
বিডিজেন ডেস্ক

প্রবাসী বাংলাদেশি ও সৌদি দর্শকদের অংশগ্রহণে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে রিয়াদের আল–সুয়াইদি পার্কে মুখর হয়ে ওঠে বাংলাদেশের বর্ণিল ঐতিহ্য। সৌদি আরবের ‘গ্লোবাল হারমনি’ উৎসবের ‘বাংলাদেশ কালচার’ পর্বে সংগীত, নৃত্য, ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও খাবারের সমাহারে এক প্রাণবন্ত উৎসবের আয়োজন হয়।
খবর বার্তা সংস্থা ইউএনবির।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দিঘী ও রবিউল হক জামান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংগীত, নৃত্য ও রান্নার শিল্প তুলে ধরার মাধ্যমে প্রবাসীদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের আবহ সৃষ্টি হয়।
‘এই আনন্দ আমাদের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিল’
হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাদের পরিবার উৎসবে অংশ নেন। নাচ, গান ও আলোকসজ্জায় গোটা পার্ক রূপ নেয় উৎসবের নগরে।
প্রবাসী রুমেল বলেন, “এটি সত্যিই অসাধারণ। প্রতিদিন কাজের চাপে থাকি, পরিবারের মুখে হাসি রাখতে লড়াই করি। এই আয়োজন আমাদের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিয়েছে।
এত কাছ থেকে ভালোবাসা, অভিভূত আমি: দিঘী
অভিনেত্রী দিঘী জানান, এই প্রথম তিনি কোনো আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সঞ্চালনা করছেন।
তিনি বলেন, “প্রথমবার এমন একটি ভূমিকা নিতে পেরে আমি অভিভূত। এখানে এসে বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। সৌদি কর্তৃপক্ষ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।”
তিনি আরও জানান, ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ‘বাংলাদেশ কালচার’ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করবেন।
সৌদি আয়োজকদের প্রশংসা
গ্লোবাল হারমনি কমিটির মুখপাত্র সারি শাবান বলেন, “সৌদি আরবে অন্যতম বৃহৎ প্রবাসী সম্প্রদায় হলো বাংলাদেশিরা। তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য উপস্থাপন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এতে সৌদি দর্শকেরা বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।”
তিনি জানান, অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত ও বিনামূল্যে।
১৪ দেশের সংস্কৃতি এক মঞ্চে
গ্লোবাল হারমনি উৎসবে পর্যায়ক্রমে আরও ১৩টি দেশ অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো গলো—মিসর (১৫–১৭ নভেম্বর), লেভান্ট অঞ্চল (১৮–২০ নভেম্বর), ইয়েমেন (২১–২৮ নভেম্বর), পাকিস্তান (২৯ নভেম্বর–১ ডিসেম্বর), ইন্দোনেশিয়া (২–৪ ডিসেম্বর), ফিলিপাইন (৫–৮ ডিসেম্বর), উগান্ডা (৯–১০ ডিসেম্বর), ইথিওপিয়া (১১–১৩ ডিসেম্বর) ও সুদান (১৪–২০ ডিসেম্বর)।
২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হওয়া গ্লোবাল হারমনি উদ্যোগের লক্ষ্য, সৌদি আরবের বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি উদ্যাপন ও আন্তঃসংস্কৃতিক সংলাপ জোরদার করা।
গত বছর এ উৎসবে বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, শ্রীলঙ্কা, মিসর, লেবানন, জর্ডান ও ফিলিপাইনের সংস্কৃতি প্রদর্শিত হয়েছিল।
বাংলাদেশ সপ্তাহে আসিফ, দিঘীসহ নানা তারকা
