logo
প্রবাসের খবর

বাহরাইনের ইতিহাস, ধর্ম, সংস্কৃতি ও অর্থনীতি

বাহরাইন পারস্য উপসাগরের পশ্চিম অংশে একটি দ্বীপরাষ্ট্র। দেশটির চারদিকে সাগর। বাহার শব্দের অর্থ সাগর। আর বাহরাইন হচ্ছে দুটি সাগর। দেশটির সবচেয়ে বড় দ্বীপ বাহরাইন নামেই পরিচিত।

বিডিজেন ডেস্ক
বিডিজেন ডেস্ক২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Copied!
বাহরাইনের ইতিহাস, ধর্ম, সংস্কৃতি ও অর্থনীতি
রাজধানী মানামার একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

বাহরাইন পারস্য উপসাগরের পশ্চিম অংশে একটি দ্বীপরাষ্ট্র। দেশটির চারদিকে সাগর। বাহার শব্দের অর্থ সাগর। আর বাহরাইন হচ্ছে দুটি সাগর। দেশটির সবচেয়ে বড় দ্বীপ বাহরাইন নামেই পরিচিত।

ছবি ৪ Bahrain_map

বাহরাইনের মোট আয়তন ৭৮৬ দশমিক ৫ বর্গকিলোমিটার। আঞ্চলিক জল এলাকা: ৭ হাজার ৪৮২ দশমিক ৫ কিলোমিটার (২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে)।

দেশটির বেশির ভাগ দ্বীপ বালুকাময় ও অনুর্বর। তবে নবি সালেহ দ্বীপটি উর্বর। এই দ্বীপ খেজুর গাছে ঢাকা। আর সবচেয়ে বড় দ্বীপ বাহরাইনের উত্তর-পূর্ব উপকূলে এক চিলতে সমভূমি আছে যেখানে রাজধানী মানামা অবস্থিত।

বাহরাইন দ্বীপসহ আল মুহাররক, সিত্রা, হাওয়ার, নবি সালেহ, উম্মন নাসান ও জিদ্দা দ্বীপ সড়কসেতুর মাধ্যমে যুক্ত। এ ছাড়া, দেশটি সৌদি আরবের সঙ্গেও কিং ফাহাদ সড়কসেতুর মাধ্যমে যুক্ত। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য বাহরাইন ও সৌদি আরবের মধ্যে ১৯৮১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কিং ফাহাদ সড়কসেতু নির্মাণ শুরু করার জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

বাহরাইন প্রাচীনকালে বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল। ইসলামিক ইতিহাসে ১৩৪৫ সালের দিকে মানামার উল্লেখ পাওয়া যায়। ১৫২১ সালে পর্তুগিজরা মানামা দখল করে। পরে ১৬০২ সালে পারসিকরা দখল করে। ১৭৮৩ সালে আল-খলিফা পরিবার নিজেদের বাহরাইনের শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। তারপর থেকে অল্প কিছু সময় ছাড়া মানামা আল-খলিফা পরিবারের অধিকারে রয়েছে। মানামাকে ১৯৫৮ সালে একটি মুক্ত বন্দর এবং ১৯৭১ সালে বাহরাইনের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে ব্রিটেনের আনুষ্ঠানিক কোনো উপনিবেশ ছিল না। তবে ১৮ শতক থেকে সেখানে ব্রিটেনই ছিল সর্বময় ক্ষমতাধর বিদেশি শক্তি। বাহরাইন ও কাতার এবং আবুধাবি, দুবাই ও তাদের ছোট প্রতিবেশী বহি:শত্রুর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ব্রিটেনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছিল। এই চুক্তির মাধ্যমে বাহরাইনের প্রতিরক্ষা ও বৈদেশিক সম্পর্ক রক্ষার দায়িত্ব নেয় ব্রিটেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত দেশটি ব্রিটেনের প্রভাবাধীন ছিল।

