্কতা ও দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করে জেন থুপানা বলেন, এই আটক বিএমএর গোয়েন্দা-নির্ভর সীমান্ত ব্যবস্থাপনার কার্যকারিতা স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। তিনি জানান, উন্নত যাত্রী তথ্য বিশ্লেষণ, আচরণগত প্রোফাইলিং এবং স্থলভিত্তিক নজরদারিকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সংস্থাটি।
বিএমএর ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জেন থুপানা বলেন, “জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রবেশপথগুলো সুরক্ষিত রাখতে কাজ করছি। জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করার যেকোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।”
এদিকে, অবৈধ অভিবাসীদের বহনের দায়ে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনকে প্রতিজনের জন্য ১৫ হাজার র্যান্ড করে জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছে বিএমএ। ফ্লাইটে তোলার আগে যাত্রীদের ভ্রমণ নথির সত্যতা যাচাই করা এয়ারলাইনের দায়িত্ব ছিল। পাশাপাশি, বাংলাদেশি নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর খরচও এয়ারলাইনকে বহন করতে হবে।
ধারণা করা হয়, বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩ লাখ ৫০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষ বসবাস করছেন। তাদের অধিকাংশই ১৯৯৪ সালে নেলসন ম্যান্ডেলার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের পর, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন। এর আগে বর্ণবৈষম্যবিরোধী নীতির কারণে বাংলাদেশ, ভারত তাদের নাগরিকদের দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “আমরা বন্দাই বিচে নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। আশপাশের লোকজনকে নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করছি।”
গত শুক্রবার ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ওই বাংলাদেশিরা জোহানেসবার্গের ওআর টাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। আগমনের পর যাত্রীদের তথ্য ও চলাচলের ধরন বিশ্লেষণ করে বিএমএ কর্মকর্তারা তাদের আচরণকে সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করেন।
এই প্রতিবেদনটি থেকে বোঝা যায়, এই নীতির সবচেয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের ওপর। এসব দেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক মুসলিম নাগরিক যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন।
২০২৫ সালে দেশটির গোল্ডেন ভিসা ও ভ্রমণ ভিসা প্রকল্পের অধীনে নতুন আরও কিছু ক্যাটাগরি নিয়ে এসেছে। যার মধ্যে আবেদন ও যোগ্যতার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে পর্যটক, পেশাজীবী ও বাসিন্দারা কীভাবে দেশটিতে প্রবেশ করবেন সেটির নিয়মবালি যুক্ত করা হয়েছে।