এই বছরের বাংলাদেশ কালচার উইকে অংশ নিচ্ছেন জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবর, অভিনেত্রী দিঘী এবং অন্য শিল্পী ও ইনফ্লুয়েন্সাররা। লোকসংগীত, ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও নাট্যাভিনয়ে ফুটে উঠছে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। খাবারের স্টলে ভেসে এসেছে দেশীয় গন্ধ, সংগীতের সুরে গলে গেছে দূরত্বের ব্যথা।
গত বছরের আসরে পরিবেশন করেছিলেন কিংবদন্তি রক তারকা নগর বাউল জেমস, ডিজে সোনিকা এবং গায়ক হাবিব ওয়াহিদ, পর্শি, ও বিউটি খান। রিয়াদে জেমসের প্রথম পারফরম্যান্স ছিল উৎসবের মূল আকর্ষণ।
সংস্কৃতির সেতুবন্ধন
গ্লোবাল হারমনি উদ্যোগটি চলবে মোট ৪৯ দিন, যেখানে ১৪টি দেশের সাংস্কৃতিক সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হবে।
এই কর্মসূচি সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০–এর ‘কোয়ালিটি অব লাইফ’ প্রোগ্রামের অংশ, যার উদ্দেশ্য সংস্কৃতি, সংলাপ ও পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধির মাধ্যমে রিয়াদকে একটি বৈশ্বিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।

প্রবাসী বাংলাদেশি ও সৌদি দর্শকদের অংশগ্রহণে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে রিয়াদের আল–সুয়াইদি পার্কে মুখর হয়ে ওঠে বাংলাদেশের বর্ণিল ঐতিহ্য। সৌদি আরবের ‘গ্লোবাল হারমনি’ উৎসবের ‘বাংলাদেশ কালচার’ পর্বে সংগীত, নৃত্য, ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও খাবারের সমাহারে এক প্রাণবন্ত উৎসবের আয়োজন হয়।
খবর বার্তা সংস্থা ইউএনবির।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দিঘী ও রবিউল হক জামান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংগীত, নৃত্য ও রান্নার শিল্প তুলে ধরার মাধ্যমে প্রবাসীদের মধ্যে আনন্দ ও গর্বের আবহ সৃষ্টি হয়।
‘এই আনন্দ আমাদের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিল’
হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাদের পরিবার উৎসবে অংশ নেন। নাচ, গান ও আলোকসজ্জায় গোটা পার্ক রূপ নেয় উৎসবের নগরে।
প্রবাসী রুমেল বলেন, “এটি সত্যিই অসাধারণ। প্রতিদিন কাজের চাপে থাকি, পরিবারের মুখে হাসি রাখতে লড়াই করি। এই আয়োজন আমাদের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিয়েছে।
এত কাছ থেকে ভালোবাসা, অভিভূত আমি: দিঘী
অভিনেত্রী দিঘী জানান, এই প্রথম তিনি কোনো আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সঞ্চালনা করছেন।
তিনি বলেন, “প্রথমবার এমন একটি ভূমিকা নিতে পেরে আমি অভিভূত। এখানে এসে বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। সৌদি কর্তৃপক্ষ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।”
তিনি আরও জানান, ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ‘বাংলাদেশ কালচার’ অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করবেন।
সৌদি আয়োজকদের প্রশংসা
গ্লোবাল হারমনি কমিটির মুখপাত্র সারি শাবান বলেন, “সৌদি আরবে অন্যতম বৃহৎ প্রবাসী সম্প্রদায় হলো বাংলাদেশিরা। তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য উপস্থাপন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এতে সৌদি দর্শকেরা বাংলাদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।”
তিনি জানান, অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত ও বিনামূল্যে।