১৯৩০-এর দশকে বাহরাইন পারস্য উপসাগরের প্রথম দেশ হিসেবে তেলভিত্তিক অর্থনীতি গঠন করে। ১৯৮০-র দশকের শুরুর দিকেই দেশটির সব তেল ফুরিয়ে যায়। তবে দেশটির শাসকেরা আগেই অন্য শিল্পে বিনিয়োগ করেছিল। ফলে দেশটির অর্থনীতি এখনো উন্নত। বাহারাইনি দিনার বিশ্বের দ্বিতীয় সব থেকে দামি মুদ্রা।

বাহরাইন মুসলিম দেশ। দেশটিতে সুন্নি মুসলিমদের চেয়ে শিয়া মুসলমানদের সংখ্যা বেশি। তবে সুন্নিরাই বাহরাইনের সরকার নিয়ন্ত্রণ করে।

জনসংখ্যা

১৫ লাথ ৪ হাজার ৩৬৫ জন। এর মধ্যে ৭ লাখ ১৯ হাজার ৩৩৩ জন বাহরাইনি (৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ)। অবাহরাইনি ৭ লাখ ৮৫ হাজার ৩২ জন (৫২ দশমিক ২ শতাংশ)। পুরুষ ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ ও নারী ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ (২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে)।

ইতিহাস

প্রাচীনকালে বর্তমান বাহরাইন বাণিজ্য ও মুক্তা আহরণকেন্দ্র ছিল। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকে বাহরাইনের অধিবাসীরা ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়। এরপর বাহরাইন সিরিয়ার উমাইয়া ও বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফাদের দ্বারা শাসিত হয়। পরে পারসিক, ওমানি ও পর্তুগিজরা বাহরাইন শাসন করে। ১৭৮৩ সালে বর্তমান সৌদি আরবের বনি উতবাহ গোত্রের আল খলিফা পরিবার ইরানিদের কাছ থেকে অঞ্চলটি দখল করে। তখন থেকে এই পরিবার বাহরাইনের শাসক।

১৮৩০-এর দশকে আল খলিফা পরিবার এক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাহরাইনকে ব্রিটিশ প্রটেক্টরেটে পরিণত করে। এই চুক্তির ফলে বাহরাইন ব্রিটিশ সরকারের অনুমতি ছাড়া অন্য কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ হারায়। বিনিময়ে ব্রিটিশ সরকার বহিরাক্রমণ থেকে দেশটির সুরক্ষার দায়িত্ব নেয়।

পরবর্তীতে দেশটিতে ব্যাপক খনিজ তেলের উৎপাদন শুরু হলে ১৯৩৫ সালে পারস্য উপসাগর অঞ্চলে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর প্রধান ঘাঁটি বাহরাইনে স্থানান্তর করা হয়।

১৯৬৮ সালে ব্রিটিশ সরকার পারস্য উপসাগরের শেখশাসিত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দেশগুলোর সঙ্গে করা চুক্তিগুলো রদ করার সিদ্ধান্ত নিলে বাহরাইন ও কাতার এবং বর্তমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাত রাজ্যের শাসকেরা মিলে একটি বৃহৎ সংযুক্ত আরব আমিরাত গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তারা সংযুক্তিকরণের বিভিন্ন ব্যাপারে একমত হতে পারেননি। ফলে ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট বাহরাইন একক রাষ্ট্র হিসেবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

স্বাধীনতার পর দেশটির জন্য সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। এই সংবিধানের আওতায় ১৯৭৩ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে পার্লামেন্ট (সংসদ) গঠিত হয়। পরে এই পার্লামেন্ট নতুন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে শাসক আল-খলিফা পরিবারকে অপসারণ এবং যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীকে সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করলে ১৯৭৫ সালে বাহরাইনের তৎকালীন আমির সংসদ ভেঙে দেন।

এরপর প্রায় ২০ বছর বাহরাইন স্থিতিশীল ছিল। ৯০–এর দশকে বাহরাইনের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়াদের অসন্তুষ্টি বিভিন্ন রাজনৈতিক সংঘাতের আকারে প্রকাশ পায়। এর প্রেক্ষিতে বাহরাইনের আমির ১৯৯৫ সালে প্রথমবারের মতো মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন এবং আইন পর্যালোচনাকারী কাউন্সিলের সদস্যসংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ করেন। আমিরের পদক্ষেপে সংঘাত প্রথমে কিছু কমলেও ১৯৯৬ সালের শুরুর দিকে আবার সংঘাত বৃদ্ধি পায়। তখন বেশ কিছু হোটেল ও রেস্তোরাঁয় বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে অনেকে নিহত হয়।

এ ঘটনার পর পুলিশ প্রায় ১ হাজার লোককে গ্রেফতার করে এবং কোনো বিচার ছাড়াই তাদের শাস্তি দেয়। সম্প্রতি বাহরাইন সরকার তাদের অনেককে ছেড়ে দিয়েছে।

রাজনীতি

বাহরাইনের রাজনীতি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র কাঠামোতে পরিচালিত হয়। আমির বা রাজা সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী।

আমির সরকার চালানোর জন্য একজন প্রশাসক বা প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। প্রশাসন ও সেনাবাহিনীতেও তাঁর কাছের লোকজনদেরকেই নিয়োগ দেওয়া হয়।

ছবি ২ King Hamad bin Isa Al Khalifa

বর্তমানে আমির বা রাজা: হামাদ বিন ইসা আল-খলিফা।

ছবি ৩ Salman bin Hamad Al Khalifa

প্রধানমন্ত্রী ও ক্রাউন প্রিন্স: সালমান বিন হামাদ আল খলিফা।

বাহরাইনের আইনসভা দুই কক্ষবিশিষ্ট। নিম্নকক্ষের সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন। উচ্চকক্ষ তথা শুরা কাউন্সিলের সদস্যদের আমির নিয়োগ দেন।

অর্থনীতি

আকারে ক্ষুদ্র হলেও তেলসম্পদের কারণে অর্থনৈতিকভাবে বাহরাইন সমৃদ্ধ। অর্থনীতি প্রধানত পেট্টোলিয়াম উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও পরিশোধনের ওপর নির্ভরশীল। এই খাত ৬০ ভাগ রপ্তানিতে ও ৩০ ভাগ জিডিপিতে অবদান রাখে। দেশটির ব্যাংকিং খাতও শক্তিশালী। পর্যটন খাতও অনেক উন্নতি করেছে।

যোগাযোগব্যবস্থা ভালো হওয়ায় পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের অনেক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান এখানে সদর দপ্তর স্থাপন করেছে। বাহরাইনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহরের অবস্থান।

বাহরাইনের অল্প কিছু ভূমি চাষযোগ্য হওয়ায় দেশটি প্রয়োজনীয় খাদ্য নিজেরা উৎপাদনে অক্ষম। এক্ষেত্রে তারা আমদানির ওপর নির্ভরশীল।

দেশটির শ্রমবাজারের বেশির ভাগ দখল করে আছে বিদেশি শ্রমিকেরা।

বাহরাইনের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রাজধানী তথা দেশের প্রধান ও ব্যস্ততম বিমানবন্দর। এটি অন্যতম একটি হাব বিমানবন্দর।

ধর্ম এবং জাতিগোষ্ঠী

অধিকাংশ বাহরাইনি মুসলমান। তারা সুন্নি ও শিয়া এবং জাতি ও গোষ্ঠীগতভাবে বৈচিত্র্যময়।

সুন্নিরা মূলত দুটি জাতিগোষ্ঠীতে বিভক্ত—আরব ও হুওয়ালা। আরব সুন্নিরা বাহরাইনের সবচেয়ে প্রভাবশালী গোষ্ঠী। রাজতন্ত্র আরব সুন্নিদের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং তারা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত। সুন্নি আরবেরা ঐতিহ্যগতভাবে জাল্লাক, মুহররক, রিফা ও হাওয়ার দ্বীপসমূহে বসবাস করে আসছে।

হুওয়ালারা ইরানি সুন্নিদের বংশধর। তাদের কেউ কেউ পারসিক সুন্নি আর বাকিরা আরব সুন্নি। সুন্নিদের মধ্যে বালুচ জাতিগোষ্ঠীর লোকেরাও রয়েছে। কিছু আফ্রিকানও আছে। তাদের অধিকাংশই পূর্ব আফ্রিকা থেকে আগত। তারা মুহররক দ্বীপ ও রিফাতে বসবাস করে।

শিয়ারাও দুটি প্রধান জাতিগোষ্ঠীতে বিভক্ত—বাহরানা ও আজম। আরেকটি ক্ষুদ্র অংশ আল-হাসা অঞ্চলের হাওয়াসি জনগোষ্ঠী।

বাহরানারা হলো আরব শিয়া। আজমরা হলো পারসিক শিয়া। মানামা ও মুহররক শহরের জনসাধারণের বড় অংশই পারসিক শিয়া।

বাহরাইনে শিয়া মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তিনটি শিয়াপ্রধান প্রধান দেশের একটি হলো বাহরাইন। অন্য দুই দেশ ইরান ও ইরাক।

শিয়ারা বাহরাইনের সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও রাজপরিবার ও অভিজাতদের বেশির ভাগই সুন্নি মতাবলম্বী। শিয়া ও সুন্নিরা কিছু ক্ষেত্রে একতাবদ্ধ। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। শিয়ারা প্রায়শই রাজনৈতিক নিপীড়ন ও অর্থনৈতিক প্রান্তীকরণের অভিযোগ করে। ২০১১ সালের বাহরাইনি অভ্যুত্থানের অধিকাংশ বিক্ষোভকারীই ছিল শিয়া।

বাহরাইনে কিছু বাহাই ধর্মালম্বীর বসবাস রয়েছে। কিছু খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষও আছে। তবে স্থানীয় খ্রিস্টান সংখ্যায় কম। বড় অংশই প্রবাসী। এ ছাড়া, কিছু ইহুদিও আছে। তারা ১৮৮০-র দশকে ইরাক ও ইরান থেকে বাহরাইনে এসেছে।

তবে অভিবাসী কর্মীদের ক্রমাগত আগমনের ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাহরাইনের অন্য ধর্মের লোক ক্রমশ বাড়ছে।

বাহরাইনিরা ভিন্ন ধর্মের অনুশীলনের প্রতি সহনশীল।

সংস্কৃতি

বাহরাইনজুড়ে খালিজি লোকসংগীত জনপ্রিয়। এ ছাড়া শহুরে ঘরানার সাওত সংগীতও বেশ জনপ্রিয়।

আলী বাহার বাহরাইনের বিখ্যাত গায়কদের মধ্যে একজন। তাঁর একটি সংগীত দল রয়েছে।

উল্লেখ্য, উপসাগরীয় রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বাহরাইনেই সর্বপ্রথম রেকর্ডিং স্টুডিও স্থাপন করা হয়।

একনজরে বাহরাইন

পুরো নাম: কিংডম অব বাহরাইন।

আয়তন: ৭৮৬ দশমিক ৫ বর্গকিলোমিটার।

জনসংখ্যা: ১৫ লাখ ৪ হাজার ৩৬৫ জন।

স্বাধীনতা: ১৫ আগস্ট ১৯৭১।

জাতীয় দিবস: ১৬ ডিসেম্বর।

পতাকা: সাদা উল্লম্ব ডোরাসহ লাল, মধ্যবর্তী প্রান্তটি করাত-দাঁতযুক্ত।

২০০৪ সালে বাহরাইন সবচেয়ে দীর্ঘ পতাকা তৈরি করে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলেছিল। পতাকাটির দৈর্ঘ্য ছিল ১৬৯ দশমিক ৫ মিটার। প্রস্থ ৯৭ দশমিক ১ মিটার।

জাতীয় সংগীত: শব্দ ছাড়া সংগীত।

রাজধানী: মানামা (আল-মানামা)। শহরটির অবস্থান সবচেয়ে বড় দ্বীপ বাহরাইনে। মানামা দেশটির সর্বাপেক্ষা জনবহুল শহর।

প্রশাসনিক অঞ্চল: দেশটি চারটি গভর্নরেটে বিভক্ত। রাজধানী, মুহাররক, উত্তর ও দক্ষিণ।

বড় শহর: মানামা, রিফা, মুহাররক, সিত্রা ও হামাদ।

সরকারি ভাষা: আরবি। তবে আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্য ও পর্যটন শিল্পে ইংরেজি ভাষা প্রচলিত।

সরকার: সাংবিধানিক রাজতন্ত্র (কন্সটিটিউশনাল মনার্কি)।

আমির বা রাজা: হামাদ বিন ইসা আল-খলিফা।

সরকার চালানোর জন্য আমির একজন প্রশাসক বা প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রী ও ক্রাউন প্রিন্স: সালমান বিন হামাদ আল খলিফা।

আইনসভা: পার্লামেন্ট (জাতীয় পরিষদ) ও শুরা পরিষদ।

জাতীয় বাজেট: বাহরাইনের আর্থিক বাজেট দুই বছরের জন্য পরিকল্পনা করা হয়।

সাপ্তাহিক ছুটি: শুক্র ও শনিবার।

সরকারি ছুটি: ঈদুল ফিতরে ৩ দিন, আরাফাত দিবসে ১ দিন, ঈদুল আজহায় ৩ দিন, হিজরি নববর্ষে ১ দিন, আশুরায় (মহরম) ২ দিন ও নবীর জন্মদিনে ১ দিন।

এ ছাড়া, জাতীয় দিবসে ২ দিন (১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর) এবং ইংরেজি নববর্ষে ১ দিন (১ জানুয়ারি), লেবার ডেতে ১ দিন (১ মে)।

টাইম জোন: GMT থেকে 3 ঘন্টা এগিয়ে (GMT+3)

ডায়ালিং কোড: +৯৭৩

গড় তাপমাত্রা: ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গড় বৃষ্টিপাত: ১৩ দশমিক ৪ মিলিমিটার

গড় আর্দ্রতা: ৫৫ শতাংশ

আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর: বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

মুদ্রা: বাহরাইনি দিনার।

বাহরাইনে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা করা বাধ্যতামূলক। দেশটির স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য পড়ালেখা ফ্রি।

আরো পড়ুন

কুয়েতে প্রবাসীদের জন্য বাড়তে পারে পেট্রোলের দাম

কুয়েতে প্রবাসীদের জন্য বাড়তে পারে পেট্রোলের দাম

শুধুমাত্র প্রবাসীদের জন্য পেট্রোলের দাম বাড়াতে যাচ্ছে কুয়েত সরকার। কর্তৃপক্ষ কুয়েতিদের জন্য একটি নগদ অর্থের ভর্তুকি অনুমোদন করবে যাতে তাদের ওপর পেট্রোলের দামের বৃদ্ধি কোনো প্রভাব না পড়ে।

আগস্টে ৪০০ বাংলাদেশির ভিসা আবেদন রিভিউ করেছে ভারত

আগস্টে ৪০০ বাংলাদেশির ভিসা আবেদন রিভিউ করেছে ভারত

বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকলেও আগস্ট মাসে নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির ৪০০টিরও বেশি ভিসা আবেদন রিভিউ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বাহরাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ বাংলাদেশি নিহত

বাহরাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ বাংলাদেশি নিহত

বাহরাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় এক বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় আরও ১৬ জন আহত হয়েছেন।

দক্ষিণ বৈরুত থেকে বাংলাদেশিদের সরে যাওয়ার পরামর্শ

দক্ষিণ বৈরুত থেকে বাংলাদেশিদের সরে যাওয়ার পরামর্শ

লেবাননে নতুন করে ইসরায়েলের হামলার প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ বৈরুতের বিপজ্জনক এলাকা থেকে বাংলাদেশিদের সরে যাওয়ার পরামর্শ দি‌য়ে‌ছে দেশটিতে নিয়োজিত বাংলাদেশ দূতাবাস।