১৪ দেশের সংস্কৃতি এক মঞ্চে
গ্লোবাল হারমনি উৎসবে পর্যায়ক্রমে আরও ১৩টি দেশ অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো গলো—মিসর (১৫–১৭ নভেম্বর), লেভান্ট অঞ্চল (১৮–২০ নভেম্বর), ইয়েমেন (২১–২৮ নভেম্বর), পাকিস্তান (২৯ নভেম্বর–১ ডিসেম্বর), ইন্দোনেশিয়া (২–৪ ডিসেম্বর), ফিলিপাইন (৫–৮ ডিসেম্বর), উগান্ডা (৯–১০ ডিসেম্বর), ইথিওপিয়া (১১–১৩ ডিসেম্বর) ও সুদান (১৪–২০ ডিসেম্বর)।
২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হওয়া গ্লোবাল হারমনি উদ্যোগের লক্ষ্য, সৌদি আরবের বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি উদ্যাপন ও আন্তঃসংস্কৃতিক সংলাপ জোরদার করা।
গত বছর এ উৎসবে বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, শ্রীলঙ্কা, মিসর, লেবানন, জর্ডান ও ফিলিপাইনের সংস্কৃতি প্রদর্শিত হয়েছিল।
বাংলাদেশ সপ্তাহে আসিফ, দিঘীসহ নানা তারকা
এই বছরের বাংলাদেশ কালচার উইকে অংশ নিচ্ছেন জনপ্রিয় গায়ক আসিফ আকবর, অভিনেত্রী দিঘী এবং অন্য শিল্পী ও ইনফ্লুয়েন্সাররা। লোকসংগীত, ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও নাট্যাভিনয়ে ফুটে উঠছে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। খাবারের স্টলে ভেসে এসেছে দেশীয় গন্ধ, সংগীতের সুরে গলে গেছে দূরত্বের ব্যথা।
গত বছরের আসরে পরিবেশন করেছিলেন কিংবদন্তি রক তারকা নগর বাউল জেমস, ডিজে সোনিকা এবং গায়ক হাবিব ওয়াহিদ, পর্শি, ও বিউটি খান। রিয়াদে জেমসের প্রথম পারফরম্যান্স ছিল উৎসবের মূল আকর্ষণ।
সংস্কৃতির সেতুবন্ধন
গ্লোবাল হারমনি উদ্যোগটি চলবে মোট ৪৯ দিন, যেখানে ১৪টি দেশের সাংস্কৃতিক সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হবে।
এই কর্মসূচি সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০–এর ‘কোয়ালিটি অব লাইফ’ প্রোগ্রামের অংশ, যার উদ্দেশ্য সংস্কৃতি, সংলাপ ও পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধির মাধ্যমে রিয়াদকে একটি বৈশ্বিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
হাজারো প্রবাসী বাংলাদেশি ও তাদের পরিবার উৎসবে অংশ নেন। নাচ, গান ও আলোকসজ্জায় গোটা পার্ক রূপ নেয় উৎসবের নগরে। প্রবাসী রুমেল বলেন, “এটি সত্যিই অসাধারণ। প্রতিদিন কাজের চাপে থাকি, পরিবারের মুখে হাসি রাখতে লড়াই করি। এই আয়োজন আমাদের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিয়েছে।
জাঁকজমকপূর্ণ এই উৎসবে থাকছে প্রাণবন্ত পরিবেশনা, ঐতিহ্যবাহী সংগীত ও নৃত্য, সঙ্গে থাকবে আসল বাংলাদেশি খাবারের স্বাদ—সব মিলিয়ে এটি হয়ে উঠবে বাংলাদেশের ঐতিহ্যের এক চমৎকার প্রদর্শনী।
সমুদ্রে বিপদগ্রস্ত মানুষের জীবন রক্ষা আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক আইনের অধীনে মানবিক ও নৈতিক দায়িত্ব। ইউএনএইচসিআর ও আইওএম আহ্বান জানিয়েছে, এমন ট্র্যাজেডি রোধে অনুসন্ধান ও উদ্ধার সক্ষমতা বৃদ্ধি, নিরাপদ আশ্রয়ে প্রবেশের সুযোগ নিশ্চিতকরণ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারের জন্য।
ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া কাউন্সিলের গাইডলাইন অনুযায়ী মেডিকেল সেন্টারসমূহকে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুব্যবস্থাপনার আওতায় আনার জন্য গালফ হেলথ কাউন্সিল, